Shyama Chaler Khichuri: নীল ষষ্ঠীর উপবাস সেরে দুপুরে বানিয়ে নিন শ্যামা চালের খিচুড়ি
Kauns Khichuri: নীলের উপোসের আগের দিনেও কোনও রকম আমিষ খাওয়া চলে না। এই দিনটিকে বলা হয়ে নীলাম
চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন পালন করা হয় নীল ষষ্ঠী। বাংলার লোকায়ত ধর্মীয় উত্সবগুলির অন্যতম হল এই নীলষষ্ঠী। সন্তানের মঙ্গল কামনা করে এদিন নির্জলা উপবাস পালন করেন বাংলার মায়ের। এই ষষ্ঠীর নাম নীল হলেও মূলত মহাদেবের আরাধনা করা হয়। সকাল থেকে উপবাসে থেকে পুজো দিয়ে তবেই জল খান মায়েরা। সন্তানবতী মায়েরা সন্তানের মঙ্গল প্রার্থনা এই ব্রত পবালন করেন বলে নীল ষষ্ঠীর সঙ্গে প্রচলিত কথা হল – ‘নীলের ঘরে দিয়ে বাতি, জল খাওগো পুত্রবতী।’ এদিন বেল, আম দিয়ে পুজো দেওয়ার রীতি রয়েছে। এই দিন থেকে গ্রাম বাংলায় চড়ক পুজো শুরু হয়। অনেক জায়গাতে মেলাও বসে। বলা হয় এই ষষ্ঠীর দিনে নীলাবতীর সঙ্গে মহাদেবের বিবাহ হয়েছিল। আর তাই বিশেষ এই দিনটিকে নীলষষ্ঠীও বলা হয়। এমনও শোনা যায় যে এই ষষ্ঠীর ব্রত রেখে এক নিঃসন্তান দম্পতি সন্তান লাভ করেছিলেন। সেখান থেকেও নীলের উপোসের প্রচলন হয়েছে।
নীলের উপোসের আগের দিনেও কোনও রকম আমিষ খাওয়া চলে না। এই দিনটিকে বলা হয়ে নীলাম। শিবের মাথা জল ঢেলে এসে অনেকেই সাবুমাখা খান। কেউ খান শাবুর খিচুড়ি। তবে এই সাবু থেকে অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার দুধ, কলা দিয়ে অনেকেই সাবু মেখে খেতে পারেন না। আর তাই বাড়িতে শ্যামা চাল দিয়ে খিচুড়ি বানিয়ে খেতে পারেন। এদিন চালের জিনিস অনেকেই মুখে তোলেন না। পরিবর্তে ডালিয়া খান। ডালিয়া আবার কিছুজনের সহ্যও হয় না। সেক্ষেত্রে ভাল অপশন হল এই শ্যামা চাল। মূলত মিলেটের থেকে কৈরি হয়। এই চালকে কাওন চালও বলা হয়।
শ্যামা চাল এককাপ নিয়ে ভাল করে আগে শুকনো কড়াইতে নেড়ে নিতে হবে। এবার তা ভিজিয়ে রাখুন জলে। মুগ ডালও শুকনো কড়াইতে নেড়ে নিয়ে গরম জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ফুলকপি আর আলু বড় বড় করে কেটে নিন। কড়াইতে তেল দিয়ে প্রথমে আলু ভেজে তুলে রাখুন। একে একে ফুলকপি আর গাজর ভেজে নিন। এবার ওই সরষের তেলে গোটা জিরে, হিং আর শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে প্রথমে ডাল দিন। এবার চাল দিয়ে কষিয়ে স্বাদমতো নুন, হলুদ, জিরে গুঁড়ো আর শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এবার ভেজে রাখা সবজি গুলো দিয়ে জল মিশিয়ে দিন। ফুটে এলে স্বাদমতো চিনি ছড়িয়ে, ভাজা মশলার গুঁড়ো আর কাঁচা লঙ্কা চেরা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।