AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kailash: মানুষের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে নানান বিশ্বাস! তবুও মানসরোবরের টানে ছুটে যায় পর্যটকরা

তিব্বতি ভাষায় এর নাম গাঙ্গো রিনপোচে। তিব্বতে বৌদ্ধ গুরু পদ্মসম্ভবাকে বলা হয় রিনপোচে। তাঁর থেকেই নামকরণ হয়েছে কৈলাস পর্বতের। এই নামের অর্থ হল বরফের তৈরি দামী রত্ন।

Kailash: মানুষের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে নানান বিশ্বাস! তবুও মানসরোবরের টানে ছুটে যায় পর্যটকরা
কৈলাস
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2021 | 11:44 AM
Share

হিন্দু ধর্মে বিশেষ জায়গা দখল করে রয়েছে কৈলাস। মনে করা হয় এই পর্বতের শৃঙ্গে বাস শিব ও দুর্গার। ২২ হাজার ফুট উচ্চতার কালো পাথরের এই পাহাড়কে প্রাচীন কাল থেকেই পৃথিবীর স্তম্ভ বলে মনে করা হয়। যা ধরে রেখেছে পৃথিবীর ভর। তবে এই পাহাড়ের বিষয়ে মানুষের মধ্যে এমন রহস্যময়ী বিশ্বাস রয়েছে, যা এর প্রতি আপনার আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।

কৈলাস সর্ব‌োচ্চ শৃঙ্গ না হলেও, আজ অবধি কেউ এর শীর্ষে পৌঁছাতে পারেনি। যদিও এখন এই পর্বতে সমস্ত অভিযান এখন নিষিদ্ধ। মনে করা হয় যে, পর্বতের আহোরণ করতে গেলে বাধা দেয় কোনও ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ। যদিও প্রতিবারই খারাপ আবহাওয়া কিংবা রাস্তা হারিয়ে যাওয়া এবং নিঃশ্বাসের সমস্যার জন্য কেউই কোনও দিন এই পর্বতের শীর্ষে পৌঁছাতে পারেনি। তবে তিব্বতে প্রচলিত প্রাচীন কিংবদন্তি হল‚ গুরু মিলারেপাই শুধু পা রাখতে পেরেছিলেন কৈলাস-শীর্ষে। ফিরে এসে তিনি নিষেধ করেছিলেন এই পর্বত জয় করতে। কারণ একমাত্র সে-ই মানুষই পারবে এর শীর্ষে যেতে‚ যার গায়ে কোনও চামড়া নেই।

তিব্বতের ভাষায় এই পর্বতের আবার অন্য নাম রয়েছে। তিব্বতি ভাষায় এর নাম গাঙ্গো রিনপোচে। তিব্বতে বৌদ্ধ গুরু পদ্মসম্ভবাকে বলা হয় রিনপোচে। তাঁর থেকেই নামকরণ হয়েছে কৈলাস পর্বতের। এই নামের অর্থ হল বরফের তৈরি দামী রত্ন।

কৈলাস পর্বতের পাদদেশে দুটি হ্রদ, মানসরোবর এবং রাক্ষস তাল। এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই দুটি হ্রদ ইয়িন এবং ইয়াংকে প্রতিনিধিত্ব করে, যার মধ্যে একটির আকৃতি সূর্যের মতো এবং অন্যটি চাঁদের মতো। অন্যদিকে একটি মিষ্টি জলের হ্রদ এবং অন্যটি নোনা জলের হ্রদ। শুধু তাই নয়, এটাও অনেকে বিশ্বাস করেন যে মানসরোবর আলোর প্রতিনিধিত্ব করে, অন্যদিকে রাক্ষস তাল অন্ধকারের প্রতিনিধিত্ব করে।

অনেক বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে কৈলাস পর্বত প্রকৃতির সৃষ্টি হলেও অত্যন্ত প্রতিসম এবং নিখুঁত। তবে অনেকের ধারণা যেহেতু এই পর্বত কার্যকর ভাবে লম্ব, তাই এটি একটি মানবসৃষ্ট পিরামিডও হতে পারে এবং সবচেয়ে বড়ও হতে পারে। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে কৈলাস পর্বতের চূড়াটি বেশ কয়েকটি ভ্যাকুয়াম পিরামিডের একটি গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত এবং এটি একটি প্রাচীন সভ্যতার মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। শুধু তাই নয়, অনেকে মনে করেন সেই প্রাচীন সভ্যতা সেই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত ছিল।

যদিও তত্ত্বটি বিতর্কিত রয়ে গেছে, কিছু বিজ্ঞানীও বিশ্বাস করেন যে কৈলাস পর্বত একটি শক্তি ঘূর্ণি যা বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করে। এমনকি যে সব মানুষ ১২ ঘণ্টার বেশি এই মানসরোবরের কাছে বা কৈলাসের পাদদেশে সময় কাটিয়েছেন তাঁরা দ্রুত নখ এবং চুলের বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছেন। অন্যদিকে অনেকেই মনে করেন যে কৈলাস পর্বতের নীচে এবং ভূগর্ভস্থ জায়গা গুলির উপরে, শম্ভালা এবং আগর্থার নামক একটি জায়গা লুকিয়ে রয়েছে। উভয়ই গোবি মরুভূমি এবং হিমালয়ের চেয়ে প্রাচীন, অথচ আরও উন্নত সভ্যতার আবাস হিসাবে মনে করা হয়। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই এই জায়গাটি ঘুরে দেখতে হবে।

আরও পড়ুন: এবার গাড়িতে চেপেই পৌঁছে যেতে পারবেন কৈলাস-মানস সরোবরে!