Museum: দেশের আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মান জানাতে জাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ নিল ভারত সরকার

ভারত সরকার দেশের আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মানে জাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।

Museum: দেশের আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মান জানাতে জাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ নিল ভারত সরকার
নাগা উপজাতিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2021 | 1:08 PM

ভারতীয়দের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কাহিনি ইতিহাসের বইয়ের পাতায় এবং দেশের বেশ কয়েকটি জাদুঘরে রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার লড়াইয়ের সময় ভারতীয় আদিবাসী জনগণের আত্মত্যাগের কথা বলার মতো অনেক জায়গা নেই। তাই ভারত সরকার দেশের আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মানে জাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।

এই জাদুঘর স্থাপনের মাধ্যমে এই ধরনের সাহসী বীরদের সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা, মিজোরাম, ঝাড়খন্ড, অন্ধ্র প্রদেশ, গুজরাট, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর এবং গোয়া- ১০টি রাজ্যে উপজাতি স্বাধীনতা সংগ্রামী জাদুঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে মণিপুরের রানি গাইডিনলিউ উপজাতি স্বাধীনতা সংগ্রামী জাদুঘরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তামেংলং জেলার লুয়াংকাও গ্রামে (রানি গাইডিনলিউয়ের জন্মস্থান) জাদুঘরটি নির্মিত হবে বলে জানা গিয়েছে।

জাদুঘরটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন, অ্যাংলো-মণিপুরী যুদ্ধ এবং কুকি-বিদ্রোহের মতো বিভিন্ন পর্যায়ে উপজাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শিল্পকর্ম সংরক্ষণ এবং প্রদর্শন করবে। এই জাদুঘর নির্মাণের পিছনে আসল ধারণাটি হল মণিপুরের উপজাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানকে সম্মান জানানো, বিশেষত্ব যাদের কথা কোনও ইতিহাসের বইতে উল্লেখ নেই, যাদের কথা দেশের সাধারণ মানুষরা জানেন না। এবং ধারণা করা হচ্ছে যে এই উদ্যোগ তরুণদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের অনুভূতিকেও আত্মস্থ করবে।

কিন্তু কে এই রানি গাইডিনলিউ? রানি গাইডিনলিউ ১৯১৫ সালের ২৬ শে জানুয়ারি তামেংলং জেলার নুংকাও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি একজন আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক নেত্রী ছিলেন। তিনি মণিপুরের রোংমেই উপজাতির বাসিন্দা ছিলেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদান করেছিলেন। ১৯৩২ সালে ব্রিটিশরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। তিনি ১৪ বছর কারাগারে ছিলেন এবং ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা পাওয়ার পরেই তিনিও মুক্তি পেয়েছিলেন।

তিনি ১৯৭২ সালে তামারা পাত্র এবং ১৯৮২ সালে পদ্মভূষণ পুরস্কারলাভ করেন। ১৯৯৬ সালে তাঁর সম্মানে একটি ডাকটিকিটও চালু করা হয়। এখন তাঁকে সম্মান জানাতেই জাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার।

আরও পড়ুন: Unique Towns: কোনও শহর গুহার ভেতরে, কোনও শহরে আবার এলিয়েন ঘুরে গেছে, এমনই কিছু অদ্ভুত শহরের সম্বন্ধে জেনে নিন…

আরও পড়ুন: Srinagar: আরও পর্যটক টানতে ঢেলে সাজছে শ্রীনগর! দেওয়াল গ্রাফিতি আর্টওয়ার্কের ছোঁয়ায় রঙিন ভূস্বর্গ

আরও পড়ুন: Ranikhet-Almora: সরলতা আজও ধরা দেয় এই আলমোড়ার পাহাড়ে! মন পড়ে থাকে রানির দেশে