Monsoon Diet: বর্ষায় রোগ-সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সন্তানকে কী কী খাওয়াবেন?

কাঁচা হলুদ এমনিতেই অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপকরণ। বর্ষার সময় বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হয়ে যায়। আর বাচ্চাদের মধ্যে খুব সহজেই ছড়িয়ে যায় ইনফেকশন। তাই কাঁচা হলুদ খাওয়াতে পারলে ভাল।

Monsoon Diet: বর্ষায় রোগ-সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সন্তানকে কী কী খাওয়াবেন?
লেবু, মধু, হলুদ--- এইসব অতি অবশ্যই বর্ষাকালে বাচ্চাদের ডায়েটে রাখা প্রয়োজন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2021 | 11:44 PM

বর্ষাকাল মানেই হাজার রোগের আনাগোনা। বিভিন্ন রকমের সংক্রমণ হয়েই থাকে। আর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে বাচ্চাদের উপর। সর্দি-কাশির পাশাপাশি দেখা দেয় পেটের সমস্যাও। তাই বাড়ির ছোট্ট সদস্যটির খেয়াল রাখতে একটু বেশিই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বর্ষার রোগভোগের হাত থেকে সন্তানকে নিয়মিত যে খাবারগুলো খাওয়াবেন, একনজরে তা দেখে নেওয়া যাক।

১। ভিটামিন সি যুক্ত ফল, বিশেষ করে লেবু খাওয়ান এই সময়ে। এর ফলে সর্দি-কাশির প্রকোপ কমবে। রোজ সকালে হাল্কা গরম জলে পাতিলেবু আর মধু মিশিয়ে খেলে আপনার বাচ্চা উপকার পাবে। বুকে কফ জমে থাকলে তা পরিষ্কার হবে। সর্দি-কাশিও কমবে। সেই সঙ্গে যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, তাহলেও সুরাহা হবে।

২। হলুদ- কাঁচা হলুদ এমনিতেই অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপকরণ। বর্ষার সময় বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হয়ে যায়। আর বাচ্চাদের মধ্যে খুব সহজেই ছড়িয়ে যায় ইনফেকশন। তাই কাঁচা হলুদ খাওয়াতে পারলে ভাল। গরম দুধে মিশিয়ে কিংবা গরম ভাতের সঙ্গে সামান্য কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খাইয়ে দিন। এতে রোগ-সংক্রমণের থেকে রেহাই পাবে আপনার সন্তান।

৩। বর্ষাকালের আবহাওয়ার কারণে এমনিতেই সারাক্ষণ একটা ঝিমুনি ভাব থাকে। সারাদিন আপনার ছোট্ট সোনা যেন চাঙ্গা থাকে, তাই সকাল সকাল ওকে খেতে দিন বাদাম বা আমন্ড। যেদিন খাওয়া হবে, তার আগের দিন জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সারা রাত ভিজলে আমন্ড নরম হয়ে যাবে। চাইলে খোসা ছাড়িয়ে দিতে পারেন। খোসা সমেতও খাওয়াই যাই আমন্ড। তবে ছোট বাচ্চাদের দু থেকে তিনটের বেশি আমন্ড না দেওয়াই ভাল। এছাড়া কাজুবাদাম, কিশমিশ, আখরোট, খেজুর এইসবও খাওয়ানো শরীর-স্বাস্থ্যের পক্ষে প্রয়োজন।

৪। দুধ এবং দুগ্ধ-জাত উপকরণ খাওয়ান নিয়মিত। যাঁদের বাচ্চার দুধ খেলে পেটের সমস্যা হয় কিংবা গা-গোলাতে থাকে, তাঁরা দুধের বদলে বাচ্চাকে ছানা, দই এসব খাওয়াবেন। এর ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বা অভাব হবে না।

আরও পড়ুন- আজ বিশ্ব মার্টিনি ডে! ঘরেতে বন্ধুদের পার্টিতে প্রাণ দিতে বানিয়ে ফেলুন এই সুস্বাদু ককটেল

৫। সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন সবই সম পরিমাণে খাওয়া উচিত। মাছ, ডিম, মাংস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেতে দিন বাচ্চাকে। তবে রান্না খুব মশলাদার না হওয়াই মঙ্গলের। জলখাবারে রোজ একটা ডিমসেদ্ধ দিতেই পারেন।