Skin Care Tips: সারাদিনের ক্লান্তি কাটাবে এই ফেসমাস্ক! ত্বককে রিফ্রেস করার সহজ ও ঘরোয়া উপায় জানুন
Home Remedies: অবশ্যই ত্বকের ধরন অনুসারে ব্যবহার করা উচিত। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি ফেসমাস্ক কোনটি আপনার জন্য তৈরি, তা দেখে নিন এখানে..
সারাদিন স্ট্রেসের (Stress) প্রভাব পড়ে ত্বকের উপরও। অফিসে চাপ, ঘরে চাপ, অনেক রকম চাপ সামলাতে সামলাতে অধিকাংশ নাজেহাল অবস্থা। স্ট্রেস বাড়লে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তবে এই স্ট্রেস যদি বেশি মাত্রায় দেখা দেয় তাহলে শরীর ও মনের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকেরও (Skin Care) ভয়ংকর ক্ষতিকর। রাতে বাড়ি ফিরে, শুতে যাওয়ার আগে নিজের জন্য সময় বের করতে শিখুন। তাতে আখেরে লাভবান হবেন আপনিই। যথেচ্ছ চাপের পর শরীর-মনকে তাজা করতে ও ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে ঘরোয়া উপায়েই (Home Remedy) কিছু ফেস মাস্ক রয়েছে, যা আপনি অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই ত্বকের ধরন অনুসারে ব্যবহার করা উচিত। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি ফেসমাস্ক কোনটি আপনার জন্য তৈরি, তা দেখে নিন এখানে..
গ্রিন টি ফেস মাস্ক
একটি ছোট কাপে তৈরি করা গ্রিন টির মধ্য়ে ৪ চা চামচ খেজুর গুড় ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি ফেস মাস্ক তৈরি করুন। তবে এটার একটা পদ্ধতি আছে। তা হল গ্রিন টি এক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর খেজুর গুড় যোগ করুন। এবার মিশ্রণটি যতক্ষণ না ঘন হচ্ছে ততক্ষণ নাড়তে থাকুন। এবার শুষ্ক ত্বক যাদের তারা এই পেস্টটি ব্যবহার করতে পারেন। আরও ভাল হয়, যদি এতে অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েল যোগ করতে পারেন।
এই ফেসমাস্কের জেরে ত্বকের টেক্সচার ভাল হয়ে যাবে। ব্রণের প্রবণতা রয়েছে যাঁদের, তাদের জন্য ভাল ফেসমাস্ক এটি। ত্বকের উপর প্রয়োগ করে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে। তারপর স্বাভাবিক জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
লেবুর ফেসমাস্ক
এই মাস্ক বানাতে লাগবে একটি লেবুর রস, ২ চা চামচ চিনি, ২ চা চামচ অলিভ অয়েল।
এই মাস্কতি তৈরি করবেন কীভাবে, তা জেনে রাখুন। একটি পাত্রের মধ্যে সব উপকরণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার সেই পেস্টটি প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য ত্বকের উপর রাখুন। কাজের অতিরিক্ত চাপ থেকে ত্বককে শান্তি দিতে, ক্লান্তি কাটিয়ে ফের সতেজ ও সুস্থ রাখতে এই ফেসমাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন।
চকোলেট ফেসমাস্ক
এই ফেসমাস্কটি তৈরি করতে লাগবে কোকো পাউডার ২ চা চামচ, ১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ দই আর অর্ধেক পাকা কলা।
এবার একটি পাত্রের মধ্যে কাঁটাচামচ দিয়ে পাকা কলা চটকে নিন। মসৃণভাবে স্ম্যাশ হলে তার সহ্গে অন্যান্য সমস্ত উপাদান যোগ করে দিন। এবার ভাল করে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। গোটা মুখের ত্বকের লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর স্বাভাবিক জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন আপনার মুখ। যে কোনও ত্বকের জন্যই এই ফেসমাস্ক ব্যবহার করতে পারবেন। এই মাস্কের পর ত্বক মসৃণ ও ময়েশ্চারাইজড হয়ে যায়।
ফেস মাস্ক ধুয়ে ফেলার পর কী করবেন?
যে কোনও ধরনের ফেসমাস্ক ব্যবহারের পর ত্বকের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সামুদ্রিক লবণের স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া গরম জলে সামুদ্রিক লবণ যোগ করে সেটি ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত আলাদা করে রেখে দিন। এরপর স্প্রে বোতলে ঢেলে ব্যবহার করুন। যদি বাড়িতে সামুদ্রিক লবণ না থাকে, তা আফসোসের কিছু নেই। এক কাপ ঠান্ডা জলের মধ্যে ১ তা চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। ফেসমাস্ক ব্যবহারের পর সেরা প্রভাব পেতে কটন প্য়াড ব্যবহার করে ত্বকের উপর এই মিশ্রণটি প্রয়োগ করতে পারেন।