যে হারে স্থূলতা, কোলেস্টেরল, হৃদরোগের সমস্যা বাড়ছে তাতে খাওয়া-দাওয়ার উপর নজর না দিয়ে কোনও উপায় নেই। তাই অনেকেই মাখনকে ডায়েট থেকে বাদ দেয়। সুপারফুড না হলেও মাখন কিন্তু ফেলনা নয়।
দুধ থেকে মাখন তৈরি হয়। সীমিত পরিমাণে মাখন খেলে এরও অনেক উপকার পাওয়া যায়। মাখনের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকলেও এতে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং ক্যালশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে।
মাখনের মধ্যে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা শরীরে প্রবেশ করে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই বিটা ক্যারোটিন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর।
মাখন ত্বক ও চোখকে ভাল রাখে। মাখনের মধ্যে ভিটামিন এ থাকে যা চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে। একইভাবে, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই ত্বকের কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে।
মাখনের ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়াম রয়েছে। এই দুটো উপাদানই হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি এড়াতে আপনি রোজের খাদ্যতালিকায় মাখন রাখতেই পারেন।
লো ফ্যাট ডায়েট হিসেবে মাখন খুবই উপযোগী। কিন্তু আপনাকে সীমিত পরিমাণে মাখন খেতে হবে। নাহলেই হিতে বিপরীত হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণ মাখন খেলে কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।