Monsoon Trip: বিপদ এড়াতে বর্ষায় কোন কোন জায়গায় ভ্রমণের পরিকল্পনা করবেন না…
Travel Tips: বিশেষত বর্ষায় বেড়াতে যাওয়ার আগে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখা জরুরি। কারণ দুর্ঘটনা কখনও বলে-কয়ে আসে না।
যাঁরা ঘুরতে ভালবাসেন তাঁদের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী করে রাখা বেশ মুশকিল। কিন্তু যে কোনও ঋতুতে ভারতের যে সব জায়গায় যাওয়া যায়- এই ধারণাটা একদম ভুল। বিশেষত বর্ষায় বেড়াতে যাওয়ার আগে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখা জরুরি। কারণ দুর্ঘটনা কখনও বলে-কয়ে আসে না। যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে যা কিছু। যতই হোক প্রকৃতি তো নিজের নিয়মেই চলে। সুতরাং নিজের সাবধানতা নিজের কাছে। বর্ষায় ভারতের কোন-কোন জায়গা এড়িয়ে চলবেন, দেখে নিন…
উত্তরাখণ্ড- বাঙালি পাহাড়ের মায়া ত্যাগ করতে পারে না। শৈলশহর এবং ট্রেকিংয়ের জন্য অনেকেই উত্তরাখণ্ডকে বেছে নেন। কিন্তু বর্ষায় দেবভূমি না যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। একটু ফিরে তাকালেই দেখা যাবে এর কারণ। প্রতি বছর বর্ষার সময় ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয় উত্তরাখণ্ড। অগস্ট-সেপ্টেম্বরে বার বার দেবভূমিতে নেমে আসে বন্যা, ধস। তাই এই সময় উত্তরাখণ্ড না যাওয়াই ভাল।
হিমাচল প্রদেশ- উত্তরাখণ্ডের মতো, হিমাচলেও বেশ কিছু জনপ্রিয় শৈলশহর রয়েছে। সেখানে খুব একটা বিপর্যয়ের সম্ভাবনা না থাকলেও কোনও ভাবেই এড়ানো যায় না দুর্ঘটনার ঝুঁকি। বিশেষত, বর্ষার সময় হিমাচল প্রদেশে ট্রেক করতে যাবেন না। পাহাড়ে ভূমিধসের কিন্তু কোনও ভাবেই এড়ানো যায় না। দুর্ঘটনার সম্মুখীন না হলেও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক সময় পাহাড়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে আটকে পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
উত্তরবঙ্গ- বাঙালি দু’দিনের ছুটিতেও উত্তরবঙ্গ যাওয়ার প্ল্যান করে। কিন্তু বর্ষায় এই কাজ করার আগে একবার খবরের কাগজের পাতায় চোখ রাখুন। ভূমিধস, ভারী বৃষ্টির ছবি ধরা পড়বে। তাছাড়া এই কারণে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গা ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ের অফবিটের মায়া কিছু দিনের জন্য ত্যাগ করুন। তবে ডুয়ার্স যাওয়ার পরিকল্পনা করতেই পারেন।
সিকিম- দার্জিলিংয়ের মতোই বর্ষায় সিকিমও ঝুঁকিপূর্ণ। হয়তো আপনি বিমানে চেপে পৌঁছে গেলেন সিকিম। কিন্তু সিকিমের মধ্যে থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘোরার জন্য গাড়ি ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। তাছাড়া ট্রেনে করে গেলেও নিউ জলপাইগুড়ির পর আপনাকে গাড়িরই সাহায্য নিতে হবে। আর এখানেই ঝুঁকির সম্ভাবনা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। সিকিমে ভূমি ধসের ঘটনা নতুন নয়। অল্প বৃষ্টিতেও ধস নামার সম্ভাবনা থাকে সিমিকের রাস্তায়। সেক্ষেত্রে তৈরি হয় প্রাণের ঝুঁকি।