International Forest Day: আন্তর্জাতিক অরণ্য দিবসে আপনার জন্য খোঁজ রইল ভারতের জনপ্রিয় ৫টি জাতীয় উদ্যানের
Forests of India: আজ আন্তর্জাতিক অরণ্য দিবস। বনভূমি ছাড়া শুধু মানুষের জীবন নয়, পশু-পাখির জীবনও কল্পনা করা যায় না, তাই বন সংরক্ষণ খুবই জরুরি।
আজ আন্তর্জাতিক অরণ্য দিবস (International Forest Day)। বনভূমি ছাড়া শুধু মানুষের জীবন নয়, পশু-পাখির জীবনও কল্পনা করা যায় না, তাই বন সংরক্ষণ খুবই জরুরি। রাষ্ট্রসংঘের তরফে ২০১২ সালে ২১ মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক অরণ্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিল। জনসাধারণের মধ্যে অরণ্য (Forest) সম্পর্কে সচেতন করার জন্যই এই অরণ্য দিবসের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি অরণ্য (Forests of India) রয়েছে, যা একবার হলেও ঘুরে আসা দরকার আমাদের প্রত্যেকের।
সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান, পশ্চিমবঙ্গ- বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী একটি স্থান হল সুন্দরবন। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও বড় নোনা জলের কুমিরের জন্য বিখ্যাত এই জায়গা। প্রায় ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবন। শুধু ভারত নয়, এটি বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ অঞ্চল। অন্যদিকে, ভারতের তো বটেই বিশ্বের অন্য়তম বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য রয়েছে এখানে। বৃহত্তম ব-দ্বীপ এই এলাকায় বাঘ ও কুমির ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পাখি,সরীসৃপ। গোটা অরণ্য জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অজস্র সুন্দরী গাছ। রয়েছে গরান, গেওয়ার সমাহার। ফিশিং ক্যাট, চিতা বিড়াল, ম্যাকাক, বন্য শুয়োর, ভারতীয় ধূসর মঙ্গুস, শিয়াল, জঙ্গলি বিড়াল, ফ্লাইং ফক্স, প্যাঙ্গোলিন সহ বহু বন্যপ্রাণীর বাসস্থান এই সুন্দরবন।
গির জাতীয় উদ্যান, গুজরাত– এশিয়াটিক সিংহ দেখার সেরা জায়গা গির। গির জাতীয় উদ্যান গুজরাটের জুনাগড় জেলায় ১৪১২ বর্গ কিমি জুড়ে বিস্তৃত। এশিয়াটিক সিংহ ছাড়াও, এই শুষ্ক পর্ণমোচী জঙ্গল বেশ কয়েকটি চিতাবাঘ প্রজাতির আবাসস্থল, যার মধ্যে রয়েছে জঙ্গলি বিড়াল, মরুভূমির বিড়াল, মরিচা-দাগযুক্ত বিড়াল ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে স্লথ ভাল্লুক, ভারতীয় কোবরা, ডোরাকাটা হায়েনা, ভারতীয় বাদামি বেজিই ভারতীয় পাম সিভেট, নীলগাই, চার-শিংওয়ালা হরিণ, বন্য শূকর ইত্যাদিরও দেখা পাওয়া যায় এখানে।
জিম করবেট জাতীয় উদ্যান, উত্তরাখণ্ড- উত্তরাখণ্ডের জিম করবেট জাতীয় উদ্যান ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, বিশেষত বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য। ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, এটি ভারতের প্রথম জাতীয় উদ্যান। অন্যদিকে এটি এশিয়ার প্রাচীনতম জাতীয় উদ্যান। বার্কিং ডিয়ার , সাম্বার হরিণ , হগ ডিয়ার এবং চিতল , স্লথ এবং হিমালয় ব্ল্যাক বিয়ার , ভারতীয় ধূসর মঙ্গুস , ওটার , হলুদ-গলাযুক্ত মার্টেন , হিমালয়ান গরল , ভারতীয় প্যাঙ্গোলিন এবং লাঙ্গুর সহ বহু বন্যপ্রাণীর আবাস্থল এটি। এছাড়াও এখানে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সহ চিতাবাঘের বিভিন্ন প্রজাতি দেখা যায়।
নীলগিরি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ, তামিলনাড়ু- দক্ষিণ ভারতের পশ্চিমঘাট এবং নীলগিরি পাহাড়ের কিছু অংশে নিয়ে গঠিত নীলগিরি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ। এতি হল একটি আন্তর্জাতিক বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ যেখানে সারা বছর প্রকৃতি প্রেমীদের ভিড় লেগে থাকে। এটি ২০২১ সালে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। টোডাস, কোটাস, ইরুল্লাস, কুরুম্বাস, পানিয়াস, আদিয়ানস, ইদানাদান চেটিস, চোলানাইকেন্স, আল্লার এবং মালয়ানের মত আদিবাসী গোষ্ঠীগুলি নীলগিরি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভে বাস করে এবং এই বনভূমি ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে।
বন্দিপুর জাতীয় উদ্যান, কর্ণাটক- কর্ণাটকের বন্দিপুর জাতীয় উদ্যান ৮৭৪ বর্গ কিমি জুড়ে বিস্তৃত একটি অরণ্য। এটি একসময় মহীশূরের মহারাজাদের ব্যক্তিগত শিকারের জায়গা ছিল। আপনি এখানে অন্যান্য প্রজাতির মধ্যে বাঘ, ভারতীয় হাতি, দাগযুক্ত হরিণ, বাইসন এবং হরিণ দেখতে পাবেন। পার্কের চারপাশে অবস্থিত সুউচ্চ পশ্চিমঘাটের পাহাড়গুলি এটিকে একটি শ্বাসরুদ্ধকর জায়গায় পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন: পাহাড় চূড়োয় চায়ের ঠেক! চা-আড্ডায় গিনেস বুকে এবার রেকর্ড এভারেস্টের