Rujuta Diwekar: শরীর সুস্থ রাখতে ডাল রান্নার কৌশল জানা আছে কি? রইল পুষ্টিবিদের পরামর্শ…

ডাল রান্না করার আগে ৩০ মিনিট অবশ্যই ভিজিয়ে রাখুন। এতে ডালের মধ্যেকার পুষ্টি সঠিক ভাবে ভেঙে রান্নায় মেশে এবং তা হজমেও সুবিধে হয়।

Rujuta Diwekar: শরীর সুস্থ রাখতে ডাল রান্নার কৌশল জানা আছে কি? রইল পুষ্টিবিদের পরামর্শ...
ডাল রান্নার এই কৌশল জানা আছে তো
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 14, 2022 | 9:11 AM

সুস্থ থাকতে এবং ফিট থাকতে কিন্তু প্রথমেই নজর দেওয়া দরকার রোজকার ডায়েটে। সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হল খাবার। সুস্থক খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অনেক সমস্যা সহজেই এড়িয়ে চলা যায়। আর এক্ষেত্রে ডাল হল সুপারফুড। ভারতীয় আবহাওয়ায় শরীর সুস্থ রাখতে ভাত-ডালের কোনও জুড়ি নেই। আমাদের প্রাথমিক খাদ্য এই ডাল-ভাত। যা সব শ্রেণির মানুষই কিন্তু খেতে পারেন। তবে সুস্থ শরীরের জন্য কোনও কিছুই মাত্রাতিরিক্ত ভাল নয়। বরং পরিমাণে খাওয়া অনেক বেশি জরুরি। সম্প্রতি সেলেব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর এই ডাল নিয়ে দারুণ উপকারী একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আর সেখানেই রুজুতা লেখেন, আমাদের দেশে প্রায় ৬৫ হাজার ডাল রয়েছে। আর এই সবকটি ডালই কিন্তু শরীরের জন্য উপকারী। যে কারণে অন্তত ৫ রকম ডাল সকলেরই খাওয়া খুব জরুরি। ডাল আমরা নানা ভাবে খেতে পারি। চাল-ডাল মিশিয়ে খিচুড়ি বানানো যায়। কিছু সবজির তরকারিও বানানো হয় ডাল দিয়েছে। এছাড়াও পাপড়, আচার, উডলি, ধোসা, লাড্ডু, হালুয়া বানাতেও কিন্তু ব্যবহার করা হয় ডাল। তা হল ডাল রান্না করার আগে অন্তত বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখা জরুরি। সেই সঙ্গে যদি দুরকমের ডাল মিশিয়ে রান্না করা হয় তাহলে তা যেন নির্দিষ্ট অনুপাতে মেশানো হয়। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ দিন ৫ রকম ডাল খান। এতে শরীরেরই উপকার হবে।

ডাল রান্না করার আগে ভিজিয়ে রাখলে ওর মধ্যেকার যাবতীয় নোংরা ধুয়ে যায়। সেই সঙ্গে ডালের মধ্যে যে সব অ্যান্টি-নিউট্রিয়েনন্টস থাকে তা ভেঙে দেওয়ার জন্য কিন্তু জলে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখা জরুরি। এছাড়াও ডাল হল প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজের সমৃদ্ধ উৎস। কিন্তু ডালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্স থাকে বলে তা হজম করতে সময় লাগে। যে কারণে অনেকেরই ডাল থেকে গ্যাস, পেট ফাঁপা, বদহজমের সমস্যা হয়। আর তাই ডাল ভিজিয়ে রেখে রান্না করার কথা বলা হয়। বরং ডাল যদি কোনও কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করা হয় তাহলে তা হজমে কোনও সমস্যাই করে না। এছাড়াও ডাল খাওয়া যেতে পারে লেবু দিয়ে। এতে খেতে যেমন ভাল লাগে তেমনই কিন্তু হজমও হয় তাড়াতাড়ি।

ডালের মধ্যে বিভিন্ন সবজি, শস্যদানা মিশিয়ে রান্না করা করলে কিন্তু সেখান থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া যায়। তবে এই ডাল বা সবজি সবই কিন্তু নির্দিষ্ট অনুপাতে মেশাতে হবে। যদি চালের সঙ্গে ডাল মেশান তাহলে ডাল-চালের অনুপাত হবে ৩:১। আর যদি কোনও শস্যদানা অর্থাৎ যব, ডালিয়ার সঙ্গে মেশান সেক্ষেত্রে সেই অনুপাত হবে ১:২। এতে কিন্তু শরীরও সঠিক পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড পায়।

তবে অনেকেই আছেন যাঁরা শেষপাতে লেবু দিয়ে এক বাটি ডাল খান। আর এভাবে ডাল খেতে পারলে সবথেকে ভাল। ডালে থাকে লাইসিন। আর লেবুর রসে থাকে মেথিওনিন। এই দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশলে শরীর সবথেকে ভাল অ্যামাইনো অ্যাসিড পায়। আর এভাবে ডাল খেলে শরীরেরও অনেক উপকার হয়। এই লেবু-ডাল অ্যান্টি এজিং হিসেবে কাজ করে। ফলে ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায় না। সেই সঙ্গে হাড় শক্তিশালী করে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও যাঁরা প্রাণীজ প্রোটিন খান না তাঁদের জন্যেও কিন্তু এই ডাল খুবই ভাল।