Bhutan: সেপ্টেম্বর থেকেই খুলে যাচ্ছে ভূটানের প্রবেশদ্বার! দ্বিগুণ হারে বাড়ছে পর্যটন খরচ

Tourism Council of Bhutan: ভুটানের ট্যুরিজম কাউন্সিল জানিয়েছে, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যটকরা দেশে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। তার ফলে দেশের পর্যটন শিল্পে কিছুটা হলেও খরা কাটিয়ে উঠতে পারবে। শেষ হবে খারাপ সময়।

Bhutan: সেপ্টেম্বর থেকেই খুলে যাচ্ছে ভূটানের প্রবেশদ্বার! দ্বিগুণ হারে বাড়ছে পর্যটন খরচ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2022 | 9:06 PM

করোনা অতিমারি (COVID 19 Pandemic) কাটেনি ঠিকই। কিন্তু আর্থিক উন্নয়নের জন্য বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই পর্যটন কেন্দ্রগুলি খুলে দিয়েছে। করোনাকে সঙ্গী করেই টানা ২ বছর পর ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে সারা দুনিয়া। তবে এখানে একটু ব্যতিক্রম। কারণ ভুটান (Bhutan) প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক পর্যটকদের (International Tourists) জন্য খুলে দেওয়া হল ভারতের প্রতিবেশী এই দেশের সীমানা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই দেশের সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২ বছরের বেশি সময় আগে , মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেঅ দেশে প্রথমবারের জন্য পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চালু করা হয়েছিল। ফের দেশে পর্যটকদের জন্য ভুটানের প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়া হবে। এর পিছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণও আছে। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেই এই সিদ্ধান্ত।

২০২০ সালের মার্চ মাসে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ায় সীমানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ভুটান সরকার। তারপর থেকেই বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। প্রতিবেশী দেশের জনসংখ্যা ৪০ লক্ষেরও কম। কোভিড অতিমারির প্রকোপ থেকে বাঁচতে পারেনি এই ছোট্ট দেশ। ৬০ হাজারেরও বেশি সংখ্যক মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনার জেরে বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ দেশেই অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়েছে। গত ২ বছরে ভুটানে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। যার জেরে দেশের মানুষকে গ্রাস করেছে দারিদ্র।

ভুটানের ট্যুরিজম কাউন্সিল জানিয়েছে, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যটকরা দেশে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। তার ফলে দেশের পর্যটন শিল্পে কিছুটা হলেও খরা কাটিয়ে উঠতে পারবে। শেষ হবে খারাপ সময়।

সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন অনুসারে, কোভিডের কারণে সীমান্তে বাণিজ্য একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় বাজ পড়েছিল ব্যবসায়ীদের। এবার থেকে প্রতি পর্যটক পিছু ২০০ মার্কিন ডলার করে উন্নয়ন ফি দিতে হবে। যা তিন দশক ধরে ধার্য করা ফি থেকে প্রায় ৬৫ ডলার বেশি। সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, এই নয়া ফি পর্যটকদের কার্বন প্রভাব নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।

পর্যটন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তান্ডি দর্জি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে পুনরায় দেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারে, পর্যটন ব্যবস্থার পরিকাঠামো আরও মজবুত করতে এই ফি নিয়ে নয়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। হোটেল ব্যবসায়ী, ড্রাইভার, গাইড,, ট্যুর অপারেটরদেরও আলাদা ফি ধার্য করা হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্যটন বিভাগে আগত পর্যটকদের সুবিধার্থে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি লোককে নিয়োগ করা হয়েছে। দেশের পর্যটন বিভাগের তথ্য অনুসারে, ভুটান প্রাথমিকভাবে ১৯৭৪ সালে উচ্চ পর্যায়ের পর্যটকদের জন্য প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যাটি পৌঁছায় ৩১ লক্ষের বেশি পৌঁছায়। পর্যটন উন্নয়নের জন্য বলা হয়েছে, ট্যুর অপারেটররা পর্যটকদের ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়ন্ত্রণ করবে ও পারলে নিজস্ব অপারেটর বেছে নিতেও পারেন পর্যটকরা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন থেকে ভারতীয় পর্যটকদের মাথা পিছু দৈনিক ১২০০ টাকা করে দিতে হবে। একই সুযোগ পাবেন বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পর্যটকরা।