Sada Aloor Dum: বাড়িতে এলেন সিদ্ধিদাতা, আপ্যায়নে মেনুতে থাক এই সাদা আলুর দম
Bengali Style Recipe: কুমোরটুলিতে একবার ঢুঁ মারলেই দেখা যাবে অজস্র মূর্তি সাজানো রয়েছে থরে থরে। সুন্দর ধুতি, পাগড়ি আর গয়নাতে এত সুন্দর করে সাজানো বাপ্পাকে যে দেখলেই মন ভরে যায়। যাঁদের বাড়িতে গণেশ পুজো হয় তাঁদের বাড়িতে তিনদিন পর্যন্ত ঠাকুর রাখা থাকে। আর এই তিনদিন নানা রকম ভোগ নিবেদন করা হয় গণপতিকে

আমাদের রাজ্যে গণেশের পুজো হয় মূলত বাংলা নববর্ষ এবং দীপাবলিতে। অনেকেই কালীপুজোর দিনে বাড়িতে লক্ষ্মী-গণেশের আরাধনা করেন। পড়শি রাজ্য ওড়িশা, মহারাষ্ট্র আর কর্ণাটকে গণেশ পুজোর প্রচলন সবচাইতে বেশি। গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গেও ধুম বেড়েছে গণেশ পুজোর। বাড়ি, কমপ্লেক্স, অফিস, দোকানে এবং পাড়াতে ধুমধাম করে পালন করা হচ্ছে এই গণেশ পুজো। সবাই মিলে একত্রিত হয়ে করছেন গণেশের আরাধনা। সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো যে কোনও পুজোর আগে করা হয়। তাঁর কাছে অনুমতি না নিয়ে অন্য কোনও পুজো করা যায় না। কর্মজগতে প্রতিষ্ঠা, নিজের কাজে সাফল্য, ব্যবসায় অগ্রগতি, সৃজনশীল শিল্পকর্মে উন্নতি- এই নানা কিছুর জন্য আর্জি জানানো হয় গণেশকে। আর তাই অনেকেই নিজের বাড়িতে সুন্দর করে সাজিয়ে, ভোগ বানিয়ে আরাধনা করেন গণেশের।
কুমোরটুলিতে একবার ঢুঁ মারলেই দেখা যাবে অজস্র মূর্তি সাজানো রয়েছে থরে থরে। সুন্দর ধুতি, পাগড়ি আর গয়নাতে এত সুন্দর করে সাজানো বাপ্পাকে যে দেখলেই মন ভরে যায়। যাঁদের বাড়িতে গণেশ পুজো হয় তাঁদের বাড়িতে তিনদিন পর্যন্ত ঠাকুর রাখা থাকে। আর এই তিনদিন নানা রকম ভোগ নিবেদন করা হয় গণপতিকে। লুচি, পোলাও, মিষ্টি, সাদা ভাত, পনির, আলুরদম থেকে শুরু করে বাহারি সব খাবারে সাজিয়ে দেওয়া হয় গণেশের থালি। এই মেনুতে একদিন রাখতেই পারেন সাদা আলুর দম। পোলাওয়ের সঙ্গে এই দম খেতে খুব ভাল লাগে। যে ভাবে আমরা আলুর দম বানাই তার থেকে অন্য পদ্ধতিতে বানানো হয় এই দম।
আলুর খোসা ছাড়িয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। শুকনো কড়াইতে গোটা জিরে, ধনে, শুকনো লঙ্কা, গোলমরিচ, এলাচ নেড়ে নিতে হবে। এবার মশলা ভাল করে গ্রাইন্ড করে নিন। সেদ্ধ করে রাখা আলুর খোসা ছাড়িয়ে দু টুকরো করে নিতে হবে। কড়াইতে এবার ২ চামচ সাদা তেল র একটু ঘি দিয়ে প্রথমে আলুগুলো ভেজে নিতে হবে। ভাজার সময় একটু নুন মিশিয়ে দেবেন কড়াতে। এবার তা অন্য একটি পাত্রে তুলে রাখুন। বাকি তেলে একটু হিং, আদা বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা মিশিয়ে ১৫ সেকেন্ড ভাল করে ভেজে নিতে হবে। এবার ভাঙা কাজু, হাফকাপ টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে গ্রাইন্ড করে নিতে হবে। এবার তা মশলার মধ্যে দিয়ে কষিয়ে নিন। হাফকাপ মশলা ধোওয়া জল দিন। গুঁড়ো করে রাখা মশলা একচামচ ছড়িয়ে আলু দিয়ে দিন। স্বাদমতো নুন-চিনি দেখে নিন। গ্যাসের আঁচ একদম কমিয়ে এক কাপ দুধ মিশিয়ে দিন এতে। এবার কাঁচা লঙ্কা চেরা, সামান্য একটু মাখন আর কসৌরি মেথি ছড়িয়ে নামিয়ে নিতে হবে।





