Blood Pressure Food: হাই ব্লাড প্রেসার? নিয়ন্ত্রণ করতে যে কয়েকটি কার্বোহাইড্রেট অবশ্যই কিনবেন…
Blood Pressure Food: রক্তচাপ বাড়লেই কিন্তু চাপ পড়ে আমাদের হার্টের উপর। আর সেখান থেকে আসে একাধিক শারীরিক সমস্যা। থেকে যায় স্ট্রোকের সম্ভাবনাও। আর তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি
প্রতি তিনজনের মধ্যে ১ জন এখন ভুগছেন উচ্চরক্তচাপ (High Blood Pressure) জনিত সমস্যায়। আজকাল জীবনযাত্রায় (Lifestyle) পরিবর্তন, কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ বৃদ্ধি- এসবই কিন্তু প্রভাব ফেলছে রোজকার জীবন ছন্দে। যে কারণে বাড়ছে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের সমস্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে ওজনও। এছাড়াও অতিরিক্ত চাপ থেকে কিন্তু বাড়ছে রক্তচাপও। আগে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর এই সব সমস্যা আসত। কিন্তু সেসব এখন অতীত। রক্তচাপের সমস্যা মানেই সেখান থেকে হার্টের সমস্যা আসে। সেই সঙ্গে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও থেকে যায়। আর তাই উচ্চরক্তচাপের সমস্যায় প্রথমেই যা করতে হবে তা হল রোজকার জীবনযাত্রায় (Blood Pressure Food) রাশ টানতে হবে। সময় মেনে খাওয়া এবং ঘুম কিন্তু অত্যন্ত জরুরি। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে ডায়েটও।
উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবচাইতে ভাল কিন্তু DASH ডায়েট। এই ডায়েট নিয়মিত ভাবে মেনে চলতে পারলে কিন্তু রক্তচাপ থাকে অনেকটাই কম। অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণাধীন। সেই সঙ্গে এই ডায়েটে, শাক-সবজি, ফল, চর্বিহীন মাংস, ফ্যাট ফ্রি দুধ, ডিম, মাছ, বিভিন্ন বাদাম, লেবু, বিভিন্ন ধরণের বীজ- এই সব খাবারের উপরই জোর দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সোডিয়ামের পরিমাণ সীমার মধ্যে রাখতে হবে। প্রতিদিন ২,৩০০ মিলিগ্রামের মধ্যে সোডিয়াম রাখুন রোজকার ডায়েটে। এছাড়াও ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাসিয়ামযুক্ত খাবার কিন্তু অবশ্যই রাকবেন রোজকার তালিকায়।
এই DASH ডায়েটের মধ্যে কিন্তু বেশ কয়েকটি কার্ব-সমৃদ্ধ খাবারও তাকে। আর তাই কার্বোহাইড্রেট একেবারে না এড়িয়ে এই কয়েকটি কার্বস কিন্তু রাখতে পারেন ডায়েটে। যে সব কার্বসের উৎস মূলত উদ্ভিদ থেকে, সেই সব কার্বসই আমাদের শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে এই সব খাবার কিন্তু রাখতেই পারেন। তবে মিষ্টি পানীয়, চিনি এসব একেবারেই বাদ রাখুন রোজকার খাবার খেতে। এতে উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তাই রোজকার ডায়েটে রাখুন একবাটি করে ডাল। ডালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এছাড়াও আছে খনিজ, ভিটামিন। যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আমেরিকান জার্নাল অফ হাইপারটেনশনে প্রকাশিত একচি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যাঁরা নিয়মিত ভাবে মটরশুঁটি এবং মটরের ডাল খেয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে সিস্টোলিক রক্তচাপ অনেকটাই কমেছে।
অন্ত্রকে ভাল রাখতেও কিন্তু ভীষণ উপকারী টকদই। দই হল প্রোবায়োটিক। ফলে তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিন্তু সাহায্য করে। দইয়ের মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম। ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে এই সবকটি উপাদানই আমাদের শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। দই দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্মুদি, স্যালাড। এছাড়াও বিভিন্ন ফল, দই আর মধু মিশিয়েও কিন্তু খেতে পারেন।
খেজুরেরও অনেক গুণ। খেজুরের মধ্যে থাকা ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আমাদের হার্টের জন্য ভাল। সেই সঙ্গে খেজুরের মধ্যে যে প্রাকৃতিক মুগার থাকে তা আমাদের শরীরে মিষ্টির চাহিদা মেটায়। খেজুর দিয়ে খুব সহজেই বানিয়ে নেওয়া যায় অনেক রকম খাবার। আর তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় রোজ ২ টো করে খেজুর খান।
ওটসের মধ্যে ক্যালোরি নেই, এদিকে ফাইবার রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা আমাদের হার্ট ভাল রাখে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত ভাবে দই, ওটস, মধু মিশিয়ে খেতে পারলে রক্তচাপ থাকবে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে শরীর পাবে পর্যাপ্ত ভিটামিন, খনিজ।