নিজের হাতের রান্না যতই ভাল হোক না কেন রোজ খেতে গেলে একটা একঘেঁয়েমি আসেই। তখন মনে হয় অন্য কেউ যদি একটু রান্না করে খাওয়াতো তাহলে কতই না ভাল হত। যে কোনও কিছুই একটানা করলে তাতে বিরক্তি আসে। ক্লান্ত বোধ হয়। আসলে সবকিছুরই স্বাদ বদলের প্রয়োজন হয়।
যে কোনও তরকারিতেই নুন, মশলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ঝাল, মিষ্টি, মশলা ঠিকমতে না পড়লে তরকারি নষ্ট হয়ে যায়। আর তাই রইল কিছু সহজ টিপস। এতে রান্নার স্বাদ ভাল হবে। কর্মরতা মানুষদের জন্যও রইল এই টিপস
মুসুরের ডাল বানালে ফোড়ন হিসেবে কাঁচালঙ্কা, রসুন কুচি, কালোজিরে ফোড়ন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কিছু কিছু রান্নার ক্ষেত্রে লঙ্কা গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। তবে এই গুঁড়ো লঙ্কা যত কম ব্যবহার করতে পারবেন ততই ভাল।
অনেকেই তরকারিতে নুন দেওয়ার সময় চামচ ব্যবহার করেন। তবে নুন দেওয়ার ক্ষেত্রে হাত ব্যবহার করাই ভাল। এতে কম বেশি হওয়ার সম্ভাবনাও কম। নুন হাতে করে খাবারের উপর ছড়িয়ে দিন। খাবার সিদ্ধ হলে তবেই নুন দিন।
রান্নায় স্বাদ বদল করতে চাইলে জিরে আর ধনে ব্যবহার করুন। জিরে, ধনে শুকনো কড়াইতে নেড়ে নিন। এবার জিরে, ধনে, গোলমরিচ, শুকনো লঙ্কা একসঙ্গে পেষাই করে নিয়ে রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। এতে গ্যাস, অম্বলের সম্ভাবনা কম।
গুঁড়ো মশলা নানারকমের তরকারিতে দুই থেকে তিন রকমের দেওয়া হয়েই থাকে রোজ। এগুলো সরাসরি রান্নায় যোগ না করে সামান্য পেস্ট ম বানিয়ে নিন। একটি বাটিতে গুঁড়ো মশলা নিন পরিমান মত। তারপর তাতে দিন সামান্য জল। যাতে একটা পেস্ট তৈরি হয়। এভাবে যেকোনো গুঁড়ো মশলা তরকারিতে যোগ করলে স্বাদ হয়ে ওঠে দ্বিগুণ।