বাঙালি বাড়িতে কিছু খাবার আছে যা শুধুমাত্র সেই ঋতুতেই খাওয়া হয়। এর মধ্যে একটি হল নিম-বেগুন। অ্যান্টিপক্স হিসেবে কাজ করে এই নিম আর বেগুন। যে কারণে বসন্ত আসতেই বাড়িতে হয় নিম-বেগুন।
কেউ খান নিম-বেগুন ভাজা আবার নিম ভেজে আলুর সঙ্গে মেখেও অনেকে খান। যতই তেতো হোক না কেন নিমপাতা খেতে কিন্তু খুবই ভাল লাগে। নিম গাছের পাতা, ফুল, বীজ সবই শরীরের নানা উপকারে লাগে।
অনেকেই নিমের দাঁতল দিয়ে দাঁত মাজেন। আগেকার দিনে টুথব্রাশের এত চল ছিল না। তখন নিমের দাঁতনই ছিল ভরসা। এছাড়াও নিমপাতা জলে ফুটিয়ে স্নান করলে অনেক রকম সংক্রমণের হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে লাগে নিমপাতা। নিয়মিত ভাবে নিমপাতা খেতে পারলে পেট ঠিক থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও বদহজমের সমস্যা দূর করতেও কার্যকরী হল নিমপাতা।
নিমপাতার মধ্যে থাকে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। এই গুণের কারণেই নিমপাতা শরীরকে যে কোনও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে গর্ভ নিরোধক হিসেবেও কাজ করে নিমপাতা। যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা এবং পাঁচ বছরের কম বাচ্চাদের নিমপাতা খেতে মানা করা হয়।
সপ্তাহে দুদিনের বেশি কিন্তু নিমপাতা খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষত ছেলেদের। কারণ এতে শুক্রাণুর বিস্তার কমে যায়। নিমপাতায় উপস্থিত ইমিউনো মডুলেটর কোষ এবং ম্যাক্রোফেজগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে যেখান থেকে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থেকে যায়।
যাঁরা ডায়েবিস রুখতে নিমপাতা খান তাঁরা দিনে ৬ টার বেশি নিমপাতা খাবেন না। একটানা ১৫ দিন খেলে মাঝে ২-৩ দিনের একটা গ্যাপ দিন। একটানা খেলে ব্লাড সুগার অতিরিক্ত কমে যেতে পারে।
অনেকে এইসময় নিমপাতা পেড়ে গুঁড়ো করে রেখে দেন। সারাবছর এই পাতা ব্যবহার করা হয় রান্নায়। এতে শরীরের নানা ক্ষত ভিতর থেকে সেরে যায়।