Darjeeling: এপার বাংলা থেকে ব্রিজ পেরোলেই পৌঁছে যাবেন সিকিমের রংপো; জেনে নিন দার্জিলিংয়ের এই চা-বাগানের গল্প

Badamtam Tea Garden: বর্তমানে দার্জিলিংয়ের আশেপাশে লুকিয়ে থাকা যে সব পাহাড়ি গ্রামগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, সেই তালিকায় বাদামতাম এখনও জায়গা করে উঠতে পারেনি।

Darjeeling: এপার বাংলা থেকে ব্রিজ পেরোলেই পৌঁছে যাবেন সিকিমের রংপো; জেনে নিন দার্জিলিংয়ের এই চা-বাগানের গল্প
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2022 | 3:20 PM

দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের চেনা পাহাড়ি রাস্তার বাইরেও উত্তরবঙ্গের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে রয়েছে অসংখ্যা গ্রাম। এগুলোই এখন বাঙালির কাছে হয়ে উঠেছে অফবিট। এর মধ্যে কোনও পাহাড়ি গ্রাম থেকে দেখা মেলে ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘার। আবার কোনও গ্রামের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে শান্ত পরিবেশে। আবার কিছু কিছু পাহাড়ি গ্রামের সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে ওই গ্রামের চা বাগানের কোলে। এমনই একটি জায়গা হল বাদামতাম। দার্জিলিং থেকে যে রাস্তা লেবংয়ের দিকে যাচ্ছে, ওই পথ ধরে ২১ কিলোমিটার গেলেই চোখে পড়বে ঢেউ খেলানো সবুজ চা বাগান। এটাই বাদামতাম টি এস্টেট।

বর্তমানে দার্জিলিংয়ের আশেপাশে লুকিয়ে থাকা যে সব পাহাড়ি গ্রামগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, সেই তালিকায় বাদামতাম এখনও জায়গা করে উঠতে পারেনি। তবে বাদামতামের কাছেই অবস্থিত বিজনবাড়ি এখন অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। তবে বাদামতাম সৌন্দর্য দার্জিলিংয়ের অন্যান্য টি এস্টেটগুলো থেকে একটু আলাদা। পাহাড়ে ঘেরা বাদামতামের নির্জনতা ভঙ্গ হয় পাখিদের কলরবে। বাদামতামের কোলে দাঁড়িয়ে যে দিকে চোখ যাবে দেখা মিলবে শুধুই সবুজ চা বাগানের। এর মাঝে কয়েকটা গ্রাম্য বাড়িঘরও রয়েছে।

কাছেই রয়েছে বাদামতাম ভিউ পয়েন্ট। এখান থেকে দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার। সূর্যের প্রথম কিরণ কীভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ার উপর পড়ে তা দেখতে পাবেন এখান থেকে। সঙ্গে আপনাকে ছুঁয়ে যাবে হিমেল হাওয়া। রোদ ঝলমল সকালে এই ভিউ পয়েন্ট থেকে দেখা মেলে মাউন্ট জানুর। তবে এই ভিউ পয়েন্ট থেকে আপনার মন কেড়ে নেবে বাদামতাম চা বাগানের মোহিত দৃশ্য।

বাদামতামের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে রঙ্গিত। এখানে রঙ্গিত মিশেছে রুংদুং খোলার সঙ্গে। নদীর উপর রয়েছে ব্রিটিশদের তৈরি করা হ্যাঙ্গিং ব্রিজ। জায়গাটার নাম মাঝিটার। নদীর এপারে বাংলার মাঝিটার আর ওপারে সিকিমের রংপো। ইচ্ছা হলে ব্রিজে পার করে পৌঁছে যেতে পারেন সিকিমের রংপোতে। পাহাড়ি রাস্তায় ছোট্ট অ্যাডভেঞ্চার হতে পারে এই ট্রিপ। কারণ হ্যাঙ্গিং ব্রিজের উপর গাড়ি চলাচল করে না। সুতরাং এপার বাংলা থেকে ওপার সিকিম যেতে গেলে পায়ে হেঁটেই পার করতে হবে এই ব্রিজ।

বাদামতাম বাজারের পাশেই রয়েছে বাদামতাম টি ফ্যাক্টরি। তার পাশ দিয়ে কিছুটা পথ হাঁটলে পেয়ে যাবেন থাকার জায়গা। বাদামতাম থাকার জায়গা বলতে ওই একটিমাত্র হোমস্টে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে পর্যটকদের ভিড় এখানে খুব একটা থাকে না। যাঁরা শহুরে কোলাহল ছেড়ে কিছুটা সময় নিরিবিলিতে কাটাতে চান, তাঁদের জন্য আদর্শ ডেস্টিনেশন এই বাদামতাম। এখানে হোমস্টেতে থাকা-খাওয়া নিয়ে দৈনিক মাথাপিছু ১,৮৫০ টাকা খরচ হতে পারে।