Cheraman Juma Masjid: খুব শিগগিরই খুলতে চলেছে দেশের প্রথম ও এশিয়ার প্রাচীনতম এই মসজিদ!
প্রাচীন ভারতের শিল্পশৈলী, কারুকাজকে অটুট রেখে সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। মসজিদের ছাদে রয়েছে মাটির তৈরি টাইলস।সেখানে কেরালা স্টাইলের স্থাপত্যের কীর্তি লক্ষণীয়।
৬২৯ খ্রিষ্টপূর্বে মালিক দিনার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত চেরামান জুমা মসজিদটি ফের খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেরালার মেথালায় এই বিখ্যাত মুজিরিস হেরিটেজ ট্যপরিজম সার্কিটের একটি অংশ হতে চলেছে । প্রাচীন এই মসজিদটি সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মসজিদ সমস্কারের কাজ শিগগিরই শেষ হবে। বিখ্যাত এই মসজিদটি দেশের প্রথম মসজিদ ও উপমহাদেশের প্রাচীনতম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিখ্য়াত।
প্রাচীন ভারেতর ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এই মসজিদটি বর্তমান যুগে একটি বিশাল মূল্য়বান নিদর্শন। সংস্কারের পর পুনরায় চালু করার জন্য সকলেই তাই অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন।
কেরালার স্থপাত্যশৈলীর জন্য পুরনো এই মসজিদটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি অন্যতম আকর্ষণীয় নিদর্শনও বটে। অতীতে পর্তুগিজেদর দ্বারা ধ্বংস হয়েছিল বলে মনে করা হয়। পূর্বে, ১৯৮৪ সালে সংস্কারে কাজ শুরু হয়। বর্তমানে প্রাচীন এই মসজিদটিকে নতুন রূপ দিতে প্রায় ১.১৪ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হল কাঠের সুন্দর কাজ বজায় রাখা। প্রাচীন ভারতের শিল্পশৈলী, কারুকাজকে অটুট রেখে সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। মসজিদের ছাদে রয়েছে মাটির তৈরি টাইলস।সেখানে কেরালা স্টাইলের স্থাপত্যের কীর্তি লক্ষণীয়। গোটা মসজিদটিকে সংস্কার কতে সময় লেগেছে প্রায় ৩০ মাস।
চেরামান জুমা মসজিদের প্রশাসক ফয়সাল ই বি -এর মতে, পুরনো স্টাইলটি পুনরুদ্ধার হয়ে গেলে মসজিদের উপরের অংশে পর্যটন প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হবে। মসজিদের ভূগর্ভস্থ হলটি প্রার্থনার জন্য ব্যবহার করা হবে। সংস্কার শেষে ভূগর্ভস্থ প্রার্থনা হলে ৫ হাজার জনকে বসানো সম্ভব হবে। পুরনো কাঠামো ও শিল্পকীর্তি ছাড়া এই মসজিদটি আসলে দোতলা। পুরনো আমলের পরিকাঠামোয় তৈরি একটি কক্ষে ইসলামিক হেরিটেজ মিউজিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Underwater Forest: জলের তলায় লুকিয়ে আস্ত বনাঞ্চল! অবিশ্বাস্য কিছু তথ্য দেওয়া রইল এখানে…