AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rishikesh: ঋষিকেশকে দ্য ওয়ার্ল্ড ক্যাপিটাল অফ যোগা কেন বলা হয় জানেন?

ঋষিকেশের অন্যরূপ ফুটে ওঠে সন্ধ্যার গঙ্গা আরতিতে। বহু দর্শনার্থীরা ভিড় করেন এই গঙ্গা আরতি দেখার জন্য। এর মধ্যে ঋষিকেশের একটি জনপ্রিয় ঘাট হল ত্রিবেণী।

Rishikesh: ঋষিকেশকে দ্য ওয়ার্ল্ড ক্যাপিটাল অফ যোগা কেন বলা হয় জানেন?
ঋষিকেশ। ছবি সৌজন্যে- GettyImages
| Edited By: | Updated on: Jan 14, 2022 | 12:35 PM
Share

শহরের ব্যস্ত জীবনযাত্রা থেকে কিছুদিন ছুটি নিয়ে সবাই চায় শান্তিতে কয়েকটা দিন একান্তে কাটাতে। যথারীতি এর জন্য পাহাড়ের যে ভাল গন্তব্য হয় না। কিন্তু এমন কোনও গন্তব্য যদি হত সেখানে আপনি সত্যি মানসিক শান্তি খুঁজে পেতেন, তার সঙ্গে থাকত অ্যাডভেঞ্চার (Adventure) , কেমন হত বলুন তো বিষয়টা? পাহাড়ে গেলে মানসিক শান্তি (Peace) তো খুঁজে পাওয়া যায়ই, এর সঙ্গে আধ্যাত্মিক শান্তিও খুঁজে পাওয়া যায় যদি আপনার গন্তব্য হয় ঋষিকেশ (Rishikesh)।

উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল অঞ্চলে অবস্থিত ঋষিকেশ। পাহাড়ের মাঝ বরাবর অনবরত বয়ে চলেছে গঙ্গা। সেই গঙ্গাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বহু মানুষের জীবনযাত্রা। এটাই খুব সাধারণ ঋষিকেশের প্রতিছবি। কিন্তু আপনি কি জানেন ঋষিকেশকে দ্য ওয়ার্ল্ড ক্যাপিটাল অফ যোগা বলা হয়? এখানে একাধিক যোগাসন কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে বহু মানুষ ভিড় করেন আধ্যাত্মিক শান্তি খুঁজে পাওয়া জন্য। বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।

উত্তরাখণ্ডকে যে দেবভূমি বলা হয়, তারই এক ঝলক দেখা যায় ঋষিকেশে। চারধাম যাত্রায় বেরোলে কোনও ভাবেই মিস করা চলে না ঋষিকেশকে। কেদারনাথ যেতে গেলে আপনাকে এক রাত এই আধ্যাত্মিক স্থানে কাটিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও ঋষিকেশে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল লক্ষ্মণ ঝুলা। গঙ্গা নদী থেকে ৭০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ৪৫০ ফুট দীর্ঘ একটি ব্রিজ। রয়েছে রাম ঝুলাও।

rishikesh - Capital of Yoga and Meditation

রিভার রাফটিং

ঋষিকেশের অন্যরূপ ফুটে ওঠে সন্ধ্যার গঙ্গা আরতিতে। বহু দর্শনার্থীরা ভিড় করেন এই গঙ্গা আরতি দেখার জন্য। এর মধ্যে ঋষিকেশের একটি জনপ্রিয় ঘাট হল ত্রিবেণী। এই ত্রিবেণী ঘাটের বিশেষত্ব হল এটি তিনটি পবিত্র নদী গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থল। এছাড়া তেরা মঞ্জিল মন্দির, ভারত মন্দির, নীলকন্ঠ  মহাদেব মন্দির ইত্যাদি মন্দির ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে ঋষিকেশে।

ভারতের যে সব পর্যটন কেন্দ্রে অ্যাডভেঞ্চার মূলক অ্যাক্টিভিটি হয়, তার মধ্যেও ঋষিকেশের নাম রয়েছে সবার ওপরে। রিভার রাফটিং থেকে শুরু করে ক্যাম্পিং, বাঞ্জি জাম্পিং সব ধরনের অ্যাডভেঞ্চার মূলক অ্যাক্টিভিটি আপনি এখানে করতে পারবেন। ঋষিকেশের খরস্রোতা নদীতে রিভার রাফটিং করে আপনি যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন, তা ভোলার নয়। এছাড়া আপনি ঋষিকেশের নদীতে কায়াকিং করতে পারবেন।

ঋষিকেশে গঙ্গার তীরে কিংবা পাহাড়ের ওপর রয়েছে ক্যাম্পিং করার সুযোগ। নিরিবিলি পরিবেশে যদি একান্তে কিছুটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে কাটাতে চান, সেই সুযোগ আপনাকে এখানে ক্যাম্পিং দেবে। এছাড়াও এখানে রয়েছে বাঞ্জি জাম্পিং,  ফ্লাইং ফক্স, জায়েন্ট সুইং, এয়ার সাফারি, জিপ লাইনের মত একাধিক অ্যাডভেঞ্চার মূলক অ্যাক্টিভিটি করার সুযোগ।

ট্রেক করার সুযোগও রয়েছে ঋষিকেশে। নীড়ঘর জলপ্রপাত ট্রেক, গারুদ চাট্টি এবং ফুল চাট্টি জলপ্রপাত ট্রেক, পাটনা জলপ্রপাত ট্রেক, কুঞ্জপুরী মন্দির ট্রেক, নীলকন্ঠ মহাদেব ট্রেক ইত্যাদি ছোট ছোট ট্রেকিং রুট রয়েছে এই অঞ্চলে। সুতরাং, ঋষিকেশে ছুটি কাটাতে এলে কোনও দিক দিয়েই নিরাশ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

আরও পড়ুন: তারাদের গল্প! এই জায়গাগুলির রাতের দৃশ্যও চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে আপনার