East Sikkim: অফিসে ছুটি ম্যানেজ করে নিয়েছেন? ঘুরে আসুন সিকিমের এই ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি গ্রামে

Pastanga: পাস্তাঙ্গা হল সিকিমের পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। উচ্চতায় খুব বেশি নয় এই গ্রামের। তবু এই গ্রাম অনন্য।

East Sikkim: অফিসে ছুটি ম্যানেজ করে নিয়েছেন? ঘুরে আসুন সিকিমের এই ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি গ্রামে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2022 | 2:43 PM

কাছেপিঠে পাহাড়ি গ্রামে সময় কাটানোর জন্য অনেকেই বেছে নেন সিকিমকে। তবে পূর্ব সিকিমের পাস্তাঙ্গা এখনও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি পর্যটক মহলে। পাস্তাঙ্গা হল সিকিমের পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। উচ্চতায় খুব বেশি নয় এই গ্রামের। তবু এই গ্রাম অনন্য। বিভিন্ন পাহাড়ি ফুলের গাছ থেকে শুরু করে সিকিমের জনপ্রিয় রডোডেনড্রন, অর্কিডে দেখা মেলে এই পাস্তাঙ্গায়। ৪,৬৭৬ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত পাস্তাঙ্গা সিকিমের অন্যান্য পাহাড়ি গ্রামের থেকে বেশ শান্ত। পর্যটকদের আনাগোনা এই গ্রামে তুলনামূলকভাবে কম। প্রকৃতির শোভা উপভোগ করার জন্য পাস্তাঙ্গা সেরা পর্যটন কেন্দ্র।

পাস্তাঙ্গায় বেশ কয়েকটি জায়গা রয়েছে যা এই গ্রামের শোভা বাড়িয়ে তোলে। তা হল, রাই ও ভুটিয়া সম্প্রদায়ের তৈরি হেরিটেজ হাউস। এই হেরিটেজ হাউস প্রায় ১৫০ বছরের প্রাচীন। এই হেরিটেজ হাউস বাঁশ ও কাদা দিয়ে তৈরি। ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই স্থাপত্য পাস্তাঙ্গার মানুষের কাছে মূল্যবান। প্রাচীন এই স্থাপত্যের দেওয়ালগুলো তিন স্তর বিশিষ্ট কাঠামোতে নির্মিত। হাউসের ভিতরের স্তরটি বাঁশের তৈরি এবং বাইরের স্তরটি কাদামাটি দিয়ে তৈরি। এই হেরিটেজ হাউসের উচ্চতা মাটি থেকে প্রায় ৫ ফুট।

হেরিটেজ হাউসের কাছেই রয়েছে সুমানি-হওয়ারি জলপ্রপাত। প্রায় ১৫০ মিটার উচ্চ এই জলপ্রপাতের প্রধান উৎস আরও অনেকগুলি প্রাকৃতিক ঝরনা। যদিও এই জলপ্রপাতটি স্থানীয়দের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। আপনি যদি ট্রেক করতে ইচ্ছুক হন তাহলে ঘুরে আসতে পারেন ঢুঙ্গেলখড়কা। ৭,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ঢুঙ্গেলখড়কা পায়ে হেঁটে পৌঁছে সময় লাগবে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। যদি আরেকটু অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে থাকেন তাহলে ঢুঙ্গেলখড়কা থেকে ২ দিন হেঁটে পৌঁছে যেতে পারেন খেদি। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখান থেকে দেখা যাবে হিমালয়ের তুষারাবৃত শৃঙ্গ।

পাস্তাঙ্গার আশেপাশে রয়েছে গৈরিগাঁও, আসাম লিংজের মতো কিছু পাহাড়ি গ্রাম। পাস্তাঙ্গা এবং এর আশেপাশের গ্রামে নানা প্রজাতির ফুলের গাছ, ওষুধি গাছ, নানা ধরনের অর্কিডের দেখা পাওয়া যায়। গ্রামের নীচ দিয়ে বয়ে গিয়েছে তোকচেন নদী। ঘন সবুজ জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি নদীর অবিরাম বয়ে চলা—এই সৌন্দর্য মন কেড়ে নিতে বাধ্য।

কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন-

ট্রেনে চেপে পৌঁছে যান নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে পাস্তাঙ্গার দূরত্ব ১২২ কিলোমিটার। গাড়ি ভাড়া ৩,৫০০টাকা থেকে ৪,০০০টাকা পড়বে। গ্যাংটক থেকেও পাস্তাঙ্গা পৌঁছে যেতে পারেন। দূরত্ব মাত্র ২৩ কিলোমিটার। পাস্তাঙ্গায় রাত কাটানোর জন্য রয়েছে হোমস্টে।