Parenting Tips: বাচ্চার সামনে ভুলেও করবেন না এই ৪ কাজ, নইলেই বিপদ!
সন্তান ও বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে জন্মের আগে থেকেই। এই সম্পর্ক সবচেয়ে গভীর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়। বা কখনও দুর্বল হয়। মা-বাবার আচরণের উপর অনেকটা নির্ভর করে সন্তান ভবিষ্যতে কেমন আচরণ করবে।
বাবা-মা হওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আনন্দের পাশাপাশি বড় দায়িত্বেরও। প্রত্যেক বাবা-মা তাদের সন্তানকে আরও ভালো করে লালন-পালন করার চেষ্টা করেন। যাতে সন্তানের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হয়। এবং সে আরও ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারে। বাবা-মা হলেন সন্তানের প্রথম শিক্ষক। অভিভাবকরাই সন্তানদের কাছে প্রথম রোল মডেল। সন্তান যখন বড় হতে থাকে, তখন প্রথমে তারা বাবা-মায়ের কাছ থেকে শেখে। এবং পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নানা জিনিস শেখে। ছোট বাচ্চারা দ্রুত সব কিছু শিখতে পারে। এবং তা অনুসরণ করে। তাই বাচ্চাদের সামনে যে কোনও কাজ খুবই ভেবেচিন্তে করা দরকার।
সন্তান ও বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে জন্মের আগে থেকেই। এই সম্পর্ক সবচেয়ে গভীর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়। বা কখনও দুর্বল হয়। মা-বাবার আচরণের উপর অনেকটা নির্ভর করে সন্তান ভবিষ্যতে কেমন আচরণ করবে। পারিবারিক পরিবেশও এক শিশুর উপর বড় প্রভাব ফেলে। আর এক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। বাচ্চার সামনে বেশ কিছু কাজ কখনও করা উচিত নয়। তা হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ভুল করেও মিথ্যে কথা বলবেন না
এই খবরটিও পড়ুন
বাবা-মায়েরা সবসময় শিশুদের শেখায় যে মিথ্যা বলা ঠিক নয়। কিন্তু শিশুরা এটি তখনই শিখবে, যখন তারা বড়দের সত্যি কথা বলতে দেখবে। বাবা-মা যেন ভুল করেও সন্তানের সামনে মিথ্যা না বলেন। সেদিকে নজর রাখতে হবে। যদি কোনও মা-বাবা সন্তানের সামনে মিথ্যা কথা বলেন, তাতে শুধু সন্তান মিথ্যা বলা শিখবে না, তাদের চোখে বাবা-মায়ের প্রতি সম্মানও কমে যাবে।
খারাপ অভ্যাসগুলো শিশুদের সামনে আসতে দেবেন না
ধূমপান, মদ্যপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বাবা-মায়ের এই অভ্যাসটি ত্যাগ করা উচিত। বাচ্চাদের সামনে কোনও ধরণের ধূমপান করা ঠিক নয়। মা-বাবাকে সামনে থেকে এ কাজ করতে দেখলে বাচ্চার উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। এবং তারা ভবিষ্যতে এই কাজে লিপ্ত হতে পারে।
খারাপ কাজ করার অভ্যাসকে বিদায় জানাতে হবে
কারও সঙ্গে খারাপ কিছু করা কেবল সময়ের অপচয়। বিশেষত বাচ্চাদের সামনে খারাপ কোনও কাজ করা উচিত নয়। শিশুদের সামনে তাদের নিয়ে সমালোচনাও এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এতে তাদের মনোবল ভেঙে যায়। বাচ্চা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে পারে। এতে মা-বাবার থেকে দূরত্ব বাড়তে পারে। নিজেদের মনের কথা বলতে লজ্জা পেতেও পারে।
মারপিটের পথে কখনও হাঁটবেন না
শিশুরা বড়দের কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখে। তাদের মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধি ভালো হওয়ার জন্য বাড়ির পরিবেশ সুস্থ থাকা খুবই জরুরি। মা-বাবার কখনওই বাচ্চাদের সামনে ঝগড়া করা উচিত নয়। যদি কখনও এমন পরিস্থিতি হয়, যা নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তা হলে বাচ্চা সামনে থাকলে সেই সময়ে মর্যাদাপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করা উচিত। অশালীন শব্দ দিয়ে কথা বললে তা শিশুমনে গভীর প্রভাব ফেলে।