ঘি শুধু সুস্বাদুই নয় স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ এর একটি ভাণ্ডার, যার ব্যবহারে অনেক অনেক স্বাস্থ্য সমস্যাই দূর হয়ে যায়। আয়ুর্বেদও ঘিকে সবচেয়ে মূল্যবান খাদ্য উপাদান হিসেবে বিবেচনা করে। তাছাড়া ভারতের প্রতিটি বাড়িতে ঘি ব্যবহৃত হয়।
আয়ুর্বেদে মনে করা পরিশোধিত তেলের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ঘি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না এটি একটি স্বাস্থ্যকর চর্বি, যার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ রুটি, ভাত বা ডালের সঙ্গে ঘি খান, তবে আয়ুর্বেদ সকালে খালি পেটে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেয়।
যদি নিয়মিত সকালে খালি পেটে ঘি খাওয়া হয়, তাহলে তা বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। আয়ুর্বেদে ঘি ছোট অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের অ্যাসিডিক পিএইচ কমাতে সাহায্য করে।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ বা ঘুমের অভাব, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার অস্বাস্থ্যকর অন্ত্রের প্রধান কারণ। আপনি যদি এই সমস্যাগুলির মধ্যে কোনটি অনুভব করেন তবে এখনই আপনার পেট ঠিক করার এবং ঘি খাওয়া শুরু করার সময়।
নিয়মিত সকালে খালি পেটে ঘি খেলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ ও সবল হয়। এর সেবন কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হেমোরয়েডের মতো সমস্যা এড়াতে সাহায্য করতে পারে। এর সঙ্গে এটি হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে এবং হাড়কে মজবুত করে তোলে।
ঘি আপনাকে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল ত্বক দেয়। এর নিয়মিত সেবনে মুখের বলিরেখা ও অন্যান্য সমস্যা সেরে যায়। আপনি যদি ত্বকের কোনও সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে ঘি খাওয়া শুরু করুন।
প্রতিদিন ঘি খেলে অনিয়মিত মলত্যাগের সমস্যা দূর হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে। আপনি যদি দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই খালি পেটে ঘি খাওয়া উচিত। এর পাশাপাশি এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।