Kalimpong: কাঞ্চন আর পুরনো সিল্করুটের ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ, একসঙ্গে দেখা মিলবে কালিম্পংয়ের কাগে
Kagey: সপ্তাহ শেষে তিন দিনের ছুটি। এই সুযোগে পাড়ি দিতে পারেন কালিম্পংয়ের কাগে। পাইন, ওক আর ধুপি গাছে ঢাকা গোটা পাহাড়ি গ্রাম। বাক্সবাড়ি আর ধাপে ধাপে চাষজমি নিয়ে গড়ে উঠেছে কাগে। ছবির মতো সাজানো গ্রাম এই কাগে।
সপ্তাহ শেষে তিন দিনের ছুটি। এই সুযোগে পাড়ি দিতে পারেন কালিম্পংয়ের কাগে। পাইন, ওক আর ধুপি গাছে ঢাকা গোটা পাহাড়ি গ্রাম। বাক্সবাড়ি আর ধাপে ধাপে চাষজমি নিয়ে গড়ে উঠেছে কাগে। ছবির মতো সাজানো গ্রাম এই কাগে। যতদূর চোখ যাবে সবুজ আর সবুজ। আর তারই মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। যত দিন যাচ্ছে কালিম্পংয়ের কোলে লুকিয়ে থাকা পাহাড়ি গ্রামগুলো হয়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। যদিও এখন সারা বছরই বাঙালিদের ভিড় লেগে থাকে দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াংয়ের গ্রামগুলোয়। সেগুলোর মধ্যেই অন্যতম এই কাগে।
নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানের কোলে অবস্থিত এই কাগে। কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটারের পথ। তবে, কালিম্পং থেকে প্রথমে আলগরা, তারপর পেডং হয়ে পৌঁছতে হয় কাগে। পেডংও অন্যতম জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র। কাগে পেডংয়ের উপরে অবস্থিত। আর এই কাগের চূড়ায় উঠলে দেখা যায় পূর্ব হিমালয়ের এক অন্য দৃশ্য। কালিম্পংয়ের অবস্থিত হলেও সিকিমের পুরনো সিল্ক রুট কাগে থেকে খুব বেশি দূরে নয়। বরং, কাগের চূড়ায় উঠলে সিকিমের আরিতার, লিংতাম, পাকিয়ং, রেনক, লিংসে সহ আরও অনেক পাহাড়ি গ্রাম। কাগে থেকে পেডংয়ের দৃশ্যও চোখে পড়ে। আর কাগের পিছনের পাহাড়টাই হল রিশপ। কাগে থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরত্বে এই রিশপ। এমনকী কোলাখামের জনপ্রিয় জলপ্রপাত ঝাঙে দেখতে পাবেন কাগের কোলে বসে। সুতরাং, বুঝতেই পারছেন কাগে যাওয়ার পথ ও সুবিধা অনেক। আর কাগে বসে বরফে মোড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা উপরি পাওনা।
রাতের কাগে তারায় ভরা। আর দেখা যায় আলোয় মোড়া কালিম্পং শহর ও সিকিমের গ্রামগুলো। কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় সূর্যের প্রথম ছটা এসে পড়ে আর তার সঙ্গে কাগে সকাল হয়। পেডং থেকে কাগে যেতে হলে পার হতে হয় মুদুং নদী। কাগে থেকে হেঁটে নেমে আসতে পারেন এই মুদুং নদীতে। সারাবছর জল থাকলেও বর্ষাতে বাড়ে জলস্তর। তবে, গ্রীষ্মকালে দেখতে পাবেন রং-বেরঙের বাহারি ফুল আর অরগ্যানিক ফসল। কাগের বেশিরভাগ জায়গায় ধাপে ধাপে কাটা চাষজমি। গরমের দিনে ফসলের চাষ দেখা যায় সেখানে। প্রতিবার হাট বসে গ্রামের নিচে। গ্রামের মধ্যে বহু বছরের পুরনো একটি চার্চ রয়েছে। ১৮৯১ সালে তৈরি হয় এই চার্চ। এই চার্চের পথ ধরে এগিয়ে গেলেই রয়েছে মেরির মূর্তি। দু’ধারে ঘন জঙ্গল, পাথুরে রাস্তার উপর সবুজ মস, এর উপর দিয়ে ৪-৫ মিনিট হেঁটে গেলেই পাহাড়ের ঢালে দাঁড়িয়ে মাদার মেরি।
কাগে বেশ কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে। তবে, কাগের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গেলে আপনাকে থাকতে হবে গ্রামের শেষ প্রান্তে। অর্থাৎ কাগের চূড়ায়, যেখান থেকে দেখা যায় সিকিম ও কালিম্পংকে। সেখানেও হোমস্টের সুবিধা রয়েছে। তবে, মজার বিষয় হল, কাগের চূড়ায় তাঁবুতে থাকার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ যাঁরা সবসময় অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে মুখিয়ে থাকেন, তাঁরা কাগে রাত কাটাতে পারেন তাঁবুতে। হোমস্টেতে রাত কাটালে থাকা-খাওয়া নিয়ে খরচ জনপ্রতি ১,০০০ টাকা।