Igloo Cafe: পর্যটকদের জন্য দারুণ খবর! গুলমার্গের বিশ্বের বৃহত্তম ইগলু ক্যাফে খোলা থাকবে মার্চ অবধি
হাড় হিম করা ঠান্ডা আর ইগলুর মধ্যে বসে ধোঁয়া ওঠা কফির স্বাদ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে অনেকে আবার আগে থেকেই বুকিং করা শুরু করেছিলেন। জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারির শেষ তারিখ পর্যন্ত এই অভিনব ক্যাফেটি জনসাধারণের খোলা থাকবে।
শীতের মরসুমে করোনাকে সঙ্গী করেই ভূস্বর্গের রোমাঞ্চকর পরিবেশে গা ভাসিয়েছিলেন বহু পর্যটক। বসন্তের গোড়াতেও সেই ভিড় কমার কোনও লক্ষণ নেই। সম্প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র গুলমার্গে অভিনব ইগলু ক্যাফে খোলা হয়েছে। ‘স্নোগ্লু’ নামের ওই ক্যাফেটি গুলমার্গের বিখ্যাত স্কি রিসর্টে তৈরি করা হয়েছে। এটি নাকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যাফে বলে দাবি করেথছেন ‘স্নোগ্লু’-র নির্মাতা সৈয়দ ওয়াসিম শাহ।
তাঁর কথায়, আমি কয়েক বছর আগে সুইত্জারল্যান্ডে এই ধরনের ক্যাফে দেখেছিলামষ যেখানে তাদের হোটেল রয়েছে, ঘুমের ব্যবস্থাও রয়েছে। গুলমার্গে প্রচুর তুষারপাত হয়। সেখানে বিদেশের মত কেন এমন ব্যবস্থা তৈরি করা যায় না! আর সেই ভাবনা থেকেই এমন অভিনব প্রকল্প শুরু।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘গত বছরও একটি ইগলু ক্যাফে তৈরি করেছিলাম এবং সেটি এশিয়ার বৃহত্তম বলে দাবি করেছিলেন হোটেল ব্যবসায়ী শাহ। এই বছর এমি বিশ্বের সর্বোচ্চ ও বৃহত্তম ইগলু তৈরি করেছি। যার উচ্চতা প্রায় ৩৭.৫ ফুট। ব্যায় ৪৪.৫ ফুট।’ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, সবচেয়ে বড় ইগলু ক্যাফেটি সুইতেজারল্যান্ডে রয়েছে। তার উচ্চকা ৩৩.৮ ফুট। ব্যাস ৪২.৪ ফুট। সেই অনুপাতে শাহর কথা অনুযায়ী কাশ্মীরের ইগলু ক্যাফেটিই এখনও পর্যন্ত বৃহত্তম হিসেবে ধরা হয়েছে।
কাশ্মীরের ওই হোটেল ব্যবসায়ী জানিয়ছেন, ‘গত বছরের ক্যাফেতে চারটি টেবিল ছিল। একসঙ্গে প্রায় ১৬ জনের মত পর্যটক খেতে পারত। কিন্তু এই বছর মোট ১০টি টেবিল রাখা হয়েছে। বরফ দিয়ে বানানো ওই ক্যাফেটি দিনরাত এক করে কাজ করে গিয়েছেন মোট ২৫ জন কর্মী। গোটা ইগলু ক্যাফেটি বানাতে সময় লেগেছে ৬৪দিন। ‘শাহের কথা অনুসারে,’ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে ১৭০০জন দিনে কাজ করেছে। পাঁচ ফুট পুরু বরফের স্তর দিয়ে বানানো ইগলুটি ১৫ মার্চ পর্যন্ত খোলা থাকবে। তারপর জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
ক্যাফেটি স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। হাড় হিম করা ঠান্ডা আর ইগলুর মধ্যে বসে ধোঁয়া ওঠা কফির স্বাদ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে অনেকে আবার আগে থেকেই বুকিং করা শুরু করেছিলেন। জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারির শেষ তারিখ পর্যন্ত এই অভিনব ক্যাফেটি জনসাধারণের খোলা থাকবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, একজন পর্যটক ইগলুর মধ্যে টানা ১ ঘণ্টা বা তার ঠাণ্ডা অনুভব না হওা পর্যন্ত সেখানে সময় কাটাতে পারবেন। শুধু তাই নয়, দেশি ছোঁয়া দিতে কাশ্মীরি শিল্পকর্ম, হাতের কাজ সব কিছু খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে। ম্যানেজমেন্টের দাবি, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইগলু ক্যাফে ও গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য ইতোমধ্যেই আবেদন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Darjeeling: সাদা বরফের চাদরে মুখ ঢেকেছে ঘুম! এমন দৃশ্য বাঙালি শেষ কবে দেখেছিল?