Natural Colon Flush: কোলন পরিষ্কার করতে ওষুধ নয়, ভরসা রাখুন এই ঘরোয়া টোটকায়
Colon Detox: কোলন পরিষ্কার না রাখলেই জাঁকিয়ে বসে কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা। এছাড়াও শরীরে জমা হয় দূষিত পদার্থ। তাই আগে থেকেই সচেতন থাকুন। রোজ সকালে বানিয়ে নিন এই ডিটক্স ড্রিংক
শরীর থেকে যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ বের করে দিয়ে শরীরকে পরিস্রুত রাখার কাজ করে কোলন। কোলন ঠিক না থীকলে শরীরের ডিটক্সিফিকেশনও ঠিকমতো হবে না। আর তাই কোলন পরিষ্কার রাখাও ভীষণ জরুরি। কোবন পরিষ্কার না থাকলে সেখান থেকে আসবে গ্যাস, বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। এছাড়াও ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া না হলে বা হাত পরিষ্কার করে না ধুয়ে খাবার খেলে থেকে যায় কোলনে সংক্রমণের সম্ভাবনা। কোলনে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত কোনও সংক্রমণ হলে সেখান থেকে রেহাই পাওয়া বেশ কঠিন ব্যাপার। কিছুক্ষেত্রে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। থেকে যায় রক্তপাতের সম্ভাবনাও। আর তাই কোলন পরিষ্কার রাখার প্রাথমিক শর্তই হল প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া। কোলনের সমস্যার জন্য কোলোনোস্কোপি করা হয়। আর চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে কোলন পরিষ্কার করতে ৬০ লিটার পর্যন্ত জল প্রয়োজন হয়। সেই সঙ্গে ব্যবহার করা হয় কফির মত ভেষজ উপাদানও। মলদ্বার দিয়ে টিউবের মাধ্যমে কোলনে জল ঢুকিয়ে তা পরিষ্কার করা হয়।
কোলনে সমস্যা হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়াও কোলনে বিষাক্ত পদার্থ জমতে থাকলে সেখান থেকে আসে বিভিন্ন সমস্যা। আর্থ্রাইটিস বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও কিন্তু আসতে পারে যদি কোলনে কোনও সমস্যা থাকে। তবে কোলন ক্লিনজিং এই ভাবে হলে আদৌ কতটা স্বাস্থ্যকর সে বিষয়ে কিন্তু কোনও প্রমাণ নেই। এছাড়াও বমি, ডায়েরিয়া, ক্র্যাম্পিং, শরীরে ফোলা ভাব এসব সমস্যাও কিন্তু আসতে পারে। এছাড়াও কোলন ক্লিনজিং এর সময় মলদ্বার দিয়েই টিউব ঢোকানো হয়। এতে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যে পরিবর্তন হয়। যাঁদের কিডনি বা হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য এই পদ্ধতি বেশ ঝুঁকির।
বেহিসেবি খাদ্যগ্রহণ, অসময়ে খাওয়াদাওয়া বা রাত জাগার কারণে অনেকে বদহজমে ভোগেন। তার জেরে পেট পরিষ্কার হয় না, শরীরে অবসাদ বাসা বাঁধে। শরীরে জমা হওয়া বিষাক্ত বর্জ্য সাফ করতে মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন এমন এক প্রাকৃতিক দাওয়াই, যার উপকরণগুলিও অত্যন্ত সহজলভ্য। আজকাল সব বাড়িতেই অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার আর মধু থাকে। অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে রয়েছে উপকারী অ্যাসিটোব্যাক্টর ব্যাকটেরিয়া, যা আমাদের পাকস্থলি ও অন্ত্রে জমে থাকা হজম না হওয়া খাবারের কণাগুলিকে ভাঙতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও জোগায়। এছাড়া, এই ভিনিগারে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক, যা পাকস্থলির মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় অ্যাসিডের মধ্যেকার সমতা বজায় রাখে। ফলে অ্যাসিডিটির পরিমাণও কমে। অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে থাকে গ্যালিক অ্যাসিড, ক্যাটেচিন, ক্লোরোজেনিক ও ক্যাফেয়িক অ্যাসিড, যা স্বাস্থ্য অটুট রাখে। পাশাপাশি, এতে রয়েছে অ্যাসেটিক অ্যাসিড। যা হজমে সাহায্য করে।
View this post on Instagram
এছাড়াও রোজ সকালে ইষদুষ্ণ জলের সঙ্গে হিমালয়ান সল্ট, লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে একগ্লাস খান। এতে শরীর থাকবে ভাল, সঙ্গে বাড়বে হজম ক্ষমতাও। রোজ সকালে এই ড্রিংক খেলে ৩০ মিনিটের মধ্যেই ক্লিনজিং শুরু হয়ে যায়।