AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

East Sikkim: গন্তব্য যখন রূপসী আরিতার! রইল অফবিটের খুঁটিনাটি…

Aritar: পাহাড়ের কোলে প্রাচীন গুম্ফা, হ্রদ, নীল আকাশ আর সবুজে ভরা গ্রামীণ পরিবেশ আরিতারকে সব কিছুর থেকে আলাদা করে তোলে।

East Sikkim: গন্তব্য যখন রূপসী আরিতার! রইল অফবিটের খুঁটিনাটি...
আরিতারের লামপোখরি হ্রদ...Image Credit: istockphoto.com
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2022 | 9:06 AM
Share

সিকিম যাওয়ার পরিকল্পনা করলেই তালিকায় থাকে গ্যাংটক, পেলিং, জুলুকের মতো জায়গাগুলো। যদিও বর্তমানে অফবিটের চাহিদায় সিকিমের কোলে লুকিয়ে থাকা গ্রামগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু তবুও যখন সিকিমের পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে ঝড়ের গতিতে গাড়ি চলে যায় তখন রাস্তার বাঁকে কত গ্রাম চলে যায়, দেখা হয়ে ওঠে না। এমন একটি গ্রাম রয়েছে পূর্ব সিকিমের কোলে। নাম আরিতার।

পূর্ব হিমালয়ের কোলে যে সব পাহাড়ি গ্রামগুলো রয়েছে তার মধ্যে বেশির ভাগ গ্রামই শান্ত, নির্জন। প্রতিটা গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই অনবদ্য। তবে ৪,৯১৫ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত আরিতারেরও কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেই দিক দিয়ে আরিতারকে ‘গ্রাম’ বললে ভুলই হবে। পাহাড়ের কোলে প্রাচীন গুম্ফা, হ্রদ, নীল আকাশ আর সবুজে ভরা গ্রামীণ পরিবেশ আরিতারকে সব কিছুর থেকে আলাদা করে তোলে।

আরিতারের কোলে রয়েছে একটি সুন্দর লেক, যার নাম লামপোখরি। যদিও স্থানীয় ভাষায় এই লেককে বলা হয় ‘ঘাতি সো’। পায়ের জুতোর আকারে দেখতে এই হ্রদ। আর হ্রদের চারপাশ জুড়ে রয়েছে সবুজ অরণ্য। আরিতারের এই লেক প্রাচীন আর এরই টানে পর্যটকেরা ভিড় করে এখানে। এই লেকে রয়েছে বোটিংয়েরও ব্যবস্থা। পর্যটকদের জন্য এই লেকে পাশেই গড়ে উঠেছে ছোটোখাটো ক্যাফেটেরিয়া। গরম কফির কাপে চুমুক দিয়ে রাজহাঁসদের কর্মকাণ্ড দেখতে পারেন লামপোখরির ধারে বসে।

এই প্রাকৃতিক হ্রদ ছাড়াও আরিতারে রয়েছে একটি প্রাচীন গুম্ফা। স্থানীয়দের কাছে আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে এই গুম্ফার। গুম্ফায় প্রবেশ করলে দেওয়ালে বৌদ্ধ ম্যুরাল এবং ঐতিহ্যবাহী তোরণ ও ভাস্কর্য দেখতে পাবেন। এছাড়াও এই গুম্ফা বেশ কিছু প্রাচীন পুঁথিরও খোঁজ পাওয়া যায়। গুম্ফাটি যে জায়গায় অবস্থিত তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও শান্ত-স্নিগ্ধ। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ভুক্ত আরিতারে বেড়াতে বেড়াতে খোঁজ পেয়ে যেতে পারেন পর্বতেশ্বর শিবালয় মন্দিরের। নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে এখানে মহাদেবের আরাধনা করা হয়।

আরিতারের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হল স্যার জেমস ক্লাউড হোয়াইটের বাংলো। ১৮৯৫ সালে তৈরি ব্রিটিশ বাংলো ‘অরি বাংলা’ নামেই পরিচিত। সিকিম স্টেট পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের ব্যবস্থাপনায় এখানে রাত কাটানোর সুযোগ পেতে পারেন পর্যটকেরা। এই বাংলো থেকে দেখা মেলে দূরে কালিম্পং শহরের।

আরিতার থেকে পূর্ব সিকিমের প্যানোরমিক দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। তবে এর জন্য আপনাকে পায়ে হেঁটে পৌঁছতে হবে ৬,৫০০ ফুট উঁচু মন‌্‌খিম্‌ দারাতে। মন্‌খিম্‌ ভিউ পয়েন্ট থেকে আরও রূপসী দেখায় সিকিমকে। মেঘেদের আনাগোনার মাঝেই সূর্য ডুব দেয় পাহাড়ের কোলে। আর এভাবেই একটা দিন কেটে যায় আরিতারে।

কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন:

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আরিতারের দূরত্ব ১০৯ কিলোমিটার। গাড়িতে সময় লাগবে চার ঘণ্টা। গ্যাংটক থেকে আরিতার ১৩৫ কিলোমিটার। আরিতারে রাত কাটানোর জন্য একাধিক হোমস্টের সুবিধা রয়েছে। এখানে থাকা-খাওয়া নিয়ে জনপ্রতি ৯০০-১৩০০ টাকা খরচ।