Tips for Perfect Skin: নিখুঁত ত্বকের অধিকারী হতে চান? রোজের জীবনে মেনে চলুন এই ৬টি স্টেপ
Skin Care Tips: আপনি কি জানেন অক্ষরে অক্ষরে স্কিন কেয়ার রুটিন না মেনেও আপনি ত্বককে ভাল রাখতে পারবেন। রোজের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে।
এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেন না। এমনকী তাঁরা ত্বক পরিষ্কার করতে নিয়মিত ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করেন। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয় ত্বকের। অন্যদিকে, এমনও কিছু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা সারাদিনের ব্যস্ততার মধ্যে সময় পান না ত্বকের খেয়াল রাখার। ন্যূনতম স্কিন কেয়ার রুটিনও মেনে চলেন না অনেকেই। খুব স্বাভাবিকভাবেই এঁদের ত্বকে সময়ের আগেই বয়সের ছাপ দেখা যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন অক্ষরে অক্ষরে স্কিন কেয়ার রুটিন না মেনেও আপনি ত্বককে ভাল রাখতে পারবেন। রোজের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। তারপরের ফলাফলটা আপনি নিজেই চোখে দেখতে পারবেন।
১) ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং- এই তিনটি ধাপ আপনাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। দিনে দু’ বার করে এই রুটিনটা মেনে চলুন। আপনি নিজেই তফাৎ লক্ষ্য করবেন। সকালে স্নানের পর একবার এই রুটিনটা অনুসরণ করুন। এরপর একদম রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে এই তিনটি ধাপ আবার করুন। এতেই অনেকটা ভাল থাকবে আপনার ত্বক।
২) সকালে অফিস যান কিংবা বাড়িতে থাকুন, নিয়ম করে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি আমাদের ত্বকের বেশি ক্ষতি করে। তাই ত্বকের ধরনের অনুযায়ী সানস্ক্রিন বেছে নিন এবং সেটা নিয়মিত ব্যবহার করুন।
৩) আপনার ত্বক তখনই ভাল থাকবে যখন আপনার শরীরে সমস্ত পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। শরীরে পুষ্টির অভাব ত্বকের ওপরও প্রভাব ফেলে। ভিটামিন সি-এর অভাব ত্বকে ঘা, ব্রণ, এগজিমার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলুন। এতে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৪) প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। গরমে শরীর হাইড্রেটেড থাকলে অনেক রোগের ঝুঁকিই কমে যায়। একইভাবে ত্বক হাইড্রেটেড ত্বক সতেজ দেখায়। তাছাড়া প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বাইরে বের হয়ে যায়, যার ফলে ত্বক ও শরীর দুটোই ভাল থাকে। আপনি জলের পাশাপাশি ফলের রস, সবজির জ্যুস, ডাবের জলও পান করুন। এতেও ত্বক ভাল থাকে।
৫) ব্যায়াম করলে শুধু যে শরীর ফিট থাকে, তা নয়। এতে ত্বক রক্ত চলাচল উন্নত হয়। ত্বক অক্সিজেন গ্রহণে সক্ষম হয়। নিয়ম ব্যায়াম করলে আপনাকে নিখুঁত ত্বক পাওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।
৬) প্রাণ খুলে হাসুন। হাসলে শরীর আর মন দুটোই ভাল থাকে। তার সঙ্গে ফেসিয়াল ম্যাসাজও হয়ে যায়। এতে বলিরেখা ঝুঁকি কমে যায়। মানসিক চাপ দূর হলে মুখেও তার প্রভাব ফুটে ওঠে।