Bansbari: বাঁশে ঘেরা ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ! উত্তরকন্যার কোলে কোথায় লুকিয়ে এই গ্রাম?

Darjeeling: এখন উইকেন্ডে ছুটি পেলেই মানুষ ভিড় করে দার্জিলিংয়ের কোলে লুকিয়ে থাকা অফবিট পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে। এরই মধ্যে খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাঁশবাড়ি।

Bansbari: বাঁশে ঘেরা ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ! উত্তরকন্যার কোলে কোথায় লুকিয়ে এই গ্রাম?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2022 | 5:05 PM

দার্জিলিং বললে ভ্রমণপিপাসুদের চোখের সামনে যে দৃশ্য ভেসে ওঠে, সেই চেনা-ছক বহুদিন আগেই ভেঙে দিয়েছে বাঙালি। এখন উইকেন্ডে ছুটি পেলেই মানুষ ভিড় করে দার্জিলিংয়ের কোলে লুকিয়ে থাকা অফবিট (Offbeat Destination) পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে। এর মধ্যে রয়েছে তাকদা, তুকদা, লামাহাটা, বিজনবাড়ির মতো পাহাড়ি গ্রামগুলো। এরই মধ্যে খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাঁশবাড়ি। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে ঘুম পার করে সঙ্গ দেয় কুয়াশা জড়ানো পাইনের সমাবেশ। আর এর সঙ্গে রয়েছে ঢেউ খেলানো সবুজ চায়ের বাগান। ঘুম থেকে বিজনবাড়ির এই ২৬ কিলোমিটারের পথ ছবির মতো আঁকা। এরপরেই শুরু হয়েছে পুলবাজারের পথ। নীচে দিয়ে বয়ে গিয়েছে রঙ্গিত নদী। ব্রিজ পেরোলেই দেখা মিলবে ঘন জনবসতি। এখান থেকে ১০ মিনিট পথ অতিক্রম করলে ঘন জঙ্গলের মধ্যে দেখা মিলবে এক নতুন গন্তব্যের। নাম বাঁশবাড়ি।

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রোহিণী, কার্শিয়াং হয়ে ঘুমের রাস্তা ৬২ কিলোমিটার। এই ঘুম থেকে বিজনবাড়ির দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। এখান থেকে আরও ২ কিলোমিটার গেলেই আপনি পৌঁছে যাবেন বাঁশবাড়ি। বাঁশ আর ধুপির অদ্ভুত সমন্বয় এই বাঁশবাড়ি। পাহাড়ে ঘেরা জঙ্গলের মাঝে পরিবেশবান্ধব এক অসাধারণ পর্যটনকেন্দ্র বাঁশবাড়ি। দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা থেকে ছুটি কাটানোর বাঁশবাড়ির আদর্শ ডেস্টিনেশন।

পক্ষীপ্রেমীদের জন্য স্বর্গোদ্যান এই বাঁশবাড়ি। এখানে বহু নামজাদা পাখির দেখা মিলবে। এখানে ঘুম ভাঙে ওই পাখিদের কলরবে। প্রকৃতির এত কাছাকাছি থাকার সুযোগ উত্তরবঙ্গের খুব কম পর্যটনকেন্দ্রে রয়েছে। উল্টো দিকের পাহাড়ের গায়ে রয়েছে চংটং চায়ের বাগান। সবুজে মোড়া এই ছোট্ট জনপদকে ঘিরে রয়েছে নেপাল ও সিকিম মিলে। একদিকে নেপাল, আর একদিকে সিকিমের কিছু অংশ দেখা যায় বাঁশবাড়ি থেকে। আর এর পাশাপাশি তো রয়েছেই আদি অকৃত্রিম দার্জিলিং। সূর্য ডুব দিলেও জ্বলে ওঠে দার্জিলিং। রাতের অন্ধকারে আরও মায়াবী দেখায় শৈলশহরকে।

বাঁশবাড়ি থেকে সূর্যোদয়ের দৃশ্যও ছবির চেয়ে কম কিছু নয়। দূরের মানেভঞ্জনের সিঙ্গালিলা রেঞ্জ দেখা যায় এখান থেকে। আর যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে, তাহলে এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখাও মিলতে পারে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম থেকেও ট্রেক করা যায়। ভোর ভোর বেড়িয়ে পড়তে পারেন নোরবস্তি, লুংচক্র থেকে। এই বেনামি পাহাড়ি গ্রামের অস্তিত্বের কথা খুব কম মানুষই জানেন। এমন মায়াবী পাহাড়ি গ্রামে দু’দিন কাটিয়ে যাবেন না?