Odisha: বর্ষায় নদী-জঙ্গল-পাহাড় সফর! সুযোগে ঢুঁ মারুন সাতকোশিয়ায়

Satkosia: ভরা বর্ষায় জঙ্গল, পাহাড় ও নদীর কাছাকাছি হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। নেশা কাটাতে ঘুরে আসতে পারেন ওড়িশার সাতকোশিয়া থেকে।

Odisha: বর্ষায় নদী-জঙ্গল-পাহাড় সফর! সুযোগে ঢুঁ মারুন সাতকোশিয়ায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 15, 2022 | 4:30 PM

ছুটি পেলেই মন টানে পাহাড়ে। কিন্তু এখন উত্তরবঙ্গ যাওয়ার অর্থ ঝুঁকি নিয়ে বেড়াতে যাওয়া। যেহেতু এখন বর্ষার মরসুম, উত্তরবঙ্গে ভূমিধসের সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে। তাই পাহাড়, জঙ্গলের নেশা কাটাতে ঘুরে আসতে পারেন ওড়িশার সাতকোশিয়া থেকে। ভরা বর্ষায় জঙ্গল, পাহাড় ও নদীর কাছাকাছি হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না এই সুযোগে। ওড়িশার ইকো-ট্যুরিজমের সৌজন্যে এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সাতকোশিয়া।

পাহাড়ি গর্জের মধ্য দিয়ে মহানদী সাতক্রোশ পথ ধরে এসেছে বলেই জায়গার নাম হয়েছে সাতকোশিয়া। বর্ষায় অন্যরূপে সেজে ওঠে এই অরণ্যাঞ্চল। সিমলিপালের পর ৮০০ বর্গকিলোমিটারের এই ঘন বনাঞ্চল ওড়িশার দ্বিতীয় বৃহত্তম টাইগার রিজার্ভ। জঙ্গল, পাহাড় ও নদী মিলিত জায়গা এই সাতকোশিয়া। মহানদীর কোলঘেঁষা এই সাতকোশিয়া পক্ষীপ্রেমীদের জন্য স্বর্গোদ্যান। যেহেতু এটি একটি টাইগার রিজার্ভ, তাই বনভূমি জুড়ে রয়েছে বাঘ, হরিন, হাতি, বাইসন, লেপার্ড‌, ভালুক ইত্যাদির অবাধ বিচরণ। নাম না জানা বহু রঙ-বেরঙের ফুলেরও দেখা মেলে এখানে।

সকালে পাহাড়মাথা থেকে মহানদীর জলের উপর সূর্যকিরণ আর গোটা উপত্যকা জুড়ে কুয়াশা ও সূর্যের আলো খেলায় মন জুড়ে যাবে এখানে। টিকরপাড়া নেচার ক্যাম্প থেকে দেড় কিলোমিটার হেঁটে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে এখানে। যাওয়ার পথে জায়ান্ট স্কুইরেল, ওরিয়েন্টাল ব্লু ম্যাগপাই বা প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচারের দেখা মিলে। ক্যাম্পে বোটিং করতে করতে কুমিরেরও দেখা মিলতে পারে এখানে। কিংবা পাথরের উপর নিশ্চুপে কচ্ছপের রোদ পোয়ানোও দেখা যেতে পারে। এছাড়াও মাছরাঙা আর রুডিশেলের ডাক শুনতে পারবেন এখানে। টিকরপাড়া নেচার ক্যাম্প থেকে বেড়িয়ে নিতে পারেন লবঙ্গির জঙ্গল, পুরানাকোট, বাঘমুন্ডা ইত্যাদি। এছাড়া পায়ে হেঁটেই ঘুরে দেখতে পারেন ঘড়িয়াল রিসার্চ‌ সেন্টার।

কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন-

হাওড়া থেকে সম্বলপুর এক্সপ্রেসে চেপে পৌঁছে যান অঙ্গুল। অঙ্গুল থেকে গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যান টিকরপাড়া। সাতকোশিয়ার জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে গাড়ি ভাড়া করে নিতে পারে অঙ্গুল থেকেই। এছাড়াও কোনও কটক পৌঁছে যান। কটক রেলস্টেশন থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে বাদামবাড়ি বাসস্ট্যান্ড। বাদামবাড়ি থেকে বাসে চেপে পৌঁছে যেতে অঙ্গুল। এরপর পরের রাস্তা একই। টিকরপাড়া নেচার ক্যাম্পে থাকার জন্য টেন্ট কটেজ থেকে শুরু করে এসি ও নন-এসি তাঁবু পেয়ে যাবেন। এখানে দুজনের দিনপ্রতি থাকা-খাওয়ার খরচ ২,৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়।