Raisin Benefits: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে জুড়ি মেলা ভার সবুজ কিশমিশের, কী ভাবে সেবন করবেন জানুন…
Benefits of Raisins: কিশমিশ শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিশমিশের মধ্যে থাকে ডায়েটারি ফাইবার। যা শিরায় জমে থাকা কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে
ডায়াবেটিসের মতই দিনের পর দিন ঘরে ঘরে বাড়ছে কোলেস্টেরলের সমস্যা। কোলেস্টেরল দুই প্রকার। একটা ভাল এবং অন্যটা খারাপ। একটার মধ্যে থাকে উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন। অন্যটির মধ্যে থাকে নিম্ন ঘনত্বের লাইপ্রোটিন। আর এই লাইপোপ্রোটিনের পরিমাণ বাড়তে শুরু করলে তা শিরায় জমতে থাকে। এর ফলে শিরার সান্দ্রতা বৃদ্ধি পায়। তখন রক্তপ্রবাহ বাধা পায়। আর এক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে সবুজ কিশমিশ। সবুজ কিশমিশ নিয়ম করে খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়। মহিলা এবং পুরুষ উভয়ের জন্যই খুব ভাল হল এই কিশমিশ। জেনে নিন কীভাবে খাবেন-
পুষ্টিবিদরা বলছেন দিনের মধ্যে ১০-১২ টি কিশমিশ খাওয়া যেতে পারে। তবে যদি সুগার থাকে তাহলে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কখন খাবেন কিশমিশ?
কিশমিশ খাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় হল সকালবেলা। সকালে খালি পেটে কিশমিশ খেলে সবচাইতে ভাল ফল পাওয়া যায়। আগের রাতে এক কাপ জলে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে সেই জল ছেঁকে খেয়ে নিতে হবে। এরপর সবুজ কিশমিশ চিবিয়ে খান।
কিশমিশ শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিশমিশের মধ্যে থাকে ডায়েটারি ফাইবার। যা শিরায় জমে থাকা কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধানেও সাহায্য করে এই কিশমিশ।
পুরুষদের জন্যেও খুব ভাল হল এই কিশমিশ। আজকাল সকলেরই কাজের চাপ খুব বেশি। ফলে সারাদিন শরীরে ক্লান্তিভাব লেগেই থাকে। কিশমিশের মধ্যে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালোরি। যা প্রাকৃতিক শর্করা হিসেবে কাজ করে এবং শরীরে এনার্জি দেয়।
বয়স বাড়লে মহিলাদের শরীরে একাধিক সমস্যা আসে। আর তার মধ্যে অ্যানিমিয়া আর হাড়ের সমস্যা অন্যতম। একটা বয়সের পর মহিলাদের হাড় কমজোরি হয়ে পড়ে। সহজেই ভেঙে যেতে পারে। সেই সঙ্গে শরীরে আয়রনের পরিমাণও কম থাকে। এক্ষেত্রে ভাল কাজ করে কিশমিশ। কিশমিশ ভেজানো জল রোজ খেলে শরীরে ক্যালশিয়ামের পরিমাণের মধ্যে সমতা বজায় থাকে।
সবুজ কিশমিশে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল, যা দাঁত ও মাড়ির জন্য ভালো। এই উপাদানগুলি ক্যাভিটি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং মুখের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। এর ফলে দাঁতেও কম ব্যথা হয়।