AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Village Food: জন্ম চালে তবে অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন লাউয়ের সঙ্গে! এলেবেলে চালকুমড়োর উপকারিতা জানলে অবাক হবেন আপনিও…

Monsoon Food: চালকুমড়োর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন সি, মিনারেল, ফাইবার, ফ্যাট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, কোলেস্টেরল, আয়রন, জিঙ্ক, এবং ফসফরাস। যা শরীরের জন্য ভীষণ ভাবে উপকারী

Village Food: জন্ম চালে তবে অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন লাউয়ের সঙ্গে! এলেবেলে চালকুমড়োর উপকারিতা জানলে অবাক হবেন আপনিও...
এই সব কারণের জন্যই খান চালকুমড়ো
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2022 | 6:55 AM
Share

গ্রাম বাংলায় ঘরে ঘরে এই সবজিটি দারুণ ভাবে জনপ্রিয়। প্রচুর বাড়িতে এখনও চাষ হয়। বাংলার নানা গল্প, উপন্যাসেও রয়েছে এই সবজির অনুষঙ্গ। তবুও অনেকেই এখনও এই সবজিটির সঙ্গে পরিচিত নন। বাজারে লাউয়ের সঙ্গে পাশাপাশি দেখলে গুলিয়ে ফেলেন। নিশ্চয় বুঝে গিয়েছেন কোন সবজির কথা বলা হচ্ছে? চালকুমড়োর উপকারিতাই আজ খাকল আপনার জন্য। সাদা লকমড়ো বা জালি কুমড়ো নামেও পরিচিত এই সবজিটি। বাড়ির চালেই চালকুমড়ো হয়, তবে কুমড়োর মত দেখতে নয়। বরং অনেকখানি সাদৃশ্য আছে লাউয়ের সঙ্গে। যদিও স্বাদে ফারাক অনেকখানিই। চালকুমড়োর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন সি, মিনারেল, ফাইবার, ফ্যাট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, কোলেস্টেরল, আয়রন, জিঙ্ক, এবং ফসফরাস। যা শরীরের জন্য ভীষণ ভাবে উপকারী। এছাড়াও চালকুমড়োর শাক আর পাতাও বিভিন্ন রোগ সারিয়ে দেওয়ার জন্য বিখ্যাত। সারা বছর পাওয়া গেলেও এই বর্ষাতেই কিন্তু সবথেকে বেশি পাওয়া যায় চালকুমড়ো। ভাদ্র মাস পর্যন্ত বাজারে এর যোগান থাকে। ঠিক ভাবে চিনতে পারেন না বলে অনেকেই এড়িয়ে যান।

তবে এই লাউ আর চালকুমড়োর মধ্যে ফারাক কী ভাবে করবেন?

লাউ আর চালকুমড়ো দেখতে অনেকটা একরকম। পুজোয় চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয় এখনও। লাউ আর চালকুমড়ো দুটোই চালাতে হয়। তবে লাউ আকৃতিতে লম্বা আর চালকুমড়ো আয়তকার। লাউ কখনও গোলাকার হয় আবার কখনও লম্বা। চালকুমড়োর কিন্তু এই একটা আকৃতিতেই থাকে। এর মধ্যে কোনও ফারাক হয় না। এছাড়াও লাউ এর মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি। চালকুমড়োর মধ্যে এতটা পরিমাণ জল থাকে না। যে কারণে চালকুমড়োর তরকারির পাশাপাশি ভাজাও খাওয়া যায়। কচি লাউ তুলনায় নমনীয় হয়, যা চালকুমড়ো নয়।

পেটফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, অনিয়মিত প্রস্রাবের জন্য গরম দুধের মধ্যে ৪-৫ চামচ এই চালকুমড়োর রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এছাড়াও পেটের সমস্যা, পেটের ব্যথা কমাতেও উপকারী চালকুমড়ো। কৃমি, অম্বল সারাতে আয়ুর্বেদে নানা ভাবে ব্যবহার করা হয় চালকুমড়োর বীজকে। এছাড়াও চালকুমড়োর আরও যে সমস্ত উপকারিতা রয়েছে-

মৃগীর সমস্যায়- মৃগী রোগীদের চজন্য চালকুমড়ো ভীষণ ভাবে উপকারী। মাথা গোরা, প্রায়শই মাথা ব্যথা, ঘুমের সমস্যা এবং অতিরিক্ত স্নায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রয়েছে চালকুমড়োর। মস্তিষ্ককে সঠিক ভাবে চালনা করতেও কাজে আসে এই সবজিটি।

হৃদরোগের ক্ষেত্রে– হৃদরোগ সারাতেও কাজে আসে এই চালকুমড়ো। হার্টের রোগীদের তাই তাসকুমড়ো দিয়ে তৈরি হালুয়া খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এই হালুয়া যদি ছাগলের দুধ দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন তাহলে আরও ভাল। যদি গোরুর দুধে বানান তাহলে দুধ আগে থেকেই পাতলা করে নিতে হবে।

কাশির সঙ্গে রক্ত- শুকনো কাশির সঙ্গে অনেক সময় রক্ত ওঠে। গলা চিরে যায়। এছাড়াও যক্ষা রোগীদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা দেখা যায়। যাঁরা অনেকদিন ধরে যক্ষাতে ভুগছেন তাঁরা চালকুমড়োর রস খেলে উপকার পাবেন। চালকুমড়োর রস আর বাসক পাতার রস মিশিয়ে হাফ কাপ খেলে সেখান থেকেও পাবেন একাধিক উপকারিতা। এমনকী অর্শের সমস্যা থেকে রক্তপাত হলেও সেক্ষেত্রে কিন্তু কার্যকরী এই চালকুমড়োর রস।

জন্ডিস হলে- চালকুমড়ো বরাবর কম তেল-মশলা দিয়ে রান্না করা হয়। চালকুমড়োর মোরব্বা বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও চালকুমড়ো আমাদের শরীরে এনার্জি দেয়। পুষ্টির অভাব পূরণ করে, পরিশ্রম করার শক্তি দেয়। তাই চালকুমড়ো দিয়ে হালকা তরকারি বানিয়ে খান। এতে মুখের স্বাদ ফিরবে আর খেতেও ভাল লাগবে।

ওজন কমাতে- বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতেও ভূমিকা রয়েছে চালকুমড়োর। ওজন বাড়লে একাদিক সমস্যা আসে। শরীরে কোলেস্টেরল জমে। থেকে যায় হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনাও। তাই শরীর সুস্ত রাখতেই চালকুমড়ো খান। চালকুমড়ো খেলে রক্তনালীতে ব্লকেজ আসে না, বদহজমের সমস্যা হয় না। বরং শরীর থাকে ফিট। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই সবজিটির।