Remarkable Train Rides: এই পাঁচটি অবিস্মরণীয় ট্রেন যাত্রা আপনাকে চিরমুগ্ধ করতে পারে

এখানে, এমন কিছু টয় ট্রেনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা আপনাকে সেই উঁচু নিচু পার্বত্য থ্রিল থেকে শুরু করে অবর্ণনীয় আনন্দের মুহূর্ত উপভোগ করতে দেবে।

Remarkable Train Rides: এই পাঁচটি অবিস্মরণীয় ট্রেন যাত্রা আপনাকে চিরমুগ্ধ করতে পারে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2021 | 6:04 PM

ভারতের মনোরম পাহাড়ের মধ্য দিয়ে একটি দুর্দান্ত ট্রেন যাত্রা কেমন লাগে? শুনেই কেমন থ্রিলিং লাগছে না? সত্যিই, রোমান্টিসিজম এবং উইন্ডো-সাইড থ্রিলের শ্রেণীতে ট্রেন যাত্রাকে এখনও কেউ টপকাতে পারেনি, সম্ভবত পারবেও না।

পাথুরে জমি থেকে সবুজ গাছপালা, উঁচু নিচু উপত্যকা বা অন্ধকার ব্রিজ, একটা ট্রেন যাত্রার মধ্যে বিভিন্ন রকমের আনন্দ লুকিয়ে থাকে। হাই স্পিড ট্রেন থেকে পাহাড়ি সেতুর নীচে ক্যাসকেডিং স্রোতের দিকে তাকানোর সময় আপনি যে আনন্দ এবং অ্যাড্রেনালিনের রাশ অনুভব করেন তা বর্ণনা করে বলা যায় কি?

এই সব কিছুই ভারতেই ঘটতে পারে! হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন। এখানে, এমন কিছু টয় ট্রেনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা আপনাকে সেই উঁচু নিচু পার্বত্য থ্রিল থেকে শুরু করে অবর্ণনীয় আনন্দের মুহূর্ত উপভোগ করতে দেবে।

টয় ট্রেন, দার্জিলিং:

এটি একটি সবচেয়ে মজাদার ট্রেন যাত্রা যা আপনি অবশ্যই জানেন। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে নামে পরিচিত এই উত্তেজনাপূর্ণ টয় ট্রেনটি দেশের সবচেয়ে সরু ট্রেন, যা প্রায় ২ ফুট চওড়া। এর রুটটি নিউ জলপাইগুড়িকে দার্জিলিংয়ের সাথে সংযুক্ত করে। এই ট্রেন আপনাকে কুয়াশাচ্ছন্ন হিমালয় আর অনেকগুলো পুরনো চা বাগানের মাধ্যমে নিয়ে যায়। এই রুটটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। ট্রেনটি আপনাকে রংটাং, কার্সিওং, ঝুম এবং আরও অনেক পাহাড়ি শহরের মধ্যে দিয়ে আপনাকে ঘুরিয়ে নিয়ে যায়।

নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে, তামিলনাড়ু:

তালিকায় এর পরেই আসবে তামিলনাড়ুর নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে। ভারতের এই একমাত্র র‍্যাক রেলপথটিকে ২০০৫ সালে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের একটি এক্সটেনশন হিসেবে যোগ করা হয়েছিল। মেট্টুপালয়াম থেকে উটি পর্যন্ত বিস্তৃত এই রেলপথ। ঘন বন এবং কোয়েম্বাতুর, নীলগিরির সবুজ বাগানের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার থ্রিল পেতে এই ট্রেন যাত্রা অবশ্যই করতে হবে। যদি ভাগ্য আপনার সঙ্গী হয়, তবে আপনি ট্রেন থেকে নীলগিরির লাঙ্গুর এবং বনেট ম্যাকাক দেখতে পাবেন।

কালকা-সিমলা রেলওয়ে, হিমাচল:

এই চমকপ্রদ রুটটি ইউনেস্কো ২০০৮ সালে ভারতের পার্বত্য রেলপথে যুক্ত করেছিল। কালকা-সিমলা রেলপথটি কালকা এবং সিমলার মধ্যে সবচেয়ে ঘন পাহাড়ি অংশের মধ্য দিয়ে যায়। এই রুটটি উপত্যকা, পাহাড়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আপনার চোখের সামনে তুলে ধরে। এই পথে নিখুঁত ছবি উপযোগী কিছু গ্রামও পড়ে। এই স্টিম ইঞ্জিনটি ঐতিহাসিক বড়োগ (Barog) টানেলও অতিক্রম করে। এটি উত্তর-সিমলা রেলের দীর্ঘতম টানেল। শীতকালের মাসে এই ট্রেনের যাত্রা সবচেয়ে মায়াবী হয়। চারিদিকে বরফের প্রলেপে একটি অদ্ভুত মন ভাল করা সুন্দর দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে।

কাংড়া ভ্যালি রেলওয়ে, হিমাচল:

এই ট্রেন যাত্রা হিমাচলের কাংরা উপত্যকার উপ-হিমালয় অঞ্চল থেকে শুরু হয়। এটি পাঠানকোট থেকে যোগিন্দর নগর পর্যন্ত হয়ে এগোয়। মনোরম পাহাড়ের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য উপস্থাপন করে এই ট্রেন যাত্রা। এই পথে আপনি রাজকীয় দুর্গ, সুন্দর মন্দির, চা বাগান এবং পাইন গাছ দেখতে পাবেন। এই টয় ট্রেনটি ৯৫০ টি সেতু অতিক্রম করে। স্থানীয় লোকেরাও মাঝে মাঝে এই ট্রেনে চেপে যাত্রা করে থাকেন।

মাথেরান হিল রেলওয়ে, মহারাষ্ট্র:

সবুজ পশ্চিমা ঘাটের জাঁকজমকের মধ্যে নিজেকে নিমজ্জিত করার জন্য আপনাকে এই ট্রেন যাত্রা করতেই হবে। নেরাল থেকে মাথেরান পর্যন্ত চলে এই ট্রেন। উপরে পাহাড় এবং নীচে সমতল, এই ন্যারো-গেজ হেরিটেজ রুটটি সবুজ বনভূমি দেখার একটা সুন্দর অভিজ্ঞতা দেয়। যদিও বর্ষাকালে রুটটি বন্ধ থাকে। বর্ষা-পরবর্তী কালে এই ট্রেনের রুটে ঝর্ণার দুর্দান্ত দৃশ্য দেখা যায়।

আরও পড়ুন: শ্রাবণ মাস উপলক্ষ্যে দেশের এই ৫ শিবমন্দিরে গেলে মিলবে দেবাদিদেবের আশীর্বাদ!