Delhi International Airport: দুবাইকে সরিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় ‘ব্যস্ততম’ বিমানবন্দরের তকমা পেল দিল্লি বিমানবন্দর!
World’s Busiest Airport: ওএজি রিপোর্ট অনুসারে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে আইজিআই-এর ২৩ তম স্থান থেকে চলতি বছরে এক লাফে এমন জায়গায় পৌঁছনো বিরাট এক লক্ষ্যপূরণ।
বিশ্বের অন্যতম ভ্রমণ সম্বন্ধীয় ডেটা অপারেটর অফিশিয়াল এয়ারলাইন গাইড(ওএজি) ঘোষণা করেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে পৃথিবীর দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর (Busiest Airport) হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (IGI Airport)। অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্দেশীয় বিমানের অবতরণ ও উড়ান, সিট ক্যাপাসিটি— ইত্যাদি মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই তকমা পেয়েছে ইন্দিরা গান্ধী ইন্ট্যারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। মোট কথা এই তথ্য থেকেই পরিষ্কার, দেশের বেসামরিক বিমানচালনার ক্ষেত্রটি পুনরায় উজ্জীবিত হচ্ছে। গত দু’বছর ধরে কোভিড সম্পর্কিত নানা বিধিনিষেধের কড়াকড়িতে সিভিল অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি প্রভূত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল।
সূত্রের খবর অনুসারে, ২০২১ সালে আইজিআই প্রায় ৩ কোটি ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার অন্তর্দেশীয় যাত্রী সামলেছে। আন্তর্জাতিক যাত্রীর সংখ্যাটা ছিল প্রায় ৫৪ লক্ষের কিছু বেশি! এমনকী ২০২০ ও ২০২১ সালে বিপুল সংখ্যক যাত্রী সামলানোর দক্ষতার নিরিখে ভারতের মধ্যে এই বিমানবন্দর প্রথম স্থানে উঠে আসে।
ওএজি-এর রিপোর্ট অনুসারে, দিল্লি বিমান বন্দরে প্রায় ৩৬ লাখেরও বেশি যাত্রীর বসার ব্যবস্থা রয়েছে যা সংখ্যায় দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থেকেও বেশি। অবশ্য আমেরিকার হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট এখনও ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে প্রথম স্থানেই রয়েছে। শুধু দুবাইকে সরিয়ে আইজিআই দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে।
ওএজি রিপোর্ট অনুসারে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে আইজিআই-এর ২৩ তম স্থান থেকে চলতি বছরে এক লাফে এমন জায়গায় পৌঁছনো বিরাট এক লক্ষ্যপূরণ। কারণ ২০১৯ সালের মার্চ মাসে কোভিড অতিমারী দ্বারা আক্রান্ত হয় ভারত।
এয়ারপোর্টের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য অনুসারে ২০১৯ সালে প্রায় ৬ কোটি ৭৩ লক্ষেরও বেশি যাত্রীর উপস্থিতি নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ২০২০ সালে সেই সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় মাত্র ২ কোটি ৮৫ লক্ষের কিছু বেশি যাত্রীতে। মূলত কোভিডের কারণেই হয়েছিল এমন অবনমন। তবে পুনরায় জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিও ফিরছে পুরনো ছন্দে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১০ মে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হবে। যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট দিনে বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রানওয়ে বন্ধ রাখা হয়। বিকেল ৫টার পর আবার সমস্ত কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবেই চলবে বিমানবন্দরে। ওঠানামা করবে বিমানও।