Cholesterol: আপনার হেঁশেলে মজুত এই মশলার গুণে বশ করুন কোলেস্টেরল! কমবে ডায়াবিটিসও…

Cholesterol And Diabetes: রোজকার জীবনযাত্রার প্রভাব পড়ে আমাদের শরীর আর মনেও। মানসিক চাপ বৃদ্ধির ফলে শরীরেও নানা সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মত সমস্যা জাঁকিয়ে বসেছে মানব শরীরে

Cholesterol: আপনার হেঁশেলে মজুত এই মশলার গুণে বশ করুন কোলেস্টেরল! কমবে ডায়াবিটিসও...
রান্নাঘরের এই সব মশলাই স্বাস্থ্যরক্ষায় আপনার ভরসা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 26, 2022 | 7:34 AM

রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা বাড়লে কিন্তু সেখান থেকে আসে হৃদরোগের (Heart Problem) ঝুঁকি। এছাড়াও কোলেস্টেরল বাড়লে আসতে পারে ফ্যাটি লিভারের সম্ভাবনা। আজকাল আমাদের সকলেরই জীবনযাত্রায় এসেছে একাধিক পরিবর্তন। মানসিক চাপ এবং জটিলতা অনেকখানি বেড়েছে। ফলে তার প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীরেও(Health)। খুব কম বয়স থেকেই দেখা যাচ্ছে উচ্চ কোলেস্টেরলজনিত সমস্যা। যে কারণে কম বয়সীদের মধ্যে বেড়েছে হৃদরোগের প্রকোপও। দিনের পর দিন দূষণ যে ভাবে বাড়ছে, যে পরিমাণ ভেজাল খাবারে মেশানো হচ্ছে , রোজ যে ভাবে বাড়ছে ফাস্টফুডের চাহিদা তার জন্যই কিন্তু পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চিকিৎসার খরচও। ভারতীয় মশলার গুণাগুণ অনেক। শুধুই যে তা রান্নায় স্বাদ বাড়ায় এমন কিন্তু নয়, শরীরেও একাধিক উপকার করে। কোভিড কালে অনেকেই নিয়ম করে দুধ আর কাঁচা হলুদ খেয়েছেন। আবার অনেকেই জিরে-মেথি ভেজানো জল খেয়েছেন। তেমন আবার দারচিনি ভেজানো জলও অনেকে খেয়েছেন। নিয়মিত ভাবে মেথি-মৌরি-জিরে ভেজানো জল কিন্তু অনেকেই খান। নিয়মিত ভাবে এই সব জল খেতে পারলে হৃদরোগ, ডায়াবিটিসের মত সমস্যা থাকে দূরে। আর তাই দেখে নিন নিয়মমাফিক যে সব মশলা আপনাকে সুস্থ রাখবে-

আমলা- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেই কিন্তু নিয়ম করে খান আমলা। আমলার পাউডার বা আমলার জুস যে কোনও একটি খেতে পারেন। আজকাল আমলার বড়িও পাওয়াব যায়। কিংবা কাঁচা আমলকী খেতে পারলেও এমনই উপকার পাবেম। আমলার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।

জিরে, ধনে মৌরি- নিয়ম করে যদি জিরে, ধনে, মৌরি খেতে পারেন তাহলে পেট ঠান্ডা থাকে। হজমের সমস্যা দূয় হয়। সেই সঙ্গে ডায়াবিটিস আর কোলেস্টেরলের সমস্যাও থাকে নিয়ন্ত্রণে। আর্য়ুবেদিক মাউথওয়াশ হিসেবেও কিন্তু খাওয়া যেতে পারে মৌরি।

রসুন- কোলেস্টেল কমাতে নিয়ম করে রোজ এককোয়া রসুন খেতে পারেন। খালি চাপে এই এককোয়া রসুন আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও রসুন খেলে শরীরের বিভিন্ন হরমোন ঠিকভাবে কাজ করে। সেই সঙ্গে শরীরের ব্যথা, বেদনাও কমে যায়।

লেবু- লেবুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। আর তাই লেবু আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতেও কিন্তু ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। নিয়মিত ভাবে সকালে খালিপেটে লেবু, মধু আর চিয়া সিডস মিশিয়ে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও দুপুরের খাবার খেয়ে খেতে পারেন এক গ্লাস উষ্ণ লেবুর জল।

আদা- আদার ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যের জন্যি কিন্তু তা আমাদের শরীরের জন্য এত ভাল। আদা মেশানো চা রোজ খান ২ কাপ করে। এছাড়াও শুকনো আদার পাউডার দিয়েও চা বানিয়ে খেতে পারেন। নিয়মিত ভাবে আদা, তুলসি আর মধু দিয়ে চা বানালেও কিন্তু একাধিক উপকার পাওয়া যায়। কোলেস্টেরল থাকে নিয়ন্ত্রণে।

অর্জুন- প্রাচীন আর্য়ুবেদ শাস্ত্রে এই অর্জুনের প্রচুর ব্যবহার রয়েছে। এমনকী রূপকথার গল্পেও উল্লেখ রয়েছে অর্জুনের ওষধি গুণের। ঘুমোতে যাওয়ার আগে অর্জুন গাছের ছালের সঙ্গে চা মিশিয়ে খেতে পারেন।