Sugarcane Juice: গরমে তেষ্টা মেটাতে রাস্তার আখের রসে চুমুক দেন? অপকারিতা গুলো জানেন তো…
Sugarcane Juice Side Effects: আখের মেশিন যে ভাবে রাস্তার ধারে পড়ে থাকে এবং আখ যে ভাবে ফেলে রাখা হয় তা শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয়। ফলে সেখান থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়
পথচলতি ফাস্ট ফুড যতই লোভ বাড়াক না কেন গরমের দিনে কিন্তু সবচেয়ে বেশি চোখ টানে জুস-সরবত-আইসক্রিম। গরমের দিনে অঝিকাংশই তেল-মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলেন। আমাদের প্রকৃতিও আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে তৈরি করে। যে কারণে গরমের যে কোনও ফলের মধ্যেই থাকে প্রচুর পরিমাণে জল। তালশাঁস, আম, তরমুজ, জামরুল- গরমের এই সব ফল আমাদের হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে। এছাড়াও গরমের দিনে পথচলতি ফাস্ট ফুড যতই লোভ বাড়াক না কেন গরমের দিনে কিন্তু সবচেয়ে বেশি চোখ টানে জুস-সরবত-আইসক্রিম। গরমকালে বেশিরভাগেরই প্রথম পছন্দ আখের রস। আখের রসের একাধিক উপকারিতা রয়েছে। আখের মধ্যে ফ্যাট, কোলেস্টেরল, ফাইবার এবং প্রোটিন কিন্তু থাকে না। তুলনায় বেশি পরিমাণে থাকে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন। গরমে শরীরকে হাইড্রেট রাখতে এবং লিভার ভাল রাখতে ভূমিকা রয়েছে আখের রসের। শরীরে এনার্জির জোগান দিতে এবং হজম শক্তি বাড়াতেও ভূমিকা আছে এই আখের রসের।
চিকিৎসকেরা কিন্তু এই আখের রস এড়িয়ে যাওয়ার কথাই বলেন। অনেকক্ষেত্রেই পেটে সংক্রমণ হয় এই আখের রস থেকে। এর মূল কারণ হল- আখের মেশিন যে ভাবে রাস্তার ধারে পড়ে থাকে এবং আখ যে ভাবে ফেলে রাখা হয় তা শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয়। ফলে সেখান থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। পরিষ্কার জায়গা থেকে আখের রস খেতে পারলে ভাল, নইলে আখের রস কিন্তু শরীর খারাপের কারণ। এছাড়াও অতিরিক্ত আখের রস খেলে সেক্ষেত্রে অপকারই হয় বেশি। এছাড়াও ২ গ্লাসের বেশি আখের রস খেলে ডায়াবেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য, দাঁতের সমস্যা এসবের সম্ভাবনাও থেকে যায়।
পেটের সমস্যা
২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে রাখা আখের রস পড়ে থাকলে অক্সিডাইজড হয়ে যায় যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এছাড়াও আখের রস বেশি খেলে পেট খারাপ, বমি, মাথা ঘোরা এই সব সমস্যা হয়। তাই আখের রস বেশিক্ষণ বাইরে ফেলে রাখবেন না, সঙ্গে সঙ্গেই খান।
কম ঘুমের কারণ
আখের রস বেশি খেলে শরীরে পলিকোসানলের পরিমাণ বেড়ে যায়। যে খান থেকে আসে একাধিক শারীরিক সমস্যা। মানসিক রোগের কারণও কিন্তু হতে পারে এই আখের রস।
ওজন বাড়ে
আখের রসের মধ্যে রয়েছে পুষ্টিকর উপাদান। এছাড়াও ফ্রুকটোজ পরিমাণে বেশি থাকে। থাকে ক্যালোরিও। যে কারণে আখের রস বেশি পরিমাণে খেলে সেখান থেকে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থেকে যায়। সুগারও বাড়ে। যে কারণে দিনে এক গ্লাসের বেশি আখের রস খাবেন না। সেই সঙ্গে ফ্রেশ জুস খান। আখের রস কিনে তা ফেলে রাখবেন না।
রক্ত পাতলা করে
আখের রসের মধ্যে থাকে Policosanol, যা রক্ত পাতলা করার কাজ করে। যে কারণে রক্ত জমাট বাঁধে না। এমন পরিস্থিতিতে কোনও আধাত পেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা থেকে যায়। গরমকালে আখের রস খেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। আর আখ না ধুয়ে মেশিনে ছেঁকে গ্লাসে ঢেলে দিলে তার মধ্যে অনেক রকম পরজীবী ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। যেখান থেকে শরীর খারাপ হয়ে যায় দ্রুত।