Travel: আপনার জন্য খোঁজ রইল ভারতের কিছু আকর্ষণীয় ভ্রমণ স্থানের!
ভারতেই এমন অনেক ভ্রমণস্থান রয়েছে, যেখানে না গেলে হয়তো জীবনে অনেক কিছুই অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। এরকমই ৫টি জায়গার খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা আপনার জন্য।
ভারতেই এমন অনেক ভ্রমণস্থান রয়েছে, যেখানে না গেলে হয়তো জীবনে অনেক কিছুই অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। এরকমই ৫টি জায়গার খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা আপনার জন্য।
ডামরো, অরুণাচল প্রদেশ
অরুণাচল প্রদেশের আপার সিয়াং এর মারিইয়াং ব্লকে অবস্থিত ডামরো গিদুম। একে অরুণাচলের ‘হাইডিং জেমস’ বললেও ভুল হবে না। এটি অরুণাচল প্রদেশের দীর্ঘতম ঝুলন্ত ফুটব্রিজ, যা ইয়ামন নদীর ওপরে রয়েছে। এটি বেত এবং তার দিয়ে তৈরি সাসপেনশন কেবলের মধ্যে ঝুলিয়ে রাখা রয়েছে। আর প্যানেলিংয়ের জন্য বিভক্ত বাঁশ দিয়ে তৈরি রাস্তা রয়েছে। এই জায়গাটি মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবনযাত্রার জন্য উল্লেখযোগ্য, যা আপনি এখানে গেলেই উপলব্ধ করতে পারবেন। এখানের বাড়ি গুলিও বাঁশের তৈরি আর মাথার ওপর রয়েছে বাঁশেরই ছাউনি।
গিরনার হিল, গুজরাট
জুনাগড় শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গুজরাটের গিরনার পাহাড়। এটি হিমালয়ের চেয়েও প্রাচীন বলে মনে করা হয়। বিশেষত এটি ধর্মীয় স্থান, কিন্তু তা সত্ত্বেও আপনি যদি ভ্রমণপিপাসু হন এবং ট্রেকিংয়ের প্রতি ঝোঁক থাকে তাহলে অনাহাসে চলে যেতে পারেন এই গিরনার হিলে। এটি রেভাতক পর্বত নামেও পরিচিত এবং হিন্দু ও জৈন মন্দির দ্বারা জায়গাটি বেষ্টিত। ওপর পৌঁছানোর জন্য আপনাকে অতিক্রম করতে হবে ১০,০০০ পাথরের সিঁড়ি। এখানের জৈন মন্দির দ্বাদশ শতাব্দীর প্রাচীন একটি মন্দির। জৈন মন্দির থেকে কিছুটা উঁচুতে উঠলেই পেয়ে যাবেন হিন্দু মন্দির।
লিভিং রুট ব্রিজ, মেঘালয়
খাসি অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দর্শনীয় স্থান হল এই লিভিং রুট ব্রিজ। এই আশ্চর্যজনক সুন্দর ব্রিজটি বছরের বেশির ভাগ সময়ই কুয়াশায় ঢাকা থাকে। মানব জাতিরই সৃষ্টি এই ব্রিজ। জীবন্ত শিকড় দ্বারা তৈরি এই সেতুগুলির পিছনে রয়েছে মূলত খাসি উপজাতিরা। তাঁরাই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রাচীন রাবার গাছের শিকড় থেকে এখানের ব্রিজগুলি নির্মাণ করেছে। গাছের নতুন শিকড় এই সেতুকে বেষ্টন নতুন সেতু তৈরি করতে সময় নেয় প্রায় ১৫ বছর। যত দিন যায় ততই সেতুও শক্তিশালী হতে থাকে।
রূপকুন্ড, উত্তরাখণ্ড
রূপকুণ্ড হিমালয় অঞ্চলের একটি হিমবাহ হ্রদ যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫,০২৯ মিটার (১৬,৫০০ ফুট) উপরে অবস্থিত এবং তুষারাবৃত পর্বত এবং হিমবাহ দ্বারা পরিবেষ্টিত। কিন্তু, এখানে মূল আকর্ষণ হল ভূপৃষ্ঠের নীচে থাকা প্রায় ৬০০ থেকে ৮০০ মানুষের হাড়। মনে করা হয় এগুলি নবম শতাব্দীতে কনৌজ রাজা এবং তাঁর প্রজাদের ধ্বংসাবশেষ। এই হ্রদে গেলে এখনও আপনি হাড়গুলি দেখতে পাবেন। তবে এখানের প্রাকৃতিক দৃশ্যও বেশ মনোরম। ট্রেক করে অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারেন রূপকুন্ড।
লোকতক লেক, মনিপুর
বিশ্বের ভাসমান হ্রদ এই লোকতক মণিপুরে অবস্থিত। এটি উত্তর পূর্ব ভারতের বৃহত্তম ফ্রেশ জলের হ্রদ এবং ভারতের অন্যতম আকর্ষণীয় ভ্রমণ স্থান। এই হ্রদ এর জৈব উপকরণ, উদ্ভিদ এবং মাটির প্রাচুর্যের জন্য সুপরিচিত। এটি ৩০০ বর্গমিটার অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত এবং এই হ্রদকে কেন্দ্র করেই এই অঞ্চলের বাসিন্দারা জীবিকা নির্বাহ করে।