Energy Drinks: কাজের চাপে সময়মতো খাওয়ার সুযোগ হয় না? বানিয়ে ফেলুন ডাবের জল দিয়ে ছাতুর সরবত! রইল রেসিপি
Drink: অনেক সময়ই ব্রেকফাস্ট করার মত সময়টুকুও থাকে না অনেকের হাতে। সেক্ষেত্রে হাতের সামনে রাখুন স্মুদি, ছাতুর সরবত, ডাবের জল ইত্যাদি
কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেরই সময়ে খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ থাকে না। বিশেষত সকালের দিকে। অনেককেই সকালে তাড়াহুড়ো করে বাড়ির সব কাজ সেরে অফিসের জন্য সকাল ৯ টার মধ্যে বেরিয়ে আসতে বয়। সবার জন্য টিফিন প্যাক করে দিলেও নিজের আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। এদিকে অপিসে পৌঁছেও মিটিং এর চক্করে দীর্ঘক্ষঅণ খালি পেটে থাকতে হয়। যখন খাবার খাওয়ার সুযোগ পান ততক্ষণে পেরিয়ে গিয়েছে ব্রেকফস্টের সময়। এমনকী লাঞ্চেরও। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলে নানা শারীরিক সমস্যা তো আসেই সেই সঙ্গে গ্যাস্ট্রিকেরও সমস্য়া দেখা দেয়।
এছাড়াও খিদে বপেলে কোনও কাজই ঠিকমত হয় না। সেই সঙ্গে কমে যায় রক্তচাপও। আর তাই বিশেষজ্ঞরা দিলেন তিন পানীয়ের হদিশ। এই সব পানীয়তে যেমন শরীরে এনার্জি পাবেন, রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকবে তেমনই কিন্তু ওজনও বাড়বে না। সেই সঙ্গে সহজে বানাতে পারেন। নিয়ে যেতে পারবেন অফিসেও। সেই সঙ্গে এই সব পানীয়তে কিন্তু কোনও প্রিজারভেটিভ থাকে না। পুষ্টিবিদ লভলীন বার্ত্রা যেমন বললেন, বাজার চলতি সব পানীয়তেই যেমন অতিরিক্ত চিনি থাকে তেমনই তা বেশিদিন ভাল রাখার জন্য প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়। নিয়মিত এই সব ড্রিংক খেলে আসতে পারে কিডনির সমস্যা।
তাই চেষ্টা করুন বাড়িতে থাকা উপকরণ দিয়েই বানিয়ে নিতে। এতে আপনার তেষ্টা মিটবে, শরীর পুষ্টি পাবে, রক্তচাপও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁরাও যদি এই সব ড্রিংক খান তাহলে কিন্তু তাঁদেরও রক্ত-শর্করা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে অযথা ক্লান্তিও দূর হবে।
*আখের রস এখন প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। আর এই আখের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চামচ চিয়া সিডস। এতে স্বাস্থ্য উপকারিতা বাড়বে অনেকখানি। তবে আখের রস কিন্তু বেশিক্ষণ ফেলে রাখবেন না। অফিসে আনার এক ঘন্টার মধ্যেই খেয়ে নিন।
*ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে। আর এই এক গ্লাস ডাবের জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ছাতু দু চামচ। পেটও ভরবে। সঙ্গে শরীর পাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। ডাবের জল এমনিই মিষ্টি। ফলে এই শরবতে মেশাতে হবে না অতিরিক্ত চিনি কিংবা নুন। সেই সঙ্গে ডাবের জলে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম, এনজাইম, বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। যা আমাদের ভেতর থেকে তরতাজা রাখে।
*আবার ছাতুর সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি আর নুন একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। জল দিয়ে গুলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়েও খেতে পারেন। এতে পেট ভরা থাকে অনেকক্ষণ। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত ফ্যাটও খাওয়া হয় না।
*গ্রিন টি এক কাপ বানিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবার শসা একদম কুচি করে কেটে রাখুন। ডাবের জল নিন এক বড় কাপ। এবার গ্রিন টি, ডাবের জল, মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন। উপর থেকে ফেলে দিনশসার কুচি। ঠান্ডা অবস্থাতেই খান এই পানীয়। এতে যেমন তরতাজা থাকবেন তেমনই ডিটক্সিফিকেশনও হবে।
*দু চামচ ওটস, হাফ গ্লাস দুধ, সবেদা আর খেজুর একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। খাওয়ার আগে মিশিয়ে নিন এক চামচ পিনাট বাটার। এই ড্রিংক খেতে যেমন ভাল লাগবে তেমনই পেট ভরা থাকবে অনেকক্ষণ। যাঁদের ব্রেকফাস্ট বানানোর সময় থাকে না তাঁরা এই ড্রিংক খেতেই পারেন।