Bapsybanoo Pavry: শাড়ি পরেই হয়েছিলেন ভারতের প্রথম পেজ থ্রি আইকন, কে এই ফ্যাশনিস্তা?
Fashion Icon Pavry: শাড়ির সঙ্গে লম্বাহাতা ব্লাউজ, বোটনেক, লেস দেওয়া ফ্লোরাল প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি , জ্যাকেট দারুণ ভাবে ব্যবহার করতেন পারভি। বৈচিত্র্য আনতে কখনও গ্লাভস কখনও ট্রেঞ্চকোটও পরতেন
পেজ ৩- বিনোদন এবং সংবাদ দুনিয়ায় এই পাতাটির যেমন বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে তেমনই একটা বড় অংশের পাঠকের চোখ আটকায় সংবাদপত্রের এই বিশেষ পাতায় এসে। ভারতে এই পেজ ৩ সেলেব্রিটি হিসেবে প্রথমেই যাঁর নাম সামনে আসে তিনি হলেন বাপসিবান্নো পাভরি। দেশের প্রথম ফ্যাশন আইকন বাপসিবান্নো যাঁর ছবিতে পেজ ৩-তে প্রথম ছাপা হয়েছিল। আদতে পার্সি পাভরি মুম্বইয়ের বাসিন্দা হলেও তাঁর বেশিরভাগ সময় কাটত লন্ডনে।
পরিচয় পর্ব
পেজ ৩ সেলেব্রিটি ছাড়াও পাভরির আরও একটা পরিচয় ছিল- তিনি হলেন একমাত্র ভারতীয় মার্চিয়নেস। উইকিপিডিয়া বলছে, ১৯৫২ সালে যখন হেনরি ফলেট ( Henry Paulet)সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় তখন, স্বামী হেনরির বয়স ছিল ৯০। তিনি ছিলেন ১৬ তম মার্চিয়নেস (Henry Paulet, 16th Marquess of Winchester)। আর তাই হেনরিকে বিয়ের সুবাদে পাভরি এই পরিচয় পেয়েছিলেন। তবে বিয়ের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হেনরি তাঁর প্রাক্তন বাগদত্তা ইয়ান ফ্লেমিয়ের ( জেমস বন্ডের লেখক) মা ইভ ফ্লেমিংয়ের কাছে ফিরে যান লন্ডনে। সেখানেই ১৯৬২-তে মৃত্যু হয় তাঁর। ১৯৮৫ পর্যন্ত লন্ডনেই বেশিরভাগ সময় কাটাতেন পাভরি। পরবর্তী ভাই জল পাভরির সঙ্গে দেশে ফিরে আসেন। এখানেই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কাটান বাকি জীবন। ১৯৯৫ সালে মুম্বইতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পাভরির ফ্যাশন
আজকাল মেয়েরা শাড়ি নিয়ে নানা এক্সপেরিমেন্ট করেন। জিনস এর সঙ্গে শাড়ি, জ্যাকেট, বেল্ট, ধোতি নানাভাবে শাড়ি ড্রেপ করেন। লেহঙ্গা শাড়ি থেকে রে়ডি টু ওয়্যার শাড়ি এই তালিকায় নতুন সংযোজন। শাড়ি পরাতে চাহিদা বেড়েছে ড্রেপিং আর্টিস্টেরও। ব্লাউজ নিয়েও মেয়েরা এখন ভীষণ সচেতন। শাড়ির সঙ্গে লম্বাহাতা ব্লাউজ, বোটনেক, লেস দেওয়া ফ্লোরাল প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি , জ্যাকেট দারুণ ভাবে ব্যবহার করতেন তিনি। বৈচিত্র্য আনতে কখনও গ্লাভস কখনও ট্রেঞ্চকোটও পরতেন। সামনে আঁচল করে শাড়ি পরে যেমন ঘোমটা দিয়েও বাইরে এসেছেন তেমনই কোঁচা দিয়ে ধুতির স্টাইলেও শাড়ি পরেছেন- যেমনটা পরে থাকেন মহারাষ্ট্রের মহিলারা। সাজের অনুষঙ্গ হিসেবে হাতে সব সময় থাকত এমব্রয়ডারি করা পার্স। সেই সঙ্গে মুক্তোর গয়নাও ভীষণ রকম পছন্দ তাঁর। তাঁর প্রত্যেকটি শাড়ির আঁচলে আলাদা করে পাড় বসানো থাকত- আর এই আঁচল মাথায় দেওয়া ছিল তাঁর সিগনেচার স্টাইল।
পড়াশোনা
কলম্বিয়া থেকে তিনি এম.এ পাশ করেন। ১২ টি ভাষায় কথা বলতে পারতেন পারভি। এছাড়াও দ্য হিরোইনস অফ অ্যানসিয়েন্ট পার্সিয়া: ফিরদৌসির শাহনামা (Heroines of Ancient Persia: Stories Retold from the Shahnama of Firdausi) নামে একটি বইও লিখেছেন তিনি। সর্বকালের ফ্যাশনিস্তা পাভরির ফ্যাশন থেকে অনুপ্রাণিত এখনকার মেয়েরাও। শাড়ি পড়ার হরেক কায়দা শেখাতেও কিন্তু জুড়ি নেই পাভরির।