Kanchenjunga View: শীতের ছুটিতে এই ৪ জায়গায় গেলে কাঞ্চনজঙ্ঘা সবাইকে দেখা দেবে
Darjeeling: শীতের মরশুমের ভিড় বাড়বে শৈলশহরে। মেঘমুক্ত, ঝকঝকে আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সুযোগ রয়েছে একমাত্র শীতকালে। কথায় বলে, কাঞ্চনজঙ্ঘা সবাইকে দেখা দেয় না। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা যতই অসহ্যকর হোক, শীতকাল দার্জিলিং গেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলবেই।
দার্জিলিং ঘুরতে গেলে এ বার থেকে কর দিতে হবে। করের অঙ্ক মাত্র ২০ টাকা। এই টাকা শহরের জঞ্জাল পরিষ্কারে খরচ করবে পুরসভা। তবে, এতে পর্যটকদের ভিড় কমবে না দার্জিলিং। বরং, শীতের মরশুমের ভিড় বাড়বে শৈলশহরে। মেঘমুক্ত, ঝকঝকে আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সুযোগ রয়েছে একমাত্র শীতকালে। কথায় বলে, কাঞ্চনজঙ্ঘা সবাইকে দেখা দেয় না। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা যতই অসহ্যকর হোক, শীতকাল দার্জিলিং গেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলবেই। কিন্তু দার্জিলিংয়ের মতো ঘিঞ্জি শহরে যেতে নারাজ বাঙালির একাংশ। তাহলে কোথায় গেলে দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা, রইল ৫ জায়গার খোঁজ।
চারখোল: কাঞ্চনজঙ্ঘার ১৮০ ডিগ্রি ভিউ দেখতে চান? আপনাকে চারখোল যেতেই হবে। রেলি নদীর অববাহিকায় সামালবং অঞ্চলের ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম চারখোল। ছোট্ট হলেও এই পাহাড়ি গ্রাম থেকে দেখা মেলে তুষারবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘার। ৫,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত চারখোল ঢাকা পাইন, সাইপ্রাস, ওক, শাক, গুরাসে। ন্যাওড়াভ্যালি ন্যাশানাল পার্কের কোলে অবস্থিত চারখোল। এখানে বসে আপনিও দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। কালিম্পং থেকে মাত্র ৩৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চারখোল।
ডেলো: কালিম্পংয়ের কাছে অবস্থিত জনপ্রিয় ডেলো পার্ক। যাঁরা কার্শিয়াংয়ের টানে বারবার ছুটে যান দার্জিলিংয়ে, তাঁদের কাছে এই ডেস্টিনেশন খুব একটা অপরিচিত নয়। কিন্তু ডেলোর কোলে যে কোনও রিসর্ট বা হোম-স্টের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আপনি তুষারবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন। বছরের অন্যান্য সময় এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা নাও দেখা যেতে পারে। কিন্তু শীতকালে দেখতে পাবেনই।
সান্দাকফু: অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে যদি থাকেন, যেতে পারেন সান্দাকফু। তুষারপাতকে সঙ্গে নিয়ে শীতকালে ট্রেক করতে পারেন সান্দাকফু। সান্দাকফু যাওয়ার পথে টোংলু, ধোরতে মতো পাহাড়ি গ্রাম থেকে আপনি বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন। আর সান্দাকফু পৌঁছানোর পরও দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা সহ মাউন্ট এভারেস্ট, মাকালু ও লোৎসের শৃঙ্গ।
বাতাসিয়া লুপ: উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া এখন এতটাই ভাল যে, গজলডোবা, শিলিগুড়ি শহর থেকেও দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার। শীতকালে দার্জিলিংয়ের মল রোড থেকেও দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। ঘুম থেকে টয় ট্রেনে চেপে দার্জিলিং যেতে গেলে মাঝে পড়ে বাতাসিয়া লুপ। ১৯১৯ সালে বাতাসিয়া লুপ গড়ে তোলা হয়। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন যুদ্ধে নিহত গোর্খা শহীদ বীর সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাতে উদ্বোধন করা হয় বাতাসিয়া লুপ। এই বাতাসিয়া লুপ থেকে দার্জিলিংয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ৩৬০ ডিগ্রিতে দেখা যায়। পাশাপাশি দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।