Ladakh: নুব্রা ভ্যালির উচ্চতম গ্রামে লুকিয়ে আছে এক প্রাচীন প্রাসাদ! এর ইতিহাস জানেন কি?

অফবিট নয়, বরং বলা চলে নুব্রা ভ্যালির লুকানো রত্ন হল এই জামসখাং প্রাসাদ। এই নুব্রা ভ্যালিতে তুরতুকের মত একাধিক গ্রাম রয়েছে। যেগুলো সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কোনও দিক দিয়েই কম নয়।

Ladakh: নুব্রা ভ্যালির উচ্চতম গ্রামে লুকিয়ে আছে এক প্রাচীন প্রাসাদ! এর ইতিহাস জানেন কি?
জামসখাং প্রাসাদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2022 | 2:07 PM

লাদাখ মানেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী। অধিকাংশ পর্যটকের ড্রিম ডেস্টিনেশন। যদিও ভ্রমণপিপাসুদের ড্রিম ডেস্টিনেশন লাদাখ হওয়ার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। হিমালয়ের ভয়ংকর ও অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন শিল্পীর তুলির ছোঁয়ায় বাস্তব হয়ে উঠেছে ক্যানভাস। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এমন বেশ কয়েকটি জায়গা রয়েছে যেখানে এখনও পা পড়েনি সাধারণ পর্যটকদের।

বর্তমানে লাদাখ বেড়াতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় না ইনার লাইন পারমিটের, অর্থাৎ অনুমতি পত্র ছাড়াই আপনি ঘুরে আসতে পারেন লে ও লাদাখ। ইতিমধ্যেই লাদাখের চিসুমলে-ডেমচোক রোডটি বিশ্বের উচ্চতম সড়ক পথের তকমাও পেয়েছে। গিনেস বুকে নাম করে নিয়েছে লাদাখ। কিন্তু এছাড়াও এই লাদাখেই লুকিয়ে রয়েছে জামসখাং নামক এক প্রাসাদ।

অফবিট নয়, বরং বলা চলে নুব্রা ভ্যালির লুকানো রত্ন হল এই জামসখাং প্রাসাদ। এই নুব্রা ভ্যালিতে তুরতুকের মত একাধিক গ্রাম রয়েছে। যেগুলো সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কোনও দিক দিয়েই কম নয়। নুব্রা ভ্যালিতে অবস্থিত এরকমই একটি গ্রাম হল টেগার। এই টেগার গ্রাম আদতে নুব্রা ভ্যালিতে অবস্থিত সবচেয়ে উচ্চতম গ্রাম। আর এই গ্রামেই রয়েছে জামসখাং প্রাসাদ।

যেহেতু লাদাখ প্রান্তে এই প্রাসাদ অবস্থিত, তাই তিব্বতের ছোঁয়া রয়েছে এখানে। তবে শুধুই ধ্বংসস্তূপ। হিমালয়ের মধ্যে অবস্থিত গ্রামগুলো নিজের মত করে সুন্দর। তার ওপর নুব্রা ভ্যালির মত জায়গায় অবস্থিত গ্রামগুলো এখনও শহুরে সভ্যতা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। সেখানে আপনি যদি টেগার গ্রামে প্রবেশ করেন, আপনার নজর কাড়তে বাধ্য জামসখাং প্রাসাদ।

Kyagar village ladakh

টেগার গ্রাম

যেখানে প্রাসাদের কথা হচ্ছে, সেখানে ইতিহাস জীবন্ত থাকতে বাধ্য। যতদূর জানা যায়, এই জামসখাং প্রাসাদ তৈরি করা হয়েছিল সপ্তদশ শতাব্দীতে। কোনও তথাকথিত রাজার বাস ছিল না এই প্রাসাদে। এখানে থাকতেন ততকালীন গভর্নর এবং তাঁর পরিবার। লেহের রাজ প্রাসাদের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে তৈরি করা হয়েছিল এই প্রাসাদ। আর যেহেতু এখানে বাস তিব্বতীদের তাই এই প্রাসাদেও তিব্বতী স্থাপত্যের নিদর্শন দেখা যায়।

আগের মত প্রাসাদের সৌন্দর্য না থাকলেও কিছু অংশ এখনও অবশিষ্ট রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে প্রার্থনা কক্ষ। এখনও নিয়মিত ব্যবহৃত হয় প্রার্থনা কক্ষ। এই কক্ষের মধ্যে আপনি প্রবেশ করলে দেখতে পাবেন সুন্দর মূর্তি এবং থাংকাস। থাংকাস হল সুন্দর তিব্বতী বৌদ্ধ চিত্রকলা, যা সাধারণত তুলা বা রেশমের উপর তৈরি করা হয়। এই চিত্রগুলি বৌদ্ধ দেবতা বা একটি মান্দালয়কে চিত্রিত করে। এছাড়া প্রাসাদে মোট তিনটি তলা রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে চারটি ব্যালকনি।

যেহেতু টেগার গ্রামটি লাদাখের নুব্রা ভ্যালির উচ্চতম গ্রাম, এখানে আপনি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। তার ওপর আপনি এই এক ইতিহাসের সাক্ষী হবেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাই লাদাখ ট্রিপ করার সময় এই গ্রাম ও প্রাসাদকে অবশ্যই বাকেটলিস্টে রাখবেন।

আরও পড়ুন: গিনেস বুকে দেশের নাম! বিশ্বের উচ্চতম সড়ক পথ বানিয়ে তাক লাগাল বিআরও