Tight Clothes: দীর্ঘক্ষণ টাইট জামাকাপড় পরা অভ্যাস, কতটা বিপজ্জনক এর ফল?
Fashion Tips: প্রয়োজন বিশেষে অঁটসাঁট পোশাক পরুন। সব সময় একেবারেই পরবেন না। এতে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়, ত্বকের সমস্যা হয়
আমরা ফ্যাশানের সংজ্ঞা নিয়ে কথা বলি, ট্রেন্ড নিয়ে কথা বলি, ফ্যাশানেবলের মাপকাঠি নির্ধারণ করি- এর একটাও কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগ করা যায় না। ফ্যাশন মানুষেরই তৈরি। যে যেমন ভাবে পোশাক পরতে পছন্দ করেন তাই হল ফ্যাশান। ফ্যাশনের প্রাথমিক শর্ত হল আরামদায়ক হতে হবে। সাঁতার চালানো, সাইকেল চালানো এইসব ক্ষেত্রে টাইট বা আঁটসাঁট পোশাক পরতে হয়। শরীরচর্চা, যোগা এসব ক্ষেত্রে ঢিলে পোশাক পরলে অসুবিধে হয়। এবা আঁটসাঁট পোশাক কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরে থাকা ঠিক নয়। এতে পাকস্থলীর উপর বেশি চাপ পড়ে। সেই সঙ্গে চাপ পড়ে অন্ত্রেও। আর তাই হজমের সমস্যা বেশি হয়। অনেকেই আছেন যাঁরা একেবারে ফিটিংস বা বডিকন ছাড়া পরতে পারেন না। এক্ষেত্রে শরীরের অনেক রকম ক্ষতি হয়। স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে, রক্ত সরবরাহ অনেক কম হয়। সেই সঙ্গে ত্বকে একটা জ্বালাভাব, চুলকানি এসব রয়েই যায়।
নিয়মিত ভাবে এইসব শরীরের সঙ্গে সাঁটানো পোশাক পরলে ত্বকে জ্বালা ভাব থাকে, পাশাপাশি ত্বকে লাল দাগ, ছত্রাকের সংক্রমণও হতে পারে। বেশিক্ষণ এই ধরনের পোশাক পরে থাকলে শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়।
আর তাই বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন বেশ কিছু টিপস। যে সব কারণে টাইট জামা এড়িয়ে যাবেন-
বেশি টাইট জামা পরলে ত্বক ঘষে যেতে পারে। তখন জ্বালা হয় সেখান থেকে সংক্রমণও হতে পারে। আর তাই অর্ন্তবাস একেবারেই টাইট পরা ঠিক নয়।
সিন্থেটিক বা বেশি টাইট জামা পরলে ত্বকে বায়ু চলাচল একেবারেই হয় না। ঘাম বেশি হয়। ফলে সেখান থেকে ছত্রাকের সংক্রমণও হতে পারে। আর বেশি টাইট পোশাকে শরীরে ঘাম বেশি হয় আর অতিরিক্ত তেল শরীর থেকে বেরিয়ে আসে। ফলে শরীরের পোর্স আটকে যায়, ব্রণর সমস্যা বেশি হয় ত্বকে ব্যথার অনুভূতি থাকে।
ব্লাউজ অধিকাংশ সময়ই ফিটিংস পরতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু বেশি টাইট ব্লাউজ পরলে রক্তপ্রবাহ বাধা পায়। সেই সঙ্গে ব্যথার অনুভূতি থাকে। যে কারণে খুব টাইট স্কার্ট বা পেটিকোটও পরা ঠিক নয়।
আর তাই সিন্থেটিক, ফাইবার এসব একদম এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। সব সময় সুতির জামা পরুন, আরাম দায়ক পোশাক পরুন। প্রয়োজনে ঢিলে জামাও পরুন। যে পোশাকে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য সেটাই হল ফ্যাশান। কৃত্রিম কোনও কিছুই শরীরের জন্য ভাল নয়।