AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Buttermilk Vs Curd: বাটারমিল্ক নাকি টকদই গরমে কোনটা বেশি উপকারী? দেখে নিন…

Difference Between Curd And Buttermilk: ওজন কমাতে এবং হজমের উন্নতি ঘটাতে জুড়ি মেলা ভার এই বাটারমিল্কের। অনেকেরই দুগ্ধজাত খাবারে সমস্যা থাকে তাঁরাও কিন্তু দই খেতে পারেন নির্ভয়ে

Buttermilk Vs Curd: বাটারমিল্ক নাকি টকদই গরমে কোনটা বেশি উপকারী? দেখে নিন...
টকদই নাকি বাটারমিল্ক, কোনটা বাছবেন?
| Edited By: | Updated on: Mar 26, 2022 | 5:45 AM
Share

সারাবছর খাওয়া না হলেও গরম পড়তে না পড়তেই বেশিরভাগ বাড়ির ফ্রিজে জায়গা করে নেয় এই দুটি খাবার। তা হল বাটারমিল্ক (Buttermilk) আর দই (Curd)। এই দুই খাবারের মধ্যে ফারাক আদতে কী, তা সঠিকভাবে করতে পারেন না কেউই। কিন্তু আমাদের অন্ত্র ভাল রাখতে ভূমিকা রয়েছে এই দুটি খাবারেরই। হজম, অ্যাসিডিটি, বুকজ্বালা-সহ একাধিক সমস্যায় ভীষণ ভাল কাজ করে বাটারমিল্ক। যদিও অনেকেই বাটারমিল্কের সঠিক ব্যবহার জানেন না। অন্যদিকে, অন্ত্রের জন্য এই দুই খাবারই কিন্তু খুব ভাল। দই আর বাটারমিল্ক উভয়েরই উৎস হল দুধ। বাটার মিল্ক দই এর উপজাত হলেও পুষ্টির দিক দিয়ে দুটোই সমান। তবুও দুটোর মধ্যে একটা সূক্ষ্ম ফারাক রয়েছে। দই খুব ভাল ভাবে ফেটিয়ে রেখে দিলে ফ্যাট আর জল আলাদা হয়ে যায়। এই জল ছেঁকে নিয়ে ওর সঙ্গে প্রয়োজনীয় মশলা মিশিয়ে বানানো হয় বাটারমিল্ক। আর এই মশলার মধ্যে রয়েছে জিরে গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, আদা পাউডার, কাঁচা লঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি ও কারিপাতা কুচি। স্বাদের পাশাপাশি আর্য়ুবেদমতে এই পানীয়টির কিন্তু দারুণ ওষধি গুণও রয়েছে। দই নাকি বাটারমিল্ক-পুষ্টির দিক থেকে এগিয়ে কে এই নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক রয়েছে। আর তাই রইল কিছু টিপস-

বাটারমিল্কে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি ১২, জিঙ্ক, রাইবোফ্ল্যাভিন, প্রোটিন-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা আমাদের হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, সেই সঙ্গে ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। পাসাপাশি মানসিক চাপও কমায়।

ক্যালশিয়াম,ফসফরাস, ভিটামিন বি১২, বি৫, বি২, পটাসিয়াম, প্রোটিন এইসব কিছু রয়েছে দইএর মধ্যেও। যা উচ্চরক্তচাপ কমায় ও হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও দাঁত ও হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমাতেও কিন্তু সাহায্য করে টকদই।

দই ও বাটারমিল্কের মধ্যে প্রধান ফারাক হল হজম ক্ষমতা। দই হজম করা কঠিন কিন্তু তুলনায় বাটার মিল্ক হজম করা সহজ। এছাড়াও বাটার মিল্ক পরিপাকেও দারুণ সাহায্য করে। দই খেলে অনেকেরই নানা সমস্যা হয় বিশেষত যাদের ল্যাকটিক অ্যালার্জি রয়েছে কিন্তু বাটারমিল্কে তা হয় না। অর্য়ুবেদ মতে দইও স্বাস্থ্যকর, কিন্তু তা সবার জন্য যে সমান উপকারী তা কিন্তু একেবারেই নয়। অন্যদিকে বাটারমিল্ক আমাদের পেটের ফ্যাট কমাতেও ভীষণ ভাবে সাহায্য করে।

আর্য়ুবেদ মতে যে সময়ে খাবেন বাটারমিল্ক

আর্য়ুবেদ মতে সকালে জলখাবারের আগে খেতে পারেন বাটারমিল্ক। যাঁদের পেটের সমস্যা রয়েছে তাঁরা যদি ব্রেকফাস্ট খাওয়ার আগে এই বাটারমিল্ক খান তাহলে কিন্তু উপকার পাবেন। প্রতি ১০০ গ্রাম বাটার মিল্কে থাকে ৪০ ক্যালোরি, যেখানে ১০০ গ্রাম দইতে থাকে ৯৮ ক্যালোরি। ওজন বাড়াতেও কিন্তু ভূমিকা আছে দইয়ের। এছাড়া, কোশে জল ধরে রাখা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা ইত্যাদিতেও সাহায্য করে টকদই। অতিরিক্ত দই খেলে কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।  সেদিকে কোনও ভারী খাবার খাওয়ার পর একগ্লাস বাটারমিল্ক খেলে তা খাবার হজম করাতে সাহায্য করে। বাটারমিল্কের উপাদানের মধ্যে বেশিরভাগই ইলেকট্রোলাইট ও পটাসিয়াম- যা আমাদের শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।