জিনস কেনার আগে কী কী বিষয় মনে রাখবেন?
সুন্দর জিনস সংগ্রহে থাকলে আলাদা করে ফ্যাশন নিয়ে আর ভাবতে হয় না। যে কোনও সময়, যে কোনও অনুষ্ঠানে নিজস্ব স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করে ফেলতে যথেষ্ট।
নীল রঙা জিনস। কোনওয়া আবার ফেডেড। কালোও আছে কয়েকটা। কোনওটা আবার হালকা নীল। ওয়ার্ড্রোব খুঁজলে এমন কালেকশন নিঃসন্দেহে পাওয়া যাবে। সুন্দর জিনস সংগ্রহে থাকলে আলাদা করে ফ্যাশন (Fashion) নিয়ে আর ভাবতে হয় না। যে কোনও সময়, যে কোনও অনুষ্ঠানে নিজস্ব স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করে ফেলতে যথেষ্ট। কিন্তু জিনস কেনার সময় কয়েকটা সাধারণ জিনিস মনে রাখলে আপনারই সুবিধে। জিনসটি অনেকদিন পরতে পারবেন। একই সঙ্গে পরে আরামও পাবেন।
১) কোন কাপড় দিয়ে জিনসটি তৈরি হয়েছে, তা ভাল করে জেনে নিন কেনার আগেই। অর্থাৎ মেটিরিয়াল কম্পোজিশন। স্কিনি জিনসের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩ শতাংশ লাইক্রা বা স্প্যানডেক্স থাকলে আকৃতি বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেই তুলনায় সুতির ভাগ বেশি থাকলে ধোওয়ার সময় সংকুচিত হওয়ার সম্ভবনা বেশি।
আরও পড়ুন, পোশাকে দাগ লাগলে বা ইস্ত্রি না করা থাকলে, কী করবেন?
২) জিনসের সেলাই নিয়ে অনেকেই খুব একটা ভাবেন না। উপর থেকে দেখলে মজবুতই মনে হবে। কিন্তু খুঁটিয়ে সেলাই দেখে নিন। যাতে অনেকদিন পর্যন্ত জিনসটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
৩) অনলাইন সেলে জিনিস কেনা অনেকের অভ্যেস। আপনিও কিনতে পারেন। কিন্তু জিনস কেনার ক্ষেত্রে ছাড় বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। জিনসের ফিটিংস খুব গুরুত্বপূর্ণ। ছাড়ে কেনা জিনিস অনেক সময় বদলানোর সুযোগ থাকে না। ফলে আপনার পছন্দের জিনসটি হয়তো দেখতে ভাল লাগলেও, পরে আরাম পেলেন না।
আরও পড়ুন, কেমন পোশাক পরলে আপনাকে লম্বা দেখতে লাগবে?
৪) ডেনিম আপনার শরীরে ফিটিংস হতে একটু সময় লাগে। তাই জিনস কিনতে গিয়ে ট্রায়াল দেওয়ার সময় শুধু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। বরং বসে, হেঁটে, লাফিয়ে অর্থাৎ যত ভাবে সম্ভব, জিনস ফিটিংস হল কি না, পরখ করে নিন।