Fruits For Diabetics: ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ উপকারী এই ৫ মিষ্টি ফল!

Fruits: ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে যেমন খাওয়া-দাওয়াতে রাশ টানতে হয় তেমনই কিন্তু আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর সেইমতো ওষুধও খেতে হবে। সবার শারীরিক অবস্থা সমান নয়। কাজেই ফল খাওয়ার আগে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে একবার কথা বলে নিন...

Fruits For Diabetics: ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ উপকারী এই ৫ মিষ্টি ফল!
ডায়াবিটিস ঠেকাতে যে সব ফল খাবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2022 | 8:00 AM

ডায়াবিটিস (Diabetes) এখন ঘরে ঘরে। বিশ্বজুড়ে রোজই বেড়ে চলেছে এই মধুমেহতে আক্রান্তের সংখ্যা। পরবর্তী দিনে অন্যতম মারণ রোগ হতে পারে ডায়াবিটিস, এমনটাই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। ছোট থেকে বড় সকলেই এখন আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়াবিটিসে (Type 2 Diabetes)। কিছু ক্ষেত্রে ডায়াবিটিসের সমস্যা জিনগত হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিন্তু টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যাই সবথেতে বেশি। শুধুমাত্র ভারতেই ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২০৪৫ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে সেই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৪ কোটিতে গিয়ে ঠেকবে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। ডায়াবিটিসের সমস্যা হলেইল ডায়েটে অনেক পরিবর্তন আসে। বেশি শর্করা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়। বাইরের খাবার খেতে একদম মানা করা হয়। এর পাশাপাশি কিন্তু শরীরচর্চাও করতে হয়। যদি চিকিৎসক কোনও ওষুদ দেন তা যেমন নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে খাবেন তেমনই খাওয়া-দাওয়াতেও কিন্তু রাশ টানতে হবে। ডায়াবিটিসের খাবার নিয়ে অনেক রকম ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু এই কয়েকটি ফল (Diabetes Fruits) মিষ্টি হলেও শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সেই সঙ্গে খেতে পারেন ডায়াবিটিস আক্রান্তরাও। তালিকায় রয়েছে আম, পেঁপে, কলা, আপেল ও সবেদা।

আম- অনেকেই ভাবেন সুগারের সমস্যা থাকলে আম খাওয়া যায় না, কিন্তু ডায়াবিটিসেও খাওয়া যেতে পারে আম। আমের মধ্যে যে রকিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকে তা কিন্তু সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে আম পরিমাণে খেতে হবে। অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে চলবে না। আমের গ্লুকোমিক ইনডেক্স ৫১। ফলে তা শরীরের জন্য মোটেই ক্ষতিকারক নয়। আমের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। থাকে খনিজ। তবে আমের জুসের পরিবর্তে সব সময় টুকরো করে খান। এতেই শরীরের কাজে আসবে।

কলা- কলার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমআম ফাইবার। সেই সঙ্গে কলায় থাকে একাধিক পুষ্টিও। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভাল। এছাড়াও কলা হজম করতে অসুবিধে হয় না। আর তাই ডায়াবিটিসের রোগীরাও খেতে পারেন কলা। তবে কলা খাওয়ারও নির্দিষ্ট সময় থাকে। চেষ্টা করুন ব্রেকফাস্টের সময় খেতে। অনেকেই মুজলি, ওটসের সঙ্গে কলা মিশিয়ে খান। অতে কলার পুষ্টিগুণ যেমন বজায় থাকে তেমনই সুগার বাড়ে না।

আপেল- আপেলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। আর তাই রোজ একটা করে আপেল অবশ্যই খান। যাঁদের টাইপ ২ ডায়াবিটিস রয়েছে তাঁরা অবশ্যই খাবেন। রোজ খেলে সুগার কমার সম্ভাবনা থাকে ২৮ শতাংশ। এছাড়াও আপেলের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বিভিন্ন প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়। ত্বক, হার্টের জন্যও কিন্তু ভাল আপেল। সকালে একটা করে খোসা সহ আপেল খান। এতে হজম ভাল হবে।

পেঁপে- পেঁপের মধ্যেও থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। থাকে ভিটামিন সি, এ, ই। যা আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিন্তু সাহায্য করে। এছাড়াও পেঁপের মধ্যে থাকে বিশেষ এনজাইম, যার কারণে হজম ভাল হয়। ডায়াবিটিসের সমস্যাতেও খুব ভাল হল পেঁপে। পাকা পেঁপে সব সময় দিনের বেলা খান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিড-মর্নিং ব্রেকফাস্টে সবচেয়ে ভাল হল একবাটি পাকা পেঁপে।

সবেদা- হজমের সমস্যার জন্য খুবই ভাল সবেদা। এছাড়াও এই ফলটির মধ্যে রয়েছে একাধিক খনিজ, ভিটামিন। সবেদা সুগার রোগীরা খেতে পারবেন না এ নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক থাকলেও কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে তা শরীরের পক্ষে উপতারী। তবেদা খাওয়ার ৩০, ৬০, ১২০ মিনিটের পরও ব্লাডসুগারের ক্ষেত্রে তেমন কোনও হেরফের হচ্ছে না। ফ্রুট স্যালাড, মুজলি বা স্মুদির সঙ্গে সবেদা খাবেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।