যে কোনও রান্না সামান্য ঘি স্বাদ বদলে দিতে পারে। এক চামচ ঘি দিয়ে উধাও হতে পারে এক থালা গরম ভাত। কিন্তু খাবারের দুনিয়া ছাড়াও ঘি নানা রকম ঘরোয়া টোটকাতেও কাজে লাগতে পারে ঘি। কীভাবে ভাবছেন? চলুন দেখে নেওয়া যাক...
হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ঘি। বিশেষত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে ঘি। তেলের বদলে ঘি দিয়ে রান্না করুন। এতেই কাজ হবে। অবশ্যই ঘিয়ের পরিমাণের দিকে নজর রাখবেন।
ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে গিয়েছে? এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে ঘি আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। সকালে ঘুম থেকে উঠে সামান্য ঈষদুষ্ণ ঘি নাকে ঢেলে দিন। এটি গলা অবধি আপনার সংক্রমণকে কমিয়ে দেবে।
ওয়েট লস ডায়েটে রয়েছেন তাই ঘি ছুঁয়ে দেখেন না? ভুল করেছেন। ঘিয়ের মধ্যে ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে এক চামচ ঘি খেয়ে ‘ফ্যাট ফার্স্ট ডায়েট’ করুন।
ত্বকের সমস্যায় ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষত শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ঘি দারুণ উপযোগী। বেসন, ঘি, হলুদ ও কাঁচা দুধ দিয়ে উপটান বানিয়ে মাখতে পারেন। এতে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসবে এবং ত্বক কোমল দেখাবে।
শীত আসার আগে ঠোঁট ফেটেছে? ঘিয়ের সাহায্য নিন। পেট্রোলিয়াম জেলের বদলে ঠোঁটের উপর ঘি লাগিয়ে নিন। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা বজায় থাকবে। পাশাপাশি ঠোঁট ফাটবে না আর।
অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে পারেন ঘি দিয়ে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পায়ের চেটো ঘি দিয়ে মালিশ করুন। এতে পায়ের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হবে এবং ঘুম আসবে তাড়াতাড়ি। এই উপায়ে আপনি পায়ের পাতা ফাটা থেকেও রোধ করতে পারবেন।