AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Worst Drinking Habits: নিয়মিত এই সব বদঅভ্যাসের কারণেই কিন্তু বাড়ে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি! কড়া সতর্কতা পুষ্টিবিদদের

Diabetes: ডায়াবিটিসের জন্য দায়ী কিন্তু আমাদের রোজকার জীবনযাত্রা। নিয়মিত ভাবে অ্যালকোহল খেলে, কোল্ড ড্রিংক আইসক্রিম বেশি পরিমাণ খেলে সেখান থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যা আসতে বাধ্য।

Worst Drinking Habits: নিয়মিত এই সব বদঅভ্যাসের কারণেই কিন্তু বাড়ে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি! কড়া সতর্কতা পুষ্টিবিদদের
মিষ্টি ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলাই ভাল
| Edited By: | Updated on: Mar 08, 2022 | 3:30 AM
Share

রোজকার জীবনযাত্রা, খাদ্যগ্রহণের অভ্যাস, শারীরিক সমস্যা এই সবকিছুই কিন্তু প্রভাব ফেলে আমাদের শরীরে (Health Problem)। দিনের পর দিন অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যালোরি খাওয়া, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা এবং মদ্যপান-ধূমপানের অভ্যাস বাড়িয়ে দেয় ডায়াবিটিসের ঝুঁকি (Diabetes)। ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলেই কিন্তু সেখান থেকে আভ্যন্তরীন আরও নানা জটিলতা তৈরি হয়। পরবর্তীকালে চোখ, কিডনির মত সমস্যা জটিল হয়। যে কারণে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। আর এই গ্লুকোজ কিন্তু আমাদের শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। আর তাই রক্তে যদি চিনির পরিমাণ খুব বেশি বেড়ে যায় বা কমে যায় তখনও কিন্তু একাধিক সমস্যা আসে। ডায়াবিটিসের (Type 2 Diabetes) প্রধান লক্ষণ হল ক্লান্তি, উদ্বেগ, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন।

এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে খুব বেশি তেষ্টাও থাকে। রক্তে যদি সুগারের মাত্রা খুব বেশি হয়ে যায় তখন ঘন ঘন তেষ্টার সঙ্গে প্রস্রাবেও যেতে হয়। যদি এই লক্ষণ দেখেন, তাহলে বুঝবেন পরিস্থিতি জটিল। সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই রাশ টানতে হবে রোজকার জীবনযাত্রায়। পুষ্টিবিদদের মতে আমাদের এই কিছু খারাপ অভ্যাসই কিন্তু দায়ী ডায়াবিটিসের সমস্যার জন্য।

নিয়মিত অ্যালকোহল খাওয়া- পরিমিত অ্যালকোহলও কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। আর তাই রোজ কতটা পরিমাণ অ্যালকোহল খাচ্ছেন সেদিকে অবশ্যই নজর রাখবেন। যাঁদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া রয়েছে এবং নিয়মিত ওষুধ খান তাঁরা যদি অ্যালকোহল খেতে শুরু করেন তাহলে শরীরে উল্টো প্রতিক্রিয়া হয়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল খেলে কিন্তু ঘুমও ঠিকমত হয় না। ফলে ডিহাইড্রেশনের মত সমস্যা হয়। আর কোনও রকম ককটেল কিন্তু সুগারের জন্য আরও বেশি ক্ষতিকারক।

জল কম খাওয়া- জল কম খেলেও শরীরে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এই জল কম খাওয়াকেও কিন্তু সুগার বাড়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। জল আমাদের শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। সেই সঙ্গে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও কিন্তু সাহায্য করে। যাঁদের সুগারের সমস্যা রয়েছে তাঁরা যদি প্রতিদিন ৮-৯ গ্লাস জল খান তাহলে কিন্তু সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে।

অত্যধিক চিনি যুক্ত পানীয় খাওয়া- নিয়মিত ভাবে কোল্ড ড্রিংক, শেক এখব খেলে কিন্তু সুগার বাড়তে পারে। কারণ এই সবকটি ঠান্ডা পানীয়ের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ চিনি। তাই নিয়মিত ভাবে সোডা, চা, জুস,এসব খেলে কিন্তু ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা ২৬ শতাংশ বেড়ে যায়। পরিবর্তে চাহিদা মেটাতে বেশি করে জল খান।

খালি পেটে অ্যালকোহল খেলে- খালি পেটে অ্যালকোহল খেলে তা কিন্তু শরীরের পক্ষে আরও অনেক বেশি ক্ষতিকারক। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস পায়। অ্যাংসাইটি বাড়ে। আর সেখান থেকে কিন্তু অতিরিক্ত খিদেও পায়। যে কারণে অ্যালকোহল খাওয়ার আগে যে কোনও একটি প্রোটিন খান। ডিম সিদ্ধর সঙ্গে পিনাট বাটার ব্রেড খেয়ে অ্যালকোহল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। কিংবা খেতে পারেন চিজ।