AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kashi Vishwanath Temple: কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সম্পর্কে এই অজানা কিছু তথ্য জানেন না অনেকেই…

অতীতে বহুবার এই মন্দিরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ও পুনর্নির্মিত হয়েছে। মন্দিরের পাশে জ্ঞানবাপী মসজিদ নামে একটি মসজিদ রয়েছে। আদি মন্দিরটি এই মসজিদের জায়গাটিতেই অবস্থিত ছিল।

Kashi Vishwanath Temple: কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সম্পর্কে এই অজানা কিছু তথ্য জানেন না অনেকেই...
উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে অবস্থিত দেশের বিখ্যাত হিন্দু মন্দির হল এই কাশী বিশ্বনাথ মন্দির
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2021 | 10:53 AM
Share

গঙ্গার পশ্চিম তীরে অবস্থিত, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে অবস্থিত দেশের বিখ্যাত হিন্দু মন্দির হল এই কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। হিন্দু মতে, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির “জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির” নামে পরিচিত শিবের বারোটি পবিত্রতম মন্দিরের অন্যতম। বারাণসী শহরের অপর নাম “কাশী” । তাই এই মন্দিরটি কাশী বিশ্বনাথ মন্দির নামে পরিচিত। মন্দিরের প্রধান দেবতা শিব “বিশ্বনাথ” বা “বিশ্বেশ্বর” নামে পূজিত হন। অতীতে বহুবার এই মন্দিরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ও পুনর্নির্মিত হয়েছে। মন্দিরের পাশে জ্ঞানবাপী মসজিদ নামে একটি মসজিদ রয়েছে। আদি মন্দিরটি এই মসজিদের জায়গাটিতেই অবস্থিত ছিল। বর্তমান মন্দিরটি ১৭৮০ সালে ইন্দোরের মহারানি অহিল্যা বাই হোলকর তৈরি করে দেন। সম্প্রতি কাশী বিশ্বনাথ করিডরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির থেকে গঙ্গার তীরে সহজে যাতে পৌঁছনোর লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে এই করিডর।

মন্দির চত্বরটি অনেকগুলি ছোটো ছোটো মন্দির নিয়ে গঠিত। ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে এই বিখ্যাত মন্দিরটি অন্যতম। বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির হল গুজরাতের সোমনাথ, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীশৈলমের মল্লিকার্জুন, মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর, মধ্যপ্রদেশের ওঙ্কারেশ্বর, হিমালয়ের কেদারনাথ, মহারাষ্ট্রের ভীমশংকর, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বিশ্বনাথ, মহারাষ্ট্রের ত্র্যম্বকেশ্বর, ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের বৈদ্যনাথ, গুজরাতের দ্বারকায় নাগেশ্বর, তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের রামেশ্বর এবং মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গাবাদের ঘৃষ্ণেরশ্বর। প্রতিটি মন্দিরেই শিবলিঙ্গ শিবের অনন্ত প্রকৃতির প্রতীক এক আদি ও অন্তহীন স্তম্ভের প্রতিনিধিত্ব করে।

বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সম্পর্কে সাতটি আশ্চর্যজনক তথ্য…

১. ১৪৯০ সালে, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরটি প্রথম খুঁজে পাওয়া যায়। অনেকেই হয়ত জানেন না, এই মন্দির বেশ কিছু সময় বৌদ্ধদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। এছাড়া মুঘলদের দ্বারা এই বিখ্যাত মন্দির বার বার লুন্ঠন হয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে। ফের মূল মন্দির পুনঃনির্মিত করা হয়েছে।

২, মুঘল সম্রাট আকবর মূল মন্দির নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে আওরঙ্গজেব মন্দিরটি ধ্বংস করেন। ষষ্ঠ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব ভারত মহাদেশের উপর প্রায় ৪৯ বছর ধরে শাসন চালিয়ে গিয়েছিলেন।

৩. ১৭৮০ সালে ইন্দোরের মহারানি অহিল্যা বাই হোলকর সর্বশেষ পুনঃনির্মিত এবং তার গৌরব পুনরুদ্ধার করেছিলেন। তিনি মন্দিরটি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং এর জন্য তহবিলও সরবরাহ করেছিলেন। পরে আকবরের প্রপৌত্র আওরঙ্গজেব মন্দিরটি ধ্বংস করে তার জায়গায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।

৪, কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরটি হিন্দুদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্‍পর্য বহন করে। হিন্দুদের বিশ্বাস, ভগবান শিব এখানে কিছুকাল অবস্থান করেছিলেন।

৫. এই মন্দিরগুলি গঙ্গার তীরে “বিশ্বনাথ গলি” নামে একটি গলিতে অবস্থিত। প্রধান মন্দিরের মধ্যে একটি ৬০ সেন্টিমিটার উঁচু ও ৯০ সেন্টিমিটার পরিধির শিবলিঙ্গ রুপোর বেদির উপর স্থাপিত। ১৮৩৫ সালে পাঞ্জাবের শিখ সম্রাট রঞ্জিত সিংহ মন্দিরের চূড়াটি ১০০০ কিলোগ্রাম সোনা দিয়ে মুড়ে দেন।

৬. কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের তিনটি গম্বুজ সোনায় মোড়া। প্রচলিত ধারণা, এই সোনার ছাত্রা দেখে যে কোনও ইচ্ছে পূরণ হয়।

৭. ১৬৬৯ সালে আওরঙ্গজেব পুনরায় মন্দিরটি ধ্বংস করে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করান। এই মসজিদটি আজও মন্দিরের পাশে অবস্থিত। মসজিদের পিছনে পুরনো মন্দিরের কিছু ধ্বংসাবশেষ আজও দেখা যায়। মন্দিরের মধ্যে জ্ঞানবাপী নামে একটি ছোটো কুয়ো আছে। কথিত আছে, মুসলমান আক্রমণের সময় প্রধান পুরোহিত স্বয়ং জ্যোতির্লিঙ্গটি রক্ষা করার উদ্দেশ্যে সেটি নিয়ে এই কুয়োয় ঝাঁপ দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:  Incredible India: প্রকৃতির অনন্য দৃশ্য দেখতে বিদেশে নয়, ঘুরে আসুন দেশের এই ৫ জায়গায়