Uttarakhand’s Environment Pollution: কাঁড়ি কাঁড়ি প্ল্যাস্টিকের বোতল আর গ্লাস গিলে খাচ্ছে কেদারনাথ, বিপন্ন দেবভূমি
Kedarnath: অতিবৃষ্টি, ভূমিকম্প, ধস- এই সব কিছুর কারণে বারবার বিপর্যস্ত হচ্ছে পাহাড়ের জনজীবন। এর পিছনে তো অনেকাংশে দায়ী প্ল্যাস্টিকই।
‘রিল লাইফ’-এ ‘কেদারনাথ’-এর পথ ধরে হেঁটেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত-সারা আলি খান। অথচ ‘রিয়েল লাইফ’-এ সেই কেদারনাথের পথ জুড়ে শুধুই প্ল্যাস্টিক আর আবর্জনার স্তূপ। সম্প্রতি সংবাদসংস্থা ANI-এর তরফ থেকে কেদারনাথের যে ছবি টুইট করা হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, পাহাড়ি উপত্যকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে প্রচুর তাঁবু। আর তার আশেপাশে শুধুই প্ল্যাস্টিক, পরিত্যক্ত ব্যাগ, জলের বোতল আর আবর্জনা। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে এতে নষ্ট হচ্ছে পাহাড়ের সৌন্দর্য, হিমালয়ের পরিবেশ। তবে এই পরিস্থিতি একদিনে তৈরি হয়নি।
মহামারীর জেরে গত দু’বছর ধরে বন্ধ ছিল চারধামা যাত্রা। অবশেষে চলতি বছরের মে প্রথম সপ্তাহেই খুলে দেওয়া হয়েছে উত্তরাখণ্ডের বিখ্যাত তীর্থস্থান চারধাম মন্দির। ফলে অগণিত ভক্তের সমাগমে বেসামাল অবস্থা উত্তরাখণ্ডে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে অন্য জায়গায়। হিমালয়ে গ্রীষ্মের ছোঁয়া লাগলেই ভিড় জমে ভক্তদের। উদ্দেশ্য উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রা। কিন্তু এর জেরে ধ্বংসের দিকে একটু-একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে প্রিয় দেবভূমি। একটু খেয়াল করে দেখুন, বেশ কিছু বছর ধরে উত্তরাখণ্ড বারবার সম্মুখীন হচ্ছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের। অতিবৃষ্টি, ভূমিকম্প, ধস- এই সব কিছুর কারণে বারবার বিপর্যস্ত হচ্ছে পাহাড়ের জনজীবন। এর পিছনে তো অনেকাংশে দায়ী প্ল্যাস্টিকই।
Uttarakhand | Heaps of plastic waste & garbage pile up on the stretch leading to Kedarnath as devotees throng for Char Dham Yatra pic.twitter.com/l6th87mxD9
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) May 22, 2022
তবে এই চিত্র শুধু দেবভূমির নয়। হিমাচল প্রদেশেও এই একই চিত্র উঠে এসেছে। পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য কাজ করে যে Healing Himalayas, সেই সংস্থার তথ্য অনুযায়ী:
হিমালয়ের কোলের এক-একটি জনপদ এক-একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বেশ কিছু পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ জীবিকা-নির্বাহ করেন শুধু পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে। করোনা আবহের পর থেকে পাহাড়ে পর্যটকদের আনাগোনা আরও বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু পাহাড়ের প্রতি বাঁকে যদি প্ল্যাস্টিক ও আবর্জনার স্তূপ দেখা যায়, তাহলে নিঃসন্দেহ মানুষ পাহাড়ের সৌন্দর্য নষ্ট করছে।
এমন নয় যে, করোনা আবহের পরই এই ঘটনা বেশি নজরে এসেছে অথবা গত এক বছরে আবর্জনার সংখ্যাটা মাত্রা ছাড়িয়েছে। The Himalayan Clean Up 2021-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, হিমালয়ের কোলে যে সব আবর্জনা পাওয়া যায়, তার ৬০%-ই পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয়। এই ধরনের আবর্জনাগুলো মাটির সঙ্গে মিশে যায় না। দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয় না। আর এখান থেকে পাহাড়ে বাড়ে ভূমিধসের ঝুঁকি।
পরিসংখ্যান এখানেই শেষ নয়। ২০১৮ সালে একটি সাফাই কর্মসূচি শুরু হয় হিমালয়ের নানা রাজ্য জুড়ে। সেখানে মাত্র ২ ঘণ্টা দূরত্বের রাস্তায় প্রায় ৪ লক্ষ প্ল্যাস্টিক পাওয়া যায়। এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে কীভাবে একটু-একটু করে ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ভ্রমণপিপাসুদের প্রিয় হিমালয়।