Winter Trip: এই শীতে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান আছে? রোমাঞ্চকর ট্রিপ বানাতে এই ৪ জিনিস হাতছাড়া করবেন না
Winter Travel Tips: তিনদিনের ছুটি পেলেও সেই ভ্রমণ যদি সারাজীবনের জন্য মনের কোটরে রেখে দিতে চান, তাহলে সেই ভ্রমণ যোগ করুন এই চারটি জিনিস।
গরম গরম ধোঁয়া ওঠা কফি, লেপ মুড়ি দিয়ে সামনের খোলা জানলা দিয়ে বরফ ঢাকা পর্বতশৃঙ্গ দেখার মজাটাই আলাদা। তাই যত ঠান্ডাই তীব্র হোক না কেন, ভ্রমণপিপাসুদের কাছে পাহাড় অত্যন্ত প্রিয় একটি গন্তব্যস্থল। কারণ এই ঋতুতেই নতুন সাজে সেজে ওঠে প্রকৃতি। নানা রঙে ফুলের সম্ভারে প্রকৃতির রঙ হয়ে ওঠে রঙিন। সাদা বরফে ঢাকা রাস্কা, তুষারপাত, বরফে ঢাকা সারি সারি গাছ, তুষারাবৃত পাহাড় দেখার জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন পর্যটকরা। তাই জমিয়ে শীতের ছুটির আমেজ পেতে ছুটে যান সিমলা, সিকিম, কাশ্মীর। তবে শীতের ছুটিতে যদি পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেন, তাহলে কয়েকটি জিনিস একেবারেই মিস করবেন না। তিনদিনের ছুটি পেলেও সেই ভ্রমণ যদি সারাজীবনের জন্য মনের কোটরে রেখে দিতে চান, তাহলে সেই ভ্রমণ যোগ করুন এই চারটি জিনিস। চেকলিস্টে কী কী রাখবেন তা জেনে নিন…
১. উইন্টার স্পোর্টস কোথায় কোথায় আছে আগে জানুন:
কোভিড অতিমারির পর দেশের বহু জায়গাতেই নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। পর্যটকের আকর্ষণ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন স্পোর্টস আইটেমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই বর্তমানে প্রতিটি শীতকালীন গন্তব্যে স্কিইং, স্নোবোর্ডিং, আইস স্কেটিং, স্নো স্লেডিং ইত্যাদি-সহ উইন্টার স্পোর্টস হিসাবে কিছু না কিছু ব্যবস্থা করা হয়। ভ্রমণের পাশাপাশি যদি রোমাঞ্চকর কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চান, তাহলে সেগুলি কোথায় কোথায় রয়েছে, তা আগে থেকে সার্চ করে রাখুন। কারণ অ্যাডভেঞ্চার ছাড়া কোনও ভ্রমণই সম্পূর্ণ হয় না।
২. রাতে বনফায়ারের অভিজ্ঞতা মিস করবেন না
শীতের রাতে আগুনের সামনে বসে গিটার নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দেদার আড্ডা ভ্রমণে অন্য মাত্রা এনে দেয়। মায়াবী বাতাসে ওই সময়টুকুই যেন স্মৃতির আলমাড়িতে রাখা থাকে। রাতের অন্ধকারে ক্যাম্পিং করে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে নাচ-গান-বাজনা বাজানো-খাওয়া-দাওয়া সবকিছুই এক অন্য়ধরনের অভিজ্ঞতা এনে দেয়। শীতকালীন ভ্রমণে এই অভিজ্ঞতাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কখনও ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে যাওয়া হয়, আবার একটি বড় গ্রুপ করে বেড়াতে গেলে এই বনফায়ারের ব্যবস্থা মিস করবেন না। তবে বনফায়ারের আয়োজন যেন নিরাপদ হয়, তা নিশ্চিত করুন আগে।
৩. ধীরে ধীরে হাঁটা
পাহাড়ে বেড়াতে গেলে সবসময় গাড়ি নিয়ে ঘুড়ে বেড়াবেন না। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে পাহাড়ি রাস্তায় একা বা সঙ্গীকে নিয়ে পায়ে পায়ে হাঁটলে তার অনুভূতিই অন্যরকম। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজেকে মেলে ধরতে এই সুবর্ণ সুযোগ একেবারেই হাতছাড়া করবেন না। অন্তত আধঘণ্টা বরফে ঢাকা সাদা ধবধবে রাস্তার মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চারপাশের প্রকৃতির খেলা পরিদর্শন করুন। মন ও আত্মা শান্তি পাবে। কাছাকাছি ছোট কোনও দোকানে গরম কফি বা চা খেয়ে গল্প-আড্ডা দিয়েই দেখতে পারেন। স্থানীয়দের সম্পর্কে যেমন জানতে পারবেন, তেমনি ওই এলাকার কিছু বিশেষত্ব ও গোপন তথ্যও জানতে পারবেন। তবে পাহাড়ি রাস্তা হাঁটার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
৪) কেনাকাটা করুন:
শীতকালীন ভ্রমণে গেলে কেনাকাটা হবে না, তা কি করে হয়! পর্যটন স্থানের বিশেষ জিনিসটি বাড়িতে যেমন সাজিয়ে রাখবেন, তেমনি সেখানকার পোশাক ও অন্যান্য প্রচুর জিনিস শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্য বিক্রি হয়। শীতের বুট, পার্স, শাল, ছাতা, পোশাকের মত নানা পণ্য কিনতে পারেন। আশেপাশে মার্কেটের খবর নিয়ে সেখানে কোনটি সস্তায় ও স্পেশাল , সেই বিষয় নিয়ে খুঁটিনাটি জেনে নিন। শুধু কেনাকাটাই নয়, স্থানীয় খাবারও চেখে দেখবেন।