Dhola Sadiya Bridge: জলের উপর ভারতের দীর্ঘতম সেতুর নাম কী? রইল অবিশ্বাস্য তথ্য!

India’s longest bridge: উদ্ভিন্ন যৌবনা নারীর কটিদেশের মতো এই ব্রিজের বাঁক থেকে নজরে আসে অপার লোহিত নদী এবং আসামের উপত্যকার অপরূপ সৌন্দর্য!

Dhola Sadiya Bridge: জলের উপর ভারতের দীর্ঘতম সেতুর নাম কী? রইল অবিশ্বাস্য তথ্য!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2022 | 10:27 PM

ধোলা সাদিয়া ব্রিজ ( Dhola Sadiya Bridge) ভারতের অন্যতম দীর্ঘ সেতু! এই ব্রিজটি ভূপেন হাজারিকা সেতু (Bhupen Hazarika Setu) নামেও প্রসিদ্ধ। মানুষের হাতে তৈরি অদ্ভুত সুন্দর এই সেতু দেখতেই শুধু অসমে (Assam) যাওয়া যায়। অরুণাচল ও অসমের মধ্যে দূরত্ব ঘোচাতে সাহায্য করেছে সেতুটি। ৯.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বিম ব্রিজটি তৈরি হয়েছে অসমের লোহিত নদীর উপর। ব্রহ্মপুত্রের অন্যতম বৃহৎ উপনদী লোহিত। ভারতে জলের উপর গড়ে ওঠা সবচাইতে বড় সেতু ধোলা সাদিয়া ব্রিজ। প্রশ্ন হল কেন এমন নাম? আসলে ব্রিজটি উত্তর অসমের সঙ্গে পূর্ব অরুণাচলকে যুক্ত করছে। কীভাবে? অসমের তিনসুকিয়া জেলার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে লোহিত নদী। লোহিত নদীর একদিকে ধোলা এবং অন্যদিকে সাদিয়া। আর সাদিয়া থেকে অরুণাচলের ঢিল ছোড়া দূরত্ব। লোহিত নদীর কারণে অসম থেকে অরুণাচলে দ্রুত পৌঁছানো অসম্ভব ছিল। ঢোলা সাদিয়া ব্রিজ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে।

ফলে বোঝাই যাচ্ছে ব্রিজটির কত গুরুত্ব। অরুণাচলে সম্প্রতি একটি বিমানবন্দর গড়ে উঠেছে বটে, তবে দীর্ঘসময় সেখানে কোনও বিমানবন্দর ছিল না। অসমের বিমানবন্দরের উপরেই নির্ভর করে থাকতে হতো অরুণাচলকে। এই সেতুর কারণেই অরুণাচলের রাজধানী ইটানগর থেকে অসমের ধোলায় পৌঁছানো যায় ৪ ঘণ্টায়। উল্টোদিকে অসম থেকেও অরুণাচলের আনজাও, চাংলাং, দিবাং উপত্যকা, পূর্ব কামেং, পূর্ব সিয়াং-এর মতো পর্যটন স্থলে চলে যাওয়া যায় সহজেই।

মুম্বইয়ের বান্দ্রা ওরলি সি লিঙ্ক ব্রিজের চাইতেও ভূপেন হাজারিকা ব্রিজ প্রায় ৩.৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। সেতুর উপর দিয়ে যে সমস্ত পর্যটকরা গিয়েছেন, তাঁদের দাবি উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে এই ব্রিজে অন্তত একবার উঠতেই হবে!

বিশেষ করে উদ্ভিন্ন যৌবনা নারীর কটিদেশের মতো এই ব্রিজের বাঁক থেকে নজরে আসে অপার লোহিত নদী এবং আসামের উপত্যকার অপরূপ সৌন্দর্য! ন্যাশনাল হাইওয়ে ৭১৫ ধরে ধোলা সাদিয়া ব্রিজ থেকে গুয়াহাটির দূরত্ব ৫৪৪ কিলোমিটার। ফলে অসমে গেলে অবশ্যই এই ব্রিজের দর্শন করা উচিত পর্যটকদের। সেইসঙ্গে দুর্দান্ত একটা রোড ট্রিপও হয়ে যাবে।

পর্যাটকদের কাছে যেমন এই ব্রিজ নয়নলোভা, তেমনই দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রেও ব্রিজটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কারণ অরুণাচলের পর থেকেই শুরু হচ্ছে চিনের সীমান্ত। ফলে অরুণাচলে মোতায়েন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে দ্রুত রসদ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও ব্রিজটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২০১১ সালে ব্রিজটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। খরচ হয়েছিল প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। ব্রিজটি ভারতের গর্ব বললেও কম বলা হয়। ২০১৭ সালে ব্রিজটির উদ্বোধন করা হয়।