গর্ভবস্থায় ভ্রমণের কথা ভাবছেন? কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন জানুন…
গর্ভাবস্থায় অনেক কিছু করতে মন চায়। বাড়িতে বসে বোর হয়ে যান গর্ভবতীরা। প্রথম ট্রাইমেস্টারে ভয় থাকে বেশি। কেন না সেসময় মিসক্যারেজ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
গর্ভধারণের অনেক বিধি নিষেধ আছে। বাড়ির বড়রা বারবার বলেন, এই সময় বাইরে বেরনো উচিত না। বেড়াতে যাওয়া তো আরওই উচিত না। তাতে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। হবু মায়েরও জীবন সংশয় হতে পারে। কিন্তু প্রেগন্যান্সি একটা অনন্য অভিজ্ঞতা। এই সময় অনেক কিছু করতে মন চায়। বাড়িতে বসে বোর হয়ে যান গর্ভবতীরা। প্রথম ট্রাইমেস্টারে ভয় থাকে বেশি। কেন না সেসময় মিসক্যারেজ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। অল্প ঝাঁকুনিতেই ক্ষতি হতে পারে, মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু গর্ভের সন্তান সুরক্ষিত অবস্থায় চলে এলে সাবধানতা অবলম্বন করে ঘুরে আসতেই পারেন –
১. এমন জায়গায় যান, যেখানে ডাক্তারি পরিষেবা ও চিকিৎসালয় রয়েছে। ফাঁকা জায়গায় কখনওই যাবেন না। যাতাযাতের সময় সঙ্গে রাখবেন প্রয়োজনীয় ওষুধ। ২. ২৭ সপ্তাহের প্রেগন্যান্সি হলে প্লেনে উঠার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তিনি যদি অনুমতি না দেন, আপনার না যাওয়াই উচিত। কিছু উড়ো জাহাজ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করে রাখে। সেটা দেখে নিয়ে তারপর ফ্লাইট বুক করুন। ৩. এমন হোটেলে থাকবেন, যেখানে আরাম করতে পারবেন। যেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয়। ট্র্যাভেল এজেন্টের সঙ্গে বেড়াতে যেতে চাইলে তাঁদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি কথা বলে নিন। ৪. এই অবস্থায় খুব ঠান্ডা কিংবা খুব গরম আছে এমন জায়গায় বেড়াতে যাবেন না। বর্ষাকালে বেড়াতে যাবে না। এমন কোথাও যাবেন না যেখানে মশার উপদ্রব আছে। ৫. বেড়াতে যেতে পারেন সমুদ্রের ধারে। সৈকতে চেয়ারে বসে রেস্ট করতে পারেন। পাহাড়ে চড়াই-উৎরাইতে আপনার শরীরে খারাপ হয়ে যেতে পারে।
তবে এটা বিষয় মাথায় রাখবেন, অনেককে সঙ্গে নিয়ে এই সময় বেড়াতে যাওয়াই ভাল। দু’টিতে মিলে গেলে সমস্যা হলে দিশেহারা হতে হবে না। আর হ্যাঁ, ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা কিন্তু মাস্ট। তিনি গ্রিন সিগন্যাল দিলে তবেই যাবেন, নচেৎ নয়।
আরও পড়ুন: দেখুন ছবিতে; হিমাচল প্রদেশে কী করবেন, কী করবেন না