Ghee: ঘিয়ের সঙ্গে মেশান এই উপাদান, স্বাদের সঙ্গে বেড়ে যাবে গুণাগুণও
Ayurvedic Tips: আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘি বরং ওজন কমাতে এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু, ঘিয়ের সঙ্গে কী মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন, সেটা জেনে নিন...
প্রতিটা রান্নাঘরেই দেখা মিলবে ঘিয়ের। ডাল, তরকারি হোক বা হালুয়া তৈরিতে ঘি চাই-ই চাই। এমনকী মাংস রান্নাতেও প্রয়োজন ঘিয়ের। তবে ওজন বৃদ্ধি বা কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার পিছনে অনেকেই ঘিকে দায়ী করে। কিন্তু তা বলে কখনওই উপেক্ষা করা যায় না। অন্তত আয়ুর্বেদ সেটাই মনে করে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘি বরং ওজন কমাতে এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু, ঘিয়ের সঙ্গে কী মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন, সেটা জেনে নিন…
হলুদ-ঘি, এই মিশ্রণটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এই মিশ্রণটি খেলে ওজন কমবে, রক্ত পরিষ্কার হবে এবং সুস্থ থাকবে হার্ট। কাঁচা হলুদে ঘি মিশিয়ে খেলে কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। শরীরে ফোলাভাবের সমস্যা থাকলে এই মিশ্রণ খেলে উপকার পাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা হলুদ মেশানো ঘি খেলে শরীরের সমস্ত ধরনের ব্যথা, যন্ত্রণা দূর করে।
একই ভাবে তুলসি-ঘিয়ের মিশ্রণ ভীষণভাবে উপকারী। সাধারণত, বাড়িতে ঘি তৈরি করলে একটা গন্ধ ছাড়ে। সেই গন্ধ দূর করার জন্য আপনি ঘি তৈরি সময় তাতে তুলসি পাতা মিশিয়ে দিতে পারেন। এতে গন্ধ তো দূর হবেই, এর পাশাপাশি ঘিয়ের গুণাগুণ বেড়ে যাবে। এতে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এটি সর্দি-কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকর। পাশাপাশি তুলসি দেওয়া ঘি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আয়ুর্বেদের মতে, ঘিয়ের সঙ্গে কর্পূর মেশালে বিশেষ লাভ পাওয়া যায়। এই স্বাদে তিক্ত হয় ঠিকই, কিন্তু এটি বাত, পিত্ত ও কফ- এই তিন ধরনের দোষ থেকে মুক্তি দেয়। তাছাড়া এই ঘি সেবনে উন্নপ্ত হয় হজম ক্ষমতা। অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে কর্পূর মেশানো ঘি। পাশাপাশি হৃদযন্ত্র খুব ভাল থাকে।
এমনিতেই রসুনের গুণ অনেক। সেই গুণকে দ্বিগুণ করতে যদি ঘি যোগ করেন তাহলে দারুণ ফল মিলবে। ইতালীয় খাবারে গার্লিক বাটারের বহুল ব্যবহার রয়েছে। একই ভাবে যদি ঘিয়ের সঙ্গে রসুন মেশান এটি শরীরে প্রদাহ কম করবে এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে। এর সঙ্গে খাবারের স্বাদ তো বাড়বেই।
ঘিয়ের উপকারিতা আলাদা করে ব্যাখ্যা করতে সেটা সব সময় কমই হয়। কিন্তু যখন আপনি এতে ভেষজ বা অন্য উপাদান যোগ করছেন তখন ঘি আরও সুস্বাদু হয়ে ওঠে। একই ভাবে যদি ঘিয়ের সঙ্গে দারুচিনি মেশান তাহলে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা গুণে শেষ করতে পারবেন না। দারুচিনির মধ্যে অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল গুণ রয়েছে। এতে একাধিক রোগ দূর হয়ে যায়। কড়াইয়ে অল্প ঘি এবং ২টো দারুচিনি মিশিয়ে মাঝারি তাপে ৪ থেকে ৫ মিনিট পর্যন্ত গরম করে নিন। ঠান্ডা হলে তারপর সেটা ব্যবহার করুন।
গরম দুধে ঘি মিশিয়ে পান করার রীতি আমাদের দেশে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। আয়ুর্বেদের মতে, এই মিশ্রণ পান করলে গাঁটের ব্যথা, পেটে ব্যথার সমস্যা সব কিছু দূর হয়ে যায়। পাশাপাশি হজম ক্ষমতা উন্নত হয় এবং ত্বক তার হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে পায় দ্রুত।